টিকল কক ব্রিজ

স্থানাঙ্ক: ৫৩°৪৩′৩০″ উত্তর ১°২১′০৫″ পশ্চিম / ৫৩.৭২৫১১৮° উত্তর ১.৩৫১৪০২° পশ্চিম / 53.725118; -1.351402
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(টিক্‌ল কক্‌ ব্রীজ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
Narrow lane between two high brick walls leading to a tunnel under a railway bridge.
১৮৯০ সালের আসল কাঠামো।

টিক্‌ল কক্‌ ব্রীজ ইংল্যান্ডের ক্যাসেলফোর্ডে, ইয়োর্ক এন্ড নর্থ মিডল্যান্ড রেলওয়ে নির্মিত ইয়োর্ক ও নরম্যানটনের মধ্যকার রেলওয়ে লাইনের নিচে একটি পথচারী চলাচলের সুড়ঙ্গপথ। ১৮৯০ সালে নির্মিত পথটি এখন শহরের প্রধান আবাসিক এলাকাকে কার্লটন লেনের শপিং সেন্টারের সাথে যুক্ত করেছে এবং প্রতি সপ্তাহে ৫০,০০০ পথচারী এটি ব্যবহার করে। শপিং সেন্টারের ব্যবস্থাপকের বর্ণনা মত "ছোট, সরু, খুব নিচু ও অন্ধকার" এবং "ভিতরে হাঁটার জন্য ভীতিকর" প্রকৃত ভিক্টোরিয়ান কাঠামোটি গ্রামীণ পুনরুদ্ধার পরিকল্পের অংশ হিসাবে ২০০৮ সালে প্রতিস্থাপিত হয়।[১]

প্রতিস্থাপিত ব্রীজটির প্রাথমিক নাম দেওয়া হয়েছিল টাইটেল কট। পঞ্চাশোর্ধ্ব স্থানীয় সদস্য বিশিষ্ট একটি দলের আপত্তির মুখে, ওয়েকফিল্ড কাউন্সিল তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিল এবং আসল নাম টিক্‌ল কক্‌ লেখা একটি নামফলক স্থাপন করেছিল।

শব্দপ্রকরণ[সম্পাদনা]

কক্‌ শব্দটি ১৬১৮ সালে পুরুষাঙ্গের অশ্লীল ব্যবহার হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছিল, সম্ভবত শব্দটির অন্যতম আরেকটি অর্থ "তরল চলাচলের পথ হিসাবে ব্যবহৃত ছোট নল"থেকে শব্দটি পাওয়া।[২] এলাকার কাজ অথবা এলাকায় ঘটা কাজের প্রতিফলন করে, এলাকার এমন নাম দেওয়া একসময় ইংল্যান্ডে খুব সাধারণ ঘটনা ছিল।[৩] স্থানীয় ইতিহাসবিদ ব্রিয়ান লুইস বিশ্বাস করেন যে, সম্ভবত ১৯ শতকের শেষ বা ২০ শতকের শুরুতে স্থানীয়রা ব্রীজের নামের যে ব্যাখ্যাঃ "সুড়ঙ্গপথ" দিয়েছিল তা যেকোন "বানর দৌড়ের" মত কাজ করতো, যেখানে আপনি ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বন্ধু পাবার জন্য উপর-নিচ প্যারেড করেন।[৪][ক]

প্রতিস্থাপন[সম্পাদনা]

Path to a tunnel in the distance, running beside construction work.
পূর্বনির্মিত সুড়ঙ্গ স্থাপিত এবং বাহ্যরুপ উন্নয়নের জন্য অপেক্ষমাণ (২০০৫)।

নতুন সুড়ঙ্গ পথটি ব্রিয়ান লুইস ও শিল্পী মার্টিন রিচম্যানের সহযোগিতায় ডিএসডিএইচএ এর স্থপতি ডেবোরা সন্ট ও স্যাম পটার নকশা করেছিলেন। প্রকল্পের তহবিল যোগান দিয়েছিল যৌথভাবে ওয়েকফিল্ড কাউন্সিল, দ্য নেইবারহুড রেনেওয়াল ফান্ড, নেটওয়ার্ক রেল এবং দি আর্ট কাউন্সিল, ইয়োর্কশায়ার।[৬]

২০০৩ সালে একটি প্রতিযোগিতার পরে, নকশা ও পরিকল্পনার কাজ চলে ২০০৭ পর্যন্ত।[৭] ডিসেম্বর, ২০০৫-এ জেমস ওয়েমিক অ্যাসোসিয়েটের নির্মাণ প্রকৌশলীরা আসলটির চেয়ে দ্বিগুণ চওড়া ও ২ ফুট (০.৬১ মি) উঁচু, পূর্বে নির্মিত কংক্রিট টানেল দিয়ে ভিক্টোরিয়ান সুড়ঙ্গপথটি প্রতিস্থাপন করেছিল। যেহেতু সুড়ঙ্গপথের উপর ভর দেওয়া চলন্ত রেলওয়ে লাইনের নিচে কাজ করতে হয়েছিল, এমনভাবে কাজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল যাতে ট্রেন চলাচলে নূন্যতম বিঘ্ন ঘটে; লাইনটি কেবলমাত্র দুইদিন-২০০৫ এর বড়দিন ও বড়দিনের পরের দিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ২০০৮ সালে উন্নত আলোকসজ্জা,নতুন সবুজ ভূমি এবং সন্ধ্যায় সূর্য দেখা যায়, দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী এমন কৌণিক বসার জায়গার ব্যবস্থা করে ব্রীজের চারপাশের পরিবেশের উন্নয়ন করা হয়েছিল। রিচম্যান আলোকসজ্জার কাজ করেছিলেন[৮] এবং সুড়ঙ্গের বর্ণিল ইতিহাসের পরোক্ষ উল্লেখ হিসাবে, নকশাকারীরা সুড়ঙ্গের দেয়ালে ঘন লাল গুচ্ছ উপাদানের আস্তর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।[১]

