সুরেন্দ্র গ্যাডলিং

সুরেন্দ্র গ্যাডলিং নাগপুরে অবস্থিত মানবাধিকার আইনজীবী এবং দলিত অধিকার কর্মী।

ব্যক্তিগত জীবন

সুরেন্দ্র ইন্দোরার একটি বস্তিতে দলিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি স্ত্রী, দুই সন্তান ও মাকে নিয়ে ভীম চকে বাস করেন।

কাজ

সুরেন্দ্র রেলপথে শিক্ষানবিস হিসাবে তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন।

তিনি গাদছিরোলি এবং গন্ডিয়া জেলাগুলিতে দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অবৈধ হত্যা, পুলিশি বাড়াবাড়ি, জালিয়াতি মামলা এবং নৃশংসতার মামলা দায়ের করার জন্য পরিচিত। তাকে ইউএপিএ, বন অধিকার আইন, তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (নৃশংসতা প্রতিরোধ) আইনের মতো বিশেষ আইনের বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে অরুণ ফেরেরার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি নকশাল যোগসূত্রের জন্য কারাবন্দী দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিএন সাঁইবাবার মামলা পরিচালনা করছিলেন। অ্যাডভোকেট মিহির দেসাই তার কাছ থেকে মামলাটি গ্রহণ করেন।

তিনি তার বেশিরভাগ কেস প্রো-বোনো গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।

অ্যাক্টিভিজম

রেলওয়ের শিক্ষানবিশ হিসাবে কাজ করার সময় সুরেন্দ্র নাগ নাগপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং অধিকার ও নিপীড়নের বিষয়ে কথোপকথনে জড়িত হয়ে ওড়ান নাট্য মঞ্চ শুরু করেছিলেন।

গ্যাডলিং একটি স্বাধীন তথ্য-দল অনুসন্ধানকারী দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল যে এপ্রিল ২০১৮ এ গদরচিরোলিতে পুলিশ দ্বারা ৪০ জন অভিযুক্ত মাওবাদীদের হত্যার তদন্ত করেছিল।

তিনি গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি (সিপিডিআর) এবং সিআরপিপির সদস্য ছিলেন।

গ্রেফতার

৬ ই জুন ২০১৮তে তাকে আরও চারজন- সুধীর ধাওয়াল, শোমা সেন, রনা উইলসন এবং মহেশ রাউত সহ পুনে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (ইউএপিএ) এর আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ৮ ই জুন ২০১৮তে, তিনি সাসুন হাসপাতালে স্থানান্তরিত হওয়ার পরে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে তাকে পুলিশ রিমান্ড থেকে বিচারিক হেফাজতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।