ক্রোয়েশীয় টহল জাহাজ সোলটা (ওবি-০২)
২০১১ সালে লোরা নাভেল বেসে সোলটা
| |
ইতিহাস | |
---|---|
Yugoslavia | |
নাম: | মুকোস |
নির্মাতা: | Tito's Shipyard Kraljevica, Kraljevica, SR Croatia |
অভিষেক: | ১৮ই নভেম্বর ১৯৮২ |
অকার্যকর: | ১৪ই নভেম্বর ১৯৯১ |
শনাক্তকরণ: | পিসি-১৭৬ |
Croatia | |
নাম: | Šolta |
পরিচালক: | Croatian Navy |
কমিশন লাভ: | 15 May 1992 |
শনাক্তকরণ: | OB-02 |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | Mirna-শ্রেণী patrol boat |
ওজন: |
|
দৈর্ঘ্য: | ৩২ মি (১০৫ ফু ০ ইঞ্চি) |
প্রস্থ: | ৬.৭৫ মি (২২ ফু ২ ইঞ্চি) |
গভীরতা: | ২.৭ মি (৮ ফু ১০ ইঞ্চি) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | Maximum: ৩০ নট (৫৬ কিমি/ঘ; ৩৫ মা/ঘ) |
রণসজ্জা: | 1 × Bofors ৪০ মিমি (১.৬ ইঞ্চি)/1 D70 gun |
সোলটা (পতাকা নং ওবি-০২) হলো ক্রোয়েশীয় নৌবাহিনীর একটি প্যাট্রোল বোট বা টহল জাহাজ। ১৯৮০ সালে মুকোস (পিসি) হিসেবে এটা তৈরীর কাজ শেষ হয়। ক্রালিজেভিকা শিপইয়ার্ডে এই ক্লাসের ষষ্ঠ জাহাজ হিসেবে এই রণতরী যুগোস্লাভ নৌবাহিনীর জন্য তৈরী করা হয়।
ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, মু্কোস ছিলো একটি কৌশলী গ্রুপের অংশ, যার দায়িত্ব ছিলো স্প্লিট শহরে একটি নৌ অবরোধ করা। ১৪ নভেম্বরে ক্রোয়েশীয় নৌবাহিনীর একটি হঠাৎ নিক্ষেপ করা টর্পেডো দ্বারা এটি অক্ষম হয়ে যায়, এবং জাহাজের ক্রুগণ জাহাজটি ত্যাগ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজটি সোলটা নামক একটি দ্বীপে স্থানীয় ক্রোয়েশীয়রা টেনে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে এই জাহাজটি মেরামত করে ও এর নাম পরিবর্তন করে সোলটা রাখা হয়। ২০১৫ সালে, এখন পর্যন্ত জাহাজটি ক্রোয়েশীয় উপকূল রক্ষীবাহিনীদের কার্য সম্পাদনে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
নকশা ও নির্মাণ
[সম্পাদনা]সোলটা (পতাকা নং ওবি-০২) ছিলো মুকোস (পিসি) হিসেবে ক্রালিজেভিকা শিপইয়ার্ডে (জেআরএম) যুগোস্লাভ নৌবাহিনীর জন্য তৈরী করা এই ক্লাসের ষষ্ঠ জাহাজ। এটা চালু করা হয় ১৯৮২ সালের ১৮ নভেম্বর।[১] এটি্র দৈর্ঘ্য ৩২ মি (১০৫ ফু), ড্রাফট ২.৭ মি (৮.৯ ফু), ৬.৭৫ মি (২২.১ ফু) রশ্মি ও ১২৫ টন (১২৩ লং টন) একটি স্ট্যান্ডার্ড স্থানচ্যুতি।[২]
দুইটি এসইএমটি পাইলস্টিক ১২পিএ৪ ২০০ভিজিডিএস ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, সোলটাতে সর্বোচ্চ গতি ২৯.৫–৩০ নট (৫৪.৬–৫৫.৬ কিমি/ঘ; ৩৩.৯–৩৪.৫ মা/ঘ), এবং স্বাভাবিকভাবে ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এটির রেঞ্জ ১৫ নট (২৮ কিমি/ঘ; ১৭ মা/ঘ) গতিতে ৬০০ নটিক্যাল মাইল (১,১০০ কিমি; ৬৯০ মা) (১১০০ কি.মি.; ৬৯০ মাইল) এবং চার থেকে আট দিন পর্যন্ত (যুদ্ধের সময়) বাড়ানো যেতে পারে।[২][৩][৪]
জাহাজের মূল রণসজ্জা হলো জাহাজের সম্মুখে মাউন্ট করা একটি একক বোফর্স ৪০ এমএম ডি৭০ বন্দুক, ব্রিজের পিছনে একটি চতুর্বিধ স্টারলা ২ লঞ্চার এবং জাহাজের পিছনে একটি কোয়াড ২০ এমএম এম-৭৫ বন্দুক। সাবমেরিন ধ্বংস করার জন্য এটি ৮ টি এমডিবি-এমটি৩ ডেপথ চার্জ বহন করতে সক্ষম।[৩] ডবল ব্যারেল ১২৮ এমএম ইলুমিনেশন লঞ্চার পাশে অবস্থিত।[১][২] সেন্সরের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে - ডেকা আরএম ১২১৬ একটি পৃষ্ঠতল খোঁজার রাডার এবং সিমরাড এসকিউ 3D/এসএফ সোনার।[২]
সেবা
[সম্পাদনা]যুগোস্লোভিয়ান নেভির সাথে সমগযুক্ত থাকা অবস্থায় মুকোস ছিলো সীমান্ত প্রহরীর একটি অংশ।[৫][৬] ১৯৯১ সালের নভেম্বরে ক্রোয়েশীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুকোস ছিলো "কাস্তেলা" কৌশল গ্রুপের একটি অংশ, যার দায়িত্ব ছিলো স্প্লিট এবং তার পার্শবর্তী দ্বীপগুলোর উপর নৌ অবরোধ করা। ১৪ নভেম্বরের ১৭ঃ৩০ সময়ে দায়িত্বরত অবস্থায় মুকোস ক্রোয়েশীয় নৌবাহিনীর বিশেষ বাহিনী (এইচআরএম) দ্বারা চালুকৃত একটি বিশেষ টর্পেডো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে ডালমাটিয়ান চ্যানেলের যুদ্ধ শুরু হয়। বিস্ফোরণের ফলে জাহাজের সামনের অংশে একটি বড় ছিদ্র হয়, যার ফলে তিন জন ক্রু মারা যান। অন্য ক্রুগণ শারশেন-ক্লাস টর্পেডো বোট পাইওনির ২ (টিসি-২২৪) দ্বারা উদ্ধারপ্রাপ্ত হন।[৭][৮]
ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষার জন্য ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় একটি ক্রোয়েশীয় মাছ ধরা জাহাজ এটিকে স্থানীয় নিকুজাম উপসাগরে টেনে নিয়ে আসে। সেই দিনের শুরুতে বাকি জেআরএম জাহাজগুলো মুকোস ধ্বংসের প্রতিশোধ হিসেবে গুলি করা শুরু করে। যুগোস্লোভিয়ান সেনারা স্থান ত্যাগ করার পর জাহাজটিকে টেনে সিবেনিকের একটি শিপইয়ার্ডে আনা হয়।[৭][৮][৯] জাহাজটিকে পরে মেরামত করার পর এটার নাম পরিবর্তন করে সোলটা রাখা হয়, যা মাইল টমাসের নেতৃত্বে ১৫ মে ১৯৯২ সালে এইচআরএম এর সাথে যুক্ত হয়ে সেবা প্রদান শুরু করে।[৯]
২০০৭ সালের অক্টোবরে ক্রোয়েশীয় উপকূল রক্ষীবাহিনী গঠিত হয় এবং স্প্লিটের উপর ভিত্তি করে সোলটাকে ১ম বিভাগে নিয়োজিত করা হয়। একই বছরে জাহাজটিকে আধুনিকায়ন করা হয়। নতুন স্পেরি রাডার, বৃত্তাকারে ঘূর্ণন কম্পাস এবং জিপিএস স্থাপন করা হয়। স্টারলা লঞ্ছার এবং স্টার্ন ২০ এমএম এম-৭০ বন্দুক অপসারণ করে ফাঁকা স্থানে আরএইচআইবি এবং হাইড্রোলিক ক্রেন স্থাপনের মাধ্যমে ২০০৭ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পুনর্বার আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া চলতে থাকে। পতাকা নাম্বারকে ওবি-৬২ থেকে পরিবর্তন করে ওবি-০২ রাখা হয়।[১০]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Saunders 2004, পৃ. 163।
- ↑ ক খ গ ঘ Brodarski institut - Fast Patrol Craft Mirna।
- ↑ ক খ Wertheim 2007, পৃ. 146।
- ↑ Alan Agency।
- ↑ Gardiner 1995, পৃ. 648।
- ↑ Švel 13 August 2012।
- ↑ ক খ Bernardić 15 November 2004।
- ↑ ক খ Dadić 16 November 2013।
- ↑ ক খ OSRH।
- ↑ Vlahović April 2013।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- বই
- Gardiner, Robert (১৯৯৫)। Conway's All the World's Fighting Ships, 1947–1995। Annapolis, Maryland: Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-0-85177-605-7।
- Wertheim, Eric (২০০৭)। The Naval Institute Guide to Combat Fleets of the World, 15th Edition: Their Ships, Aircraft and Systems। Annapolis, Maryland: Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-1-59114-955-2।
- Saunders, Stephen (২০০৪)। Jane's Fighting Ships 2004–2005। Jane's Information Group Limited। আইএসবিএন 0-7106-2623-1।
- সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
- Švel, Boris (১৩ আগস্ট ২০১২)। "Tko čuva Jadran (nekad i sad)?" [Who's guarding the Adriatic (then and now)?]। obris.org। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- Vlahović, Domagoj (এপ্রিল ২০১৩)। "Noćna vježba Obalne straže" [Night exercise of the Coast Guard]। Hrvatski vojnik। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- Bernardić, Stjepan (১৫ নভেম্বর ২০০৪)। "Admiral Letica je naredio: Raspali!" [Admiral Letica ordered: Fire!]। Slobodna Dalmacija। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- Dadić, Joško (১৬ নভেম্বর ২০১৩)। "Pobjedom HRM-a u Bračkom kanalu, JNA bila prisiljena na odlazak iz Splita (VIDEO)" [With the victory of the Croatian Navy in the strait of Brač, the JNA was forced to leave Split]। Dalmacija News। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- Urlić, Ante (মে ২০১০)। "Pozicioniranje Obalne straže Republike Hrvatske" [Positioning of the Croatian Coast Guard]। Hrvatski vojnik। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- অন্যান্য উৎস
- "Godišnje izvješće o spremnosti oružanih snaga" [Annual report on the state of the armed forces] (PDF)। Ministry of Defence। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- "Fast Patrol Craft Mirna" (পিডিএফ)। Brodarski institut। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬।
- "Patrol Boat "Šolta" Class"। Alan Agency। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।
- "Obalna straža RH" [Croatian Coast Guard]। Armed Forces of the Republic of Croatia। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১৪।