বিষয়বস্তুতে চলুন

অচেতনাবস্থা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(কোমা থেকে পুনর্নির্দেশিত)
অচেতনাবস্থা
প্রতিশব্দঅচেতনতা, অচৈতন্য, সংজ্ঞাহীনতা, চেতনাশূন্যতা, চৈতন্যহীনতা
একজন অচেতন পুরুষ পুনরুদ্ধার অবস্থায় শায়িত
বিশেষত্বমনোরোগ বিজ্ঞান
স্নায়ুচিকিৎসাবিজ্ঞান
হৃদবিজ্ঞান
ফুসফুসবিজ্ঞান

অচেতনাবস্থা বলতে এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে একজন জীবিত ব্যক্তি নিজের এবং পরিবেশের সচেতনতা বজায় রাখতে বা কোনও মানুষ্য বা পরিবেশগত উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ অক্ষমতা প্রদর্শন করে।[] মস্তিষ্কের আঘাতজনিত জখম, মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা (সম্ভবত মস্তিষ্কের রক্তনালীতে বাধা বা হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া), কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ কমিয়ে দেয় এমন ওষুধের (যেমন, অ্যালকোহল এবং অন্যান্য সম্মোহক বা প্রশান্তিদায়ক ওষুধ) দ্বারা মারাত্মক বিষক্রিয়া, চরম ক্লান্তি, ব্যথা, অজ্ঞান করার ওষুধ (অ্যানেস্থেশিয়া) এবং অন্যান্য কারণে অচেতন হয়ে যেতে পারে।

অচেতনাবস্থার সমার্থক শব্দ হিসেবে বাংলায় অচেতনতা, অচৈতন্য, সংজ্ঞাহীনতা, চেতনাশূন্যতা, চৈতন্যহীনতা, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

চেতনা হারানোর ধারণাটিকে মনোসমীক্ষণীয় অবচেতন, যেমন সচেতনতার বাইরে সংঘটিত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়া (অপ্রকাশিত বা প্রচ্ছন্ন জ্ঞান) কিংবা সচেতনতার পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা উচিত নয়। পরিবর্তিত সচেতনতার অবস্থাগুলোর মধ্যে ঘুম, প্রলাপ, সম্মোহন এবং এমন অন্যান্য অবস্থাগুলি অন্তর্ভুক্ত, যেখানে ব্যক্তি উত্তেজনার প্রতি সাড়া দেয়। এর মধ্যে ট্রান্স এবং সাইকেডেলিক অভিজ্ঞতাও অন্তর্ভুক্ত।

কারণসমূহ

[সম্পাদনা]

এটি একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়।

সংবহন তন্ত্র

[সম্পাদনা]

স্নায়ুতন্ত্র

[সম্পাদনা]

শ্বসনতন্ত্র

[সম্পাদনা]

অন্যান্য

[সম্পাদনা]

আইন ও চিকিৎসাবিজ্ঞান

[সম্পাদনা]
২০০৮ সালে নিউ ইয়র্ক সিটির ফুটপাতে একজন ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন

আইন অনুযায়ী, অচেতনাবস্থা ফৌজদারি আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করার সময় অচেতন থাকেন অর্থাৎ কাজের উপর তার নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে তিনি "স্বয়ংক্রিয়তা" নামক আইনি যুক্তির আশ্রয় নিতে পারেন। স্বয়ংক্রিয়তা হলো এমন এক অবস্থা যেখানে শরীর কাজ করে কিন্তু মন বা মস্তিষ্ক যুক্ত থাকে না। ফৌজদারি আইনে, কোনো ব্যক্তিকে তখনই দোষী সাব্যস্ত করা যায় যখন তিনি স্বেচ্ছায় এবং সজ্ঞানে কোনো অপরাধ করেন। অচেতনাবস্থায় কৃত কোনও কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি দায়ী নন। প্রায় সকল দেশেই আদালতকে বিচার করতে হয় যে কোনো অবস্থায় বেহুঁশ থাকাকে একটি বৈধ কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় কিনা; যা প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন হতে পারে। তাই, মৃগীরোগের খিঁচুনি, স্নায়বিক বৈকল্য এবং ঘুমের মধ্যে হাঁটা—গ্রহণযোগ্য অজুহাত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, কারণ এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারানো অপ্রত্যাশিত। কিন্তু ঘুমিয়ে পড়া (বিশেষত গাড়ি চালানোর সময় বা অন্য কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সময়) গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কারণ স্বাভাবিক ঘুম সাধারণত কাউকে পূর্বসতর্কতা ছাড়াই অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রাস করে না।

অনেক দেশে, এটা ধরে নেওয়া হয় যে একজন ব্যক্তি যিনি সম্পূর্ণরূপে সচেতন নন তিনি কোনো কিছুর জন্য সম্মতি দিতে পারেন না। এটি যৌন নিপীড়ন, ইচ্ছামৃত্যু অথবা রোগীদের চিকিৎসা শুরু বা বন্ধ করার ক্ষেত্রে তাদের জ্ঞাত সম্মতি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "MeSH Browser"www.nlm.nih.gov। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]