সাজুন্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


সাজুন্তি
(Red Pierrot)
সাজুন্তি (Red Pierrot)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Arthropoda
শ্রেণী: Insecta
বর্গ: Lepidoptera
পরিবার: Lycaenidae
গণ: Talicada
প্রজাতি: T. nyseus
দ্বিপদী নাম
Talicada nyseus
(Guerin, 1843)

সাজুন্তি[১] (বৈজ্ঞানিক নাম: Talicada Nyseus) এক প্রজাতির ছোট আকারের চমকপ্রদ প্রজাপতি, যা কালো ছিটযুক্ত বা কমলা ও কালো পাড় যুক্ত সাদা বর্ণের। এরা ‘লাইসিনিডি’ পরিবারের সদস্য।

আকার[সম্পাদনা]

প্রসারিত অবস্থায় সাজুন্তির ডানার মাপ ৩০-৩৫ মিলিমিটার দৈর্ঘের হয়।[২]

উপপ্রজাতি[সম্পাদনা]

ভারতে প্রাপ্ত সাজুন্তি এর উপপ্রজাতি হল- [৩]

  • Talicada nyseus nyseus Guérin-Méneville, 1843 – Indian Red Pierrot
  • Talicada nyseus khasiana Swinhoe, 1893 – Khasi Red Pierrot

বিস্তার[সম্পাদনা]

সাধারণত বনাঞ্চলে দেখা মেলে। এছাড়া এদের সাধারনত ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়াতে দেখা যায়।

Red Pierrot (Talicada nyseus) আঙুলের ডগায় সাজুন্তি

বর্ণনা[সম্পাদনা]

এই প্রজাপতির ওপর-পিঠ কালো বর্ণের হয় কিন্তু পিছনের ডানার ভূমিকোন সংলগ্ন অংশ লালচে কমলা। সামনের দিকের ডানা সাদা বর্ণের হয়। ডানার প্রান্তে কালো পটি থাকে যা প্রায় ডানার অর্ধেক ঢেকে রাখে। তার ওপর সাদা সাদা অনিয়তাকার ফুটকি থাকে।[৪] পিছনের ডানা সাদা হয়। তার ভেতরের অংশের সামনের দিকে এক-তৃতীয়াংশ কালো এবং বাকী অংশ লালচে কমলা বর্ণের হয়।ডানার অবশিষ্ট অংশ সাদার ওপর কালো ছোপ দেখা যায়। এরা ওড়ে খুব ধীর গতিতে এবং একটানা বেশীদূর বা বেশিক্ষন উড়তে পারে না। [৫] এরা খুব ফুল পছন্দ করে।[৬]

Red Pierrot(সাজুন্তি) পাথরকুচি পাতার ওপর বিশ্রামরত অবস্থা

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

ডিম[সম্পাদনা]

  • স্ত্রী সাজুন্তি পাতার নিচের দিকে ডিম পাড়ে। ডিম সবুজ বর্ণের এবং চ্যাপ্টা চাকতির মতো দেখতে হয়। ডিমগুলির গায়ে শিরা লক্ষ্য করা যায়।

শূককীট[সম্পাদনা]

  • শূককীট গুলি লম্বাটে এবং স্থূল চিঁড়ের মতো দেখতে এবং এরা ফ্যাকাশে ঘিয়ে রঙের হয়। গায়ে রোঁয়া আছে, বিশেষ করে পাশের দিকে প্রান্ত বরাবর।

আহার্য উদ্ভিদ[সম্পাদনা]

এই শূককীট পাথরকুচি (Kalanchoe pinnata)[৭] ও তাদের সমগোত্রীয় কিছু গাছ এবং হিমসাগর (Kalanchoe laciniata)[৮] গাছের পাতার রসালো অংশ আহার করে।

মূককীট[সম্পাদনা]

  • মূককীট তৈরী করে গাছের পাতার ওপর বা নিচের পিঠে।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Dāśagupta, Yudhājit̲̲̲̲̲̲a (২০০৬)। Paścimabaṅgera prajāpati (1. saṃskaraṇa. সংস্করণ)। Kalakātā: Ānanda। পৃষ্ঠা 142। আইএসবিএন 81-7756-558-3 
  2. Isaac, Kehimkar (২০০৮)। The book of Indian Butterflies। New Delhi। পৃষ্ঠা 266।publisher=Oxford University Press। আইএসবিএন 978 019569620 2 
  3. "Talicada nyseus Guérin-Méneville, 1843 – Red Pierrot"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. Kunte, Krushnamegh (২০০০)। Butterflies of Peninsular India। New Delhi: Orient Blackswan Pvt. Ltd.। আইএসবিএন 81-7371-354-5 
  5. Basu Roy, Arjan (২০১১)। Butterflies and Wildflowers of Tollygunge Club (2011 সংস্করণ)। Kolkata: Tollygunge Club। পৃষ্ঠা 31। 
  6. Bingham, C. T. 1907. Fauna of British India. Butterflies. Volume 2
  7. Kunte, Krushnamegh (২০১৩)। Butterflies of The Garo Hills। Dehradun: Samrakshan Trust, Titli Trust and Indian Foundation of Butterflies। পৃষ্ঠা 36। 
  8. The book of Indian Trees। New Delhi: Oxford University Press। ২০১০। আইএসবিএন 01-9564-589-8  Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]