বেলাল আহমেদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা আফতাব বট (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২২:১৬, ৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (দৈনিক প্রথম আলোর ইউআরএল সংশোধন)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

বেলাল আহমেদ
বেলাল আহমেদ পরিচালক সমিতি অফিসে ২০১১
জন্ম
বেলাল আহমেদ

(1948-11-28) ২৮ নভেম্বর ১৯৪৮ (বয়স ৭৫)
হাতিরপুল, ঢাকা, বাংলাদেশ
মৃত্যু১৮ আগস্ট ২০১৪(2014-08-18) (বয়স ৬৫)
ঢাকা, বাংলাদেশ
সমাধিবনানী কবরস্থান, ঢাকা
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক
কর্মজীবন১৯৬৭ – বর্তমান

বেলাল আহমেদ (জন্ম: ২৮ নভেম্বর ১৯৪৮ - মৃত্যু: ১৮ আগস্ট ২০১৪),[১] ঢাকার হাতিরপুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি ১৯৬৭ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের সাথে স্বরলিপি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এবং ১৯৭৯ সালে নাগরদোলা চলচ্চিত্রটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।[২] তিনি তাঁর দীর্ঘ চলচ্চিত্র জীবনে মোট নয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সর্বশেষ তিনি মাহমুদুল হকের 'মাটির জাহাজ' উপণ্যাস অবলম্বনে অনিশ্চিত যাত্রা নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।[৩]

সংক্ষিপ্ত জীবনী

বেলাল আহমেদের জন্ম ঢাকার হাতিরপুলে ১৯৪৮ সলের ২৮ নভেম্বর। তাঁর বেড়ে উঠাও ঢাকাতেই, তিনি ছোট বেলা থেকেই বিনোদন সংস্থা গুলোর সাথে জড়িত। তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে প্রায় সাতটি প্রামান্য চিত্রে কাজ করেছেন। এবং ষাটের দশকের প্রথম দিকে ততকালীন পূর্ব পাকিস্তান আমলে কাজী জহির পরিচালিত উর্দু ভাষার বন্ধন ছবিতে কিশোর শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রেডিও পাকিস্তান এবং ভয়েস অফ আমেরিকা এর প্রচারিত নাটকেও কণ্ঠ দিয়েছেন।[১]

চলচ্চিত্র জীবন

বেলাল আহমেদ ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্র পরিচালক নজরুল ইসলামের সাথে স্বরলিপি চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং এটি ১৯৭০ সালে মুক্তি পায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পর ১৯৭৬-এ তিনি পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে নাগরদোলা চলচ্চিত্রটি নির্মাণ শুরু করেন এবং এটি ১৯৭৯ সালে মুক্তি দেয়া হলে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। এরপর দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আবার ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করেন নয়নের আলো ছবিটি।[২] নয়নের আলো মুক্তির পর থেকে তিনি নিয়মিত চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন, যেমন- ঘর আমার ঘর (১৯৮৬),[২] আমানাত (১৯৮৭),[২] বন্ধন[২]গঙ্গা যমুনা (১৯৮৮), সাক্ষী প্রমান (১৯৮৯)[২] এবং ১৯৯০ সালে ক্রিমিনাল ছবিটি নির্মাণ করে আবার দীর্ঘ বিরতিতে চলে যান।

এরপর তিনি ফিরে আসেন ২০০৫ সালে, বাংলাদেশের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় উপণ্যাস নন্দিত নরকে অবলম্বনে একই শিরোনামে নির্মাণ শুরু করেন চলচ্চিত্র নন্দিত নরকে এবং এটি ২০০৬ সালে মুক্তি লাভ করে।[২] আবার পাঁচ বছরের বিরতি নিয়ে তিনি ২০১১ সালে এসে মাহমুদুল হকের 'মাটির জাহাজ' উপণ্যাস অবলম্বনে অনিশ্চিত যাত্রা নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন।[৪] এই চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালে মুক্তি দেয়া হবে।

সর্বশেষ তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ব্যানারে নির্মিতব্য অনুদানের ছবি ভালোবাসবোই তো এর কাজ করছিলেন। প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিতব্য ছবিটির প্রধান অভিনয় শিল্পী হলেন মৌসুমী ও নিলয়। আগস্ট ২৫ থেকে ছবিটির বাকি অংশের শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। [১]

পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ

  • নাগরদোলা - (১৯৭৯)
  • নয়নের আলো - (১৯৮৪)
  • ঘর আমার ঘর - (১৯৮৬)
  • আমানাত - (১৯৮৭)
  • বন্ধন - (১৯৮৮)
  • গঙ্গা যমুনা - (১৯৮৮)
  • সাক্ষী প্রমান - (১৯৮৯)
  • ক্রিমিনাল - (১৯৯০)
  • নন্দিত নরকে - (২০০৬)
  • অনিশ্চিত যাত্রা - (২০১২)
  • ভালোবাসবোই তো - (২০১৪ অসমাপ্ত)

সম্মাননা

আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে অংশগ্রহণ

আন্তর্জাতিক সম্মাননা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মহাপ্রয়াণ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