কাউন্সিলর ডেনিস জেফারি এবং মার্ক বার্ন উইলিয়ামসন ২০০৮ সালের ২৭ জুন নতুন ব্রিজটি খুলে দেন।সংবাদপত্র দ্য টাইমস ২০০০০০ ইউরোর কাঠামোটিকে"আধুনিক কংক্রিট জিওমেট্রির নমুনা" হিসাবে বর্ণনা করেছিল।[৯] সন্ট মন্তব্য করেছিলেন যে,"এটা পরিকল্পনায় সচরাচর উপেক্ষা করা হয় এমন অঞ্চলগুলোর সৌকর্য সাধনের ব্যাপার"।[১০]

২০১১ সালে প্রস্তাবিত ক্যাসেলফোর্ড পুনরুদ্ধার প্রকল্পের বারোটি উপাদানের মধ্যে সুড়ঙ্গপথ প্রতিস্থাপন একটি।[১১] আগস্ট-সেপ্টেম্বর ২০০৮-এ চ্যানেল ফোর প্রচারিত চার পর্বের টেলিভিশন ধারাবাহিক, কেভিন ম্যাকক্লাউড এন্ড দ্যা বিগ টাউন প্ল্যানে এটিকে দেখানো হয়েছিল।

নামকরণের বিতর্ক[সম্পাদনা]

Oval metal plaque fixed to a wall.
নতুন ব্রীজ উদ্বোধনের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা ফলক।

কাউন্সিল নতুন সুড়ঙ্গপথের নাম টাইটেল কট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল,যে পদক্ষেপে স্থানীয় অধিবাসীরা আতঙ্কিত হয়েছিল। দ্য ক্যাসেলফোর্ড এরিয়া ভয়েস ফর এলডার্লি,পঞ্চাশোর্ধ্ব লোকের একটি দল টি্ক্‌ল কক্‌ নাম ফিরিয়ে আনার জন্য প্রচার অভিযান আয়োজন করেছিল। দলটির সভাপতি মার্গারেট শিলিটোর বক্তব্য সংবাদপত্রে উদ্ধৃত হয়েছিল,"পুরানো নাম-ফলকটি ভুল ছিল,এতে ভুল নাম ছিল এবং এটা আমাদের আহত করেছিল"। ব্রিয়ান লুইস এর বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছিল"আমি মনে করি আমাদের কখনই উচিত হবে না নাম পরিবর্তন করা এবং এর পিছনে টিক্‌ল কক্‌ এর পরিষ্কার বক্তব্য আছে"।একটি জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল যাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক পুরানো নাম ফিরিয়ে আনার পক্ষে ভোট দিয়েছিল, এ সিদ্ধান্ত কিংবদন্তি টি্ক্‌ল ব্রীজ লেখা নামফলক দিয়ে ব্রীজের নামফলক প্রতিস্থাপন করতে কাউন্সিলকে রাজি করিয়েছিল।[১২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

টীকা

  1. "Monkey run" was a British slang term for streets "where groups of young people paraded up and down, usually at weekends, in the hope of 'clicking' with somebody".[৫]

উদ্বৃতি

  1. Bloor, Caroline (২৯ আগস্ট ২০০৮), The Big Town Plan: The Underpass, Channel 4, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. "cock", Oxford English Dictionary (2nd সংস্করণ), Oxford University Press, ১৯৮৯, ২৫ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ 
  3. Holt ও Baker 2001, পৃ. 204–205
  4. Ginley, Joanne (১১ মার্চ ২০০৬), "Residents cock-a-hoop after winning fight to keep saucy underpass name", Yorkshire Post, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  5. Humphries 1988, পৃ. 38
  6. Shahmanesh-Banks, Nargess (১৪ জুলাই ২০০৮), "Castleford Reveals its Redesigned Underpass", Building, United Business Media, সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  7. "Castleford Project, Yorkshire Building", e-architect, সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১০ 
  8. "Tickle Cock Bridge Castleford", e-architect.co.uk, ৯ জুলাই ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১২ 
  9. "Tickle Cock is here to stay after angry residents demand Victorian landmark's name is NOT changed", Mail Online, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  10. Dyckhoff, Tom (২ আগস্ট ২০০৮), "Kevin McCloud's big town plan for Castleford", The Times, সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১০ 
  11. "Kevin McCloud and the Big Town Plan: a heroic failure?", The Guardian, ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮, সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১০ 
  12. Stokes, Paul (১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০), "Tickle Cock Bridge Returned to Original Name after Row", Telegraph Media Group, সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 

গ্রন্থপঞ্জি

  • Holt, Richard; Baker, Nigel (২০০১), "Indecent Exposure – Sexuality, Society and the Archaeological Record", Bevan, Lynne, Towards a Geography of Sexual Encounter: Prostitution in English Medieval Towns, Glasgow: Cruithne Press, আইএসবিএন 1-873448-19-8 
  • Humphries, Stephen (১৯৮৮), Secret World of Sex, Sidgwick & Jackson, আইএসবিএন 978-0-283-99553-8