শিবা নাজার আহারি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
شیوا نظرآهاری
শিবা নাজার আহারি
শিবা নাজার আহারি (২০০৯)
শিবা নাজার আহারি (২০০৯)
জন্ম (1984-06-10) ১০ জুন ১৯৮৪ (বয়স ৩৯)
জাতীয়তাইরানীয়

শিবা নাজার আহারি (ফার্সি: شیوا نظر آهاری; জন্ম ১০ জুন, ১৯৮৪) হলেন একজন উল্লেখযোগ্য ইরানীয় মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংবাদদাতা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ইরান সরকার তাকে কয়েকবার জেল খাটিয়েছেন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

২০০৯ সালের ১ জুন তিনি কারাগারে ছিলেন এবং ২০০৯ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এভিন কারাগারে বন্দি ছিলেন, তারপর তিনি ২ লক্ষ ডলারের জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। তিনি ৩৩ দিনের জন্য নির্জন কারাগারে ছিলেন।[১]

২১ ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে তিনি আরো কয়েকজন নেতাকর্মীর সাথে আবারও গ্রেপ্তার হন যারা প্রধান আয়াতুল্লাহ হোসেন আলী মন্টাজেরির জানাজায় যোগ দিতে কোম শহরে যাচ্ছিলেন।

সর্বশেষ সাম্প্রতিক শুনানি ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তেহরন প্রদেশের ইসলামী বিপ্লবী আদালতের ২৬তম শাখায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে "ইসলামী সরকারকে অপমান করার চেষ্টা", "ইসলামী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিপ্রায় সহ সমাবেশ", "জনশৃঙ্খলা ব্যাহত করা" এবং মোহরেবেহ বা "সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর" অভিযোগ ছিল। তার গ্রেফতারের পর থেকে, আদালতের কার্যক্রম তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে, এই অভিযোগে যে এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কর্তৃক দেশে ভিন্নমত এবং বাকস্বাধীনতার অধিকারকে আরো দমন করার জন্য নেওয়া একটি অবৈধ পদক্ষেপ এবং তার অবিলম্বে মুক্তি জন্য ডাকা হয়েছে। ২৬৬ দিন কারাগারে থাকার পর, তিনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১০ সালে ৫০০ কোটি ইরানি রিয়াল (প্রায় ৫ লক্ষ ডলারের সমতুল্য) জামিনে মুক্তি পান।

২০০৭ সালে শুরু হওয়া "এক মিলিয়ন স্বাক্ষর" প্রচারাভিযানের অন্যতম উদ্যোক্তা আহারি, যা ইরানের আইনে নারীদের জন্য সমতার দাবি করে।

একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শিবা নাজার আহারি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে এভিন-এ হাজির হন ৪ বছরের কারাদণ্ডের জন্য। বেশ কয়েকটি সংস্থা তার অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার, ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব নিউজপেপারস অ্যান্ড নিউজ পাবলিশারস বা পেন ইন্টারন্যাশনাল।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ১৩ মার্চ রবিবারে, "মানবাধিকার লঙ্ঘনের উপর সাহসী ইন্টারনেট রিপোর্টিং" এর জন্য ২০১১ সালে থিওডোর হ্যাকার পুরস্কারের প্রাপক হিসেবে শিবা নাজার আহারির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। একজন দার্শনিক, লেখক এবং নাৎসি বিরোধী সাংস্কৃতিক সমালোচক থিওডোর হ্যাকারের নামে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়েছিল।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Iran: Women's rights activist and lawyer violently arrested"web.archive.org। ২০০৯-০৭-২১। Archived from the original on ২০০৯-০৭-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫ 
  2. "Shiva Nazar Ahari, Iran, Journalist, activist and blogger PEN International"web.archive.org। ২০১৪-১১-২৪। Archived from the original on ২০১৪-১১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৫