বিজ্ঞান হল এমন এক ধরণের জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ এবং কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা বা ঘটনার ভবিষ্যৎবাণীর কারণ দেখানোর ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সূক্ষ্ণতর কারণ ব্যাখ্যন, এ সবই বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আবশ্যক। এ ধরণের পদ্ধতির মথ্যে প্রথমেই আসে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে উপযুক্ত পরীক্ষণ এবং যুক্তির মাধ্যমে সত্যায়িতকরণ। এ ধরণের সত্যায়িত প্রকল্প সময়ের প্রয়োজনে এক সময় সত্যের মানদন্ড হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কালক্রমে একটি সূত্রের মর্যাদা পায়; তবে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়। পরবর্তীতে অধিক নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব এই প্রতাষ্ঠিত তত্ত্বকেও নাকচ করে দিতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলে বিজ্ঞান।
ভাষাবিজ্ঞান বলতে একটি সংশ্রয় হিসেবে ভাষার প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যেকোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে বোঝায়। যাঁরা এই গবেষণায় রত, তাঁদেরকে বলা হয় ভাষাবিজ্ঞানী।ভাষাবিজ্ঞানীরা নৈর্ব্যক্তিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষাকে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করেন; ভাষার সঠিক ব্যবহারের কঠোর বিধিবিধান প্রণয়নে তাঁরা আগ্রহী নন। তাঁরা বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে এদের সাধারণ উপাদানগুলো বের করার চেষ্টা করেন এবং এগুলিকে এমন একটি তাত্ত্বিক কাঠামোয় দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন, যে কাঠামো সমস্ত ভাষার বিবরণ দিতে এবং ভাষাতে কোন্ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারেও ভবিষ্যৎবাণী করতে সক্ষম। ভাষা নিয়ে গবেষণা একটি অতি প্রাচীন শাস্ত্র হলেও কেবল ১৯শ শতকে এসেই এটি বিজ্ঞানভিত্তিক ‘ভাষাবিজ্ঞান’ নামের শাস্ত্রের রূপ নেয়। ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক দিক ও ব্যবহারিক দিক দুই-ই বিদ্যমান। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার ধ্বনিসম্ভার (ধ্বনিতত্ত্বওধ্বনিবিজ্ঞান), ব্যাকরণ (বাক্যতত্ত্ব ও রূপমূলতত্ত্ব) এবং শব্দার্থ (অর্থবিজ্ঞান) নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানে অনুবাদ, ভাষা শিক্ষণ, বাক-রোগ নির্ণয় ও বাক-চিকিৎসা, ইত্যাদি আলোচিত হয়। এছাড়া ভাষাবিজ্ঞান জ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে মিলে সমাজভাষাবিজ্ঞান, মনোভাষাবিজ্ঞান, গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে। (বাকি অংশ পড়ুন...)
গডফ্রে নেলার কর্তৃক স্যার আইজাক নিউটনের ৪৬ বছর বয়সের স্থির প্রতিকৃতি
স্যার আইজাক নিউটন (ইংরেজি: Sir Isaac Newton; ৪ জানুয়ারি ১৬৪৩ - ৩১ মার্চ ১৭২৭) প্রখ্যাত ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট। অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে তার বিশ্ব নন্দিত গ্রন্থ ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয় যাতে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে, আর তার গবেষণার ফলে উদ্ভূত এই চিরায়ত বলবিজ্ঞান পরবর্তী তিন শতক জুড়ে বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার জগতে একক আধিপত্য করেছে। তিনিই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। কেপলারের গ্রহীয় গতির সূত্রের সাথে নিজের মহাকর্ষ তত্ত্বের সমন্বয় ঘটিয়ে তিনি এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে সমর্থ হয়েছিলেন। তার গবেষণার ফলেই সৌরকেন্দ্রিক বিশ্বের ধারণার পেছনে সামান্যতম সন্দেহও দূরীভূত হয় এবং বৈজ্ঞানিক বিপ্লব ত্বরান্বিত হয়।
বলবিজ্ঞানের ভিত্তিভূমি রচনা করেছেন নিউটন। রৈখিক এবং কৌণিক ভরবেগের সংরক্ষণ সূত্রের মাধ্যমে তিনি এই ভিত্তি রচনা করেন। আলোকবিজ্ঞানের কথায় আসলে তার হাতে তৈরি প্রতিফলন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা এসে যায়। একই সাথে তিনি আলোর বর্ণের উপরএকটি তত্ত্ব দাড় করান যা একটি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন। পর্যবেক্ষণটি ছিল ত্রিভুজাকার প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাওয়া আলোর বিক্ষেপণের উপর যার মাধ্যমে দৃশ্যমান বর্ণালির সৃষ্টি হয়েছিল। শব্দের দ্রুতি এবং শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন যা থেকে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র এসেছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
... খাদ্য নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো প্রজাপতি মাছের কিছু প্রজাতি খুব বাহানা করে, প্রবাল ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না?
... দশ বছর বয়সে, একটি মেয়ের শরীরে একই বয়সের একটি ছেলের তুলনায় গড় চর্বির পরিমাণ থাকে মাত্র ৫% বেশি, কিন্তু বয়ঃসন্ধির শেষে এসে এই পার্থক্য হয় ৫০%-এর কাছাকাছি?
... কিছু ঝুমঝুমি সাপ আছে যেগুলো ডিম পাড়ার বদলে সরাসরি বাচ্চা সাপের জন্ম দেয়?
... সামান্য কিছু ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাক ছাড়া মৃত সাগরে কোন মাছ বা উদ্ভিদ বাঁচতে পারে না?
... স্যার আইজাক নিউটনের সময় অনেকে বিশ্বাস করত যে প্রিজম নতুন রঙের আলো সৃষ্টি করে?
নিচের বিষয়শ্রেণীগুলোর অধীনে সবগুলো নিবন্ধ সাজানো আছে। [►] চিহ্নে ক্লিক করলেই উপ-বিষয়শ্রেণী দেখতে পাবেন।