স্থলপথে মাল পরিবহন ব্যবসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশের একটি ট্রাকগাড়ি সড়কপথে ইটের বোঝার মাল পরিবহন করে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থলপথে মাল পরিবহন ব্যবসা বলতে সড়কপথে বা রেলপথে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পাইকারি দোকান, কারখানা, গুদাম বা ভাণ্ডারে পণ্যদ্রব্য তথা মালামাল পরিবহনের ব্যবসাকে বোঝায়। একে ইংরেজিতে "হলেজ" (Haulage) বলা হয়।[১][২][৩]

শাক-সবজি, অন্যান্য খাদ্য, বস্ত্র, আকরিক, কয়লা ও অন্যান্য যেকোনও ধরনের পণ্য বা দ্রব্য বিপুল পরিমাণে পরিবহন এই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া রাসায়নিক দ্রব্যের বৃহৎ শক্ত-করে-আঁটা বাক্স, বর্জ্য নিষ্কাশন, ইত্যাদিও এই ব্যবসার মধ্যে পড়ে। পণ্যদ্রব্যগুলিকে বড় বড় মালবাহী বগি বা কামরায় বোঝাই করা হয় এবং এইসব ভারী বাহনকে বিভিন্ন গন্তব্যে সবলে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। অতীতে বৃহৎ পশু যেমন ঘোড়া বা ষাঁড় দিয়ে পণ্যবোঝাই গাড়ি টেনে নেওয়া হত। দুই চাকার এক্কাগাড়িতে মাল পরিবহন (ইংরেজিতে Cartage কার্টেজ) বা চার চাকার গাড়িতে মাল পরিবহন (ইংরেজিতে Dreyage ড্রেয়েজ) বহুল প্রচলিত ছিল। আধুনিক যুগে এসে মোটরযান যেমন ট্রাক কিংবা রেলগাড়ির মাধ্যমে স্থলপথে মাল পরিবহন সম্পাদন করা হয়।

স্থলপথে মাল পরিবহনকে অনেক সময় "অনুভূমিক পরিবহন" (horizontal transport) নামেও ডাকা হয়। এর বিপরীতে সারসযন্ত্র তথা ক্রেনের মাধ্যমে নিচ থেকে উপরে মাল উত্তোলন করাকে "উল্লম্ব পরিবহন" (vertical transport) বলা হয়।

স্থলপথে মাল পরিবহনের পালায় নিয়োজিত ট্রাক চালকরা সাধারণত পুরুষ হয়ে থাকে। তারা প্রায়শই দীর্ঘ সময় ধরে ভারী কাজ করে এবং খুবই কম বিশ্রাম নেয়। তারা প্রায়শই রাত্রিতে তাদের যানবাহনের ভেতরেই ঘুমিয়ে থাকে এবং বিরতিস্থলগুলিতে খাবার খায় ও স্নান বা গোসল করে। ভবিষ্যতে স্বয়ংক্রিয় যানবাহনের প্রচলন হলে মানব যানবাহন চালকদের পেশা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

স্থলপথে মাল পরিবহনের খরচের (যাকে ইংরেজিতে একই শব্দ ব্যবহার করে "হলেজ" বলা হয়) মধ্যে মালামাল দুইচাকার মালগাড়ি, রেলের মালগাড়ি, লরি, ট্রাক, ইত্যাদি পরিবহন খরচ ছাড়াও মাল বোঝাই করার (যেমন খনি থেকে অপরিশোধিত আকরিক গাড়িতে তোলা) খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Haulage"Cambridge Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২২ 
  2. "Haulage"MacMillan Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২২ 
  3. "Haulage"Lexico powered by Oxford Dictionaries। ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০২২