শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম

স্থানাঙ্ক: ৩২°১′৭″ উত্তর ৪৮°৫০′৯″ পূর্ব / ৩২.০১৮৬১° উত্তর ৪৮.৮৩৫৮৩° পূর্ব / 32.01861; 48.83583
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শুশথার ঐতিহাসিক উদপ্রবাহবিজ্ঞান পদ্ধতি
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
[[File:||132px]]
[[File:||266px]]
অবস্থানশুশতার কাউন্টি, খুজেস্তান প্রদেশ, ইরান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: (i), (ii), (v)
সূত্র1315
তালিকাভুক্তকরণ২০০৯ (৩৩তম সভা)
আয়তন২৪০.৪ হেক্টর (৫৯৪ একর)
নিরাপদ অঞ্চল১,৫৭২.২ হেক্টর (৩,৮৮৫ একর)
স্থানাঙ্ক৩২°১′৭″ উত্তর ৪৮°৫০′৯″ পূর্ব / ৩২.০১৮৬১° উত্তর ৪৮.৮৩৫৮৩° পূর্ব / 32.01861; 48.83583
শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম ইরান-এ অবস্থিত
শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম
ইরানে শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেমের অবস্থান

শুশথার ঐতিহাসিক হাইড্রোলিক সিস্টেম (ফার্সি: سازه‌های آبی شوشتر‎) একটি জটিল সেচ প্রণালী যা সাসসানিদ ইরা’র একটি দ্বীপ শহর এবং এটি ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে অবস্থিত।[১][২] ইউনেস্কো এটিকে ২০০৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভূক্ত করে, যা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ইরানের দশম স্থাপনা।[১][৩]

বান্দ-ই-কায়সার প্রায় ৫০০ মিঃ লম্বা একটি রোমান ওয়্যার যা কারুন নামক স্থান অতিক্রম করেছে। এটা এই কমপ্লেক্সের একটি প্রাথমনিক গঠন ছিল। যার মধ্যে বান্দ-ই-মিজান, একটি সচল ও গতিপ্ররিবর্তিত নদী যা এলাকার সেচ খালের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত।[৪] এই সেচ এলাকার সর্বপূর্বদিকে রোমান সেতু ও রোমান বাঁধ অবস্থিত,[৫] যা খ্রিস্টাব্দ ৩য় শতাব্দীতে রোমানদের দ্বারা স্থাপিত হয়। এবং এটি ইরানের প্রথম স্থাপনা যা সেতু ও বাঁধ একসাথে সংযুক্ত।[৬]

সেচ এলাকার বিভিন্ন নিদর্শন দেখে বলা হয়, “মহান দারিয়ুস” ইরানের একজন অ্যাচমেনিয়ান রাজা, যার শাসনকাল কাল থেকে সেচ কাজ শুরু হয়। এই সেচ প্রকল্পটি আংশিকভাবে একজোড়া খালের মাধ্যম্মে কারুন নদীর সাথে যুক্ত ছিল।[১] যার একটি খাল এখনো ব্যবহৃত হয়। একটি পানি সরবরাহ সুরঙ্গের মাধ্যমে শুশথার শহরে পানি সরবরাহ করত। এই সেচ এলাকায় সেলাস্তেল প্রাসাদ অবস্থিত। এছাড়াও সেতু, বাঁধ, মিলস, এবং অববাহিকায় বরাবর পানির স্তর পরিমাপ জন্য একটি টাওয়ার রয়েছে।[১][৩]

এই সেচ প্রকল্পের সাহায্য পানি সরবরাহের কারণে শহরের দক্ষিণের সমতলভূমি মিয়ানাব নামক এলাকায় চাষাবাদের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়[৩] যদিও কাউন নদীর দুই গতি পরিবর্তনীয় খাল (শুটাইট ও গারগার) এর মর্ধ্যবর্তী পুরো এলাকাকে মিয়ানাব নামে ডাকা হত। যা একটি দ্বীপ যার উত্তরদিকের শেষাংশে শুশথার শহর অবস্থিত।[৭] ইউনেস্কো এই এলাকাকে “সৃজনশীল প্রতিভা একটি সেরা শিল্পকর্ম” নামে অভিহিত করে।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. UNESCO registers Iran's Shushtar water system ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে, PressTV, Retrieved on May 1, 2010.
  2. Shushtar ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ জুন ২০১০ তারিখে, world heritage sites, retrieved on May 1, 2010.
  3. Shushtar Historical Hydraulic System, UNESCO, Retrieved on May 1, 2010.
  4. Length: Hodge 1992, পৃ. 85; Hodge 2000, পৃ. 337f.; extensive irrigation system: O'Connor 1993, পৃ. 130
  5. Smith 1971, পৃ. 56–61; Schnitter 1978, পৃ. 32; Kleiss 1983, পৃ. 106; Vogel 1987, পৃ. 50; Hartung ও Kuros 1987, পৃ. 232; Hodge 1992, পৃ. 85; O'Connor 1993, পৃ. 130; Huff 2010; Kramers 2010
  6. Schnitter 1978, পৃ. 28, fig. 7
  7. C. J. Edmonds, East and West of Zagros, BRILL, 2009, আইএসবিএন ৯০-০৪-১৭৩৪৪-৭; Page 157.
  8. Check out 13 emerging wonders of the world[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], msn news, etrieved on May 1, 2010.

উৎস[সম্পাদনা]

  • Hartung, Fritz; Kuros, Gh. R. (১৯৮৭), "Historische Talsperren im Iran", Garbrecht, Günther, Historische Talsperren, 1, Stuttgart: Verlag Konrad Wittwer, পৃষ্ঠা 221–274, আইএসবিএন 3-87919-145-X 
  • Hodge, A. Trevor (১৯৯২), Roman Aqueducts & Water Supply, London: Duckworth, পৃষ্ঠা 85, আইএসবিএন 0-7156-2194-7 
  • Huff, Dietrich (২০১০), "Bridges. Pre-Islamic Bridges", Yarshater, Ehsan, Encyclopædia Iranica Online 
  • Kleiss, Wolfram (১৯৮৩), "Brückenkonstruktionen in Iran", Architectura, 13: 105–112 (106) 
  • Kramers, J. H. (২০১০), "Shushtar", Bearman, P., Encyclopaedia of Islam (2nd সংস্করণ), Brill Online 
  • O'Connor, Colin (১৯৯৩), Roman Bridges, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 130 (No. E42), আইএসবিএন 0-521-39326-4 
  • Schnitter, Niklaus (১৯৭৮), "Römische Talsperren", Antike Welt, 8 (2): 25–32 (32) 
  • Smith, Norman (১৯৭১), A History of Dams, London: Peter Davies, পৃষ্ঠা 56–61, আইএসবিএন 0-432-15090-0 
  • Vogel, Alexius (১৯৮৭), "Die historische Entwicklung der Gewichtsmauer", Garbrecht, Günther, Historische Talsperren, 1, Stuttgart: Verlag Konrad Wittwer, পৃষ্ঠা 47–56 (50), আইএসবিএন 3-87919-145-X 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]