সবুজঠোঁট মালকোআ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সবুজঠোঁট মালকোআ
Phaenicophaeus tristis
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: কুকুলিফর্মিস
পরিবার: কুকুলিডি
গণ: Phaenicophaeus
প্রজাতি: P. tristis
দ্বিপদী নাম
Phaenicophaeus tristis
(Lesson, 1830)

সবুজঠোঁট মালকোআ বা বন কোকিল (বৈজ্ঞানিক নাম: phaenicophaeus tristis) কোকিল প্রজাতির লম্বা লেজের পাখি। পাহাড়ি বন ও প্রাকৃতিক বনগুলোতেই বেশি দেখা যায় এদের।[২][৩][৪]

আকার[সম্পাদনা]

ফ্রেসারস পাহাড়, মালয়শিয়া, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭
সবুজঠোঁট মালকোআ
সবুজঠোঁট মালকোআ

স্বভাবে কুকোর মতো—দেখতেও অনেকটা একই ধরন-গড়নের, লেজটা তুলনামূলকভাবে বেশি লম্বা। লেজ-পিঠ নীলচে ধূসর, চওড়া লেজের ডগা ও প্রান্তদেশে সাদা রং মাখানো। বুক-পেট-ঘাড়-গলা ধূসর ছাই। কালচে পা, সবুজাভ ঠোঁট। চোখের ওপরে যেন লাল কাজল লেপটানো। মাপ ৫১ সেন্টিমিটার।[২]

বাসা[সম্পাদনা]

কোকিল গোত্রীয় পাখি হয়েও এরা বাসা বানায় গাছের ডালে কাঠি ও ডালপালা দিয়ে। ডিম পাড়ে দু-তিনটি। নিজেদের বাসার ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেয় না অন্য কোনো পাখিকে। [২]

খাদ্য[সম্পাদনা]

পোকা মাকড়, পতঙ্গ, ছোট পাখি ও পাখির ডিম-ছানাও খায় এরা।[২]

স্বভাব[সম্পাদনা]

বুদ্ধিমান, সাহসী এবং লড়াকু স্বভাবের পাখি এরা। গিরগিটি, নির্বিষ সাপ, ব্যাঙ, তক্ষক ইত্যাদি যথেষ্ট কৌশল খাঁটিয়ে শিকার করে এরা। পায়ের ব্যবহার এরা ভালো জানে।[২]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Phaenicophaeus tristis"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২ 
  2. বন কোকিলের কথা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], শরীফ খান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১৪, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. Grimmett, Richard, 1960-। Birds of northern India। Inskipp, Tim,। London। আইএসবিএন 978-1-4081-8874-3ওসিএলসি 1050448468 
  4. Ali, Sálim (১৯৬৪)। The Book of Indian Birds (ইংরেজি ভাষায়)। Bombay Natural History Society। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]