স্বলিখিত জীবনী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
A faded sepia photograph of an old man with neck beads on a deteriorated paper page.
A page with angular Bengali handwriting and a square diagram.
ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের স্বাক্ষর সহ ছবি (বামে) ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে লিখিত আত্মজীবনী - 'স্বলিখিত জীবনী' (ডাইনে)
স্বলিখিত জীবনী বইয়ের বাংলা সংস্করণ

স্বলিখিত-জীবনী হল ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি দার্শনিক  ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সুপরিচিত কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ লিখিত  আত্মজীবনী। গ্রন্থটি ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন তার পুত্র ললিতাপ্রসাদ দত্ত। বাংলার নবজাগরণে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের একজন নেতৃস্থানীয় দার্শনিক, সাধক এবং আধ্যাত্মিক সংস্কারক ছিলেন ভক্তিবিনোদ ঠাকুর। দীর্ঘ এক শতাব্দী পর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থটি সংশোধিত আকারে পুন:মুদ্রিত হয়েছে কলকাতার ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার ও  দে'জ পাবলিশার্সের উদ্যোগে।[১][২] [৩]

সারসংক্ষেপ[সম্পাদনা]

A deteriorated printed page with Bengali lettering
A deteriorated printed page with Bengali lettering
১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে মুদ্রিত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর রচিত 'স্বলিখিত জীবনী'র পৃষ্ঠা সংখ্যা ১ ও ২

১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর তার পুত্র ললিতাপ্রসাদ দত্তের অনুরোধে সে সময়কাল পর্যন্ত ছাপ্পান্ন বৎসরের বিস্তৃত বিবরণ চিঠিপত্রের আকারে 'স্বলিখিত জীবনী' নামে আত্মকথন লেখেন।[৪][৫] তিনি অকপটে তার জীবন পথের নানান চিত্রপটে এনেছেন আর্থিক সংগ্রাম, স্বাস্থ্য সমস্যা, আভ্যন্তরীণ সন্দেহে এবং নিরাপত্তাহীনতার  দিনগুলোর কথা। এগুলির মাঝে ২৯ বৎসর বয়সেই গভীর  আত্মদর্শনে তিনি ধীরে ধীরে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনাদর্শের ও  শিক্ষার গভীর অধ্যয়নে ও অনুশীলনে খুঁজে পান জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। নিজেকে উৎসর্গ করেন গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের প্রচার ও প্রসারে। আধ্যাত্মিক নেতা হিসাবে তিনি তার অনুসারীদের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হন। কখনো তিনি তার আধ্যাত্মিক বুদ্ধি, সাধুত্ব, ক্ষমতা বা ক্যারিশমা প্রদর্শন করেন নি। বরং প্রকৃত সৎ, অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ  হিসাবে তিনি সবার হৃদয়ে স্থান অর্জন করে নেন। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের  মৃত্যুর পর গ্রন্থটি ১৯১৬ সালে ললিতাপ্রসাদ দত্ত কর্তৃক প্রকাশিত হয়। [৬]

২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ইসকনের মায়াপুরে সংশোধিত আকারে পুন:মুদ্রিত গ্রন্থটি  প্রকাশের এক অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ধর্মকেন্দ্রিক ইতিহাস চর্চার গবেষক শান্তনু দে উল্লেখ করেন-

বইটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব ভক্তদের এবং সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র, গবেষক এবং যারা ঔপনিবেশিক বাংলার ধর্মীয় ইতিহাস সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তাদের কাছে একটি অমূল্য সম্পদ।

[১][২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]