শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ | |
---|---|
Sivrihisar Ulu Camii | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
জেলা | শিবরিহিসার |
প্রদেশ | এসকিশেহির |
অঞ্চল | কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়া অঞ্চল |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
দেশ | তুরস্ক |
স্থানাঙ্ক | ৩৯°২৭′০৩″ উত্তর ৩১°৩২′১৪″ পূর্ব / ৩৯.৪৫০৮৩° উত্তর ৩১.৫৩৭২২° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | সেলজুক স্থাপত্যশৈলী |
সম্পূর্ণ হয় | ১২৩২ |
বিনির্দেশ | |
মিনার | ১ |
উপাদানসমূহ | অ্যাশলার, কাঠ |
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ (তুর্কি: Sivrihisar Ulu Camii) তুরস্কের সিভরিহিসারের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ। লেকার আমির সেললাদ্দিন আলী ১২৩১-৩২ সালে মসজিদটি নির্মাণ করে। মসজিদটি তুরস্কের কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়া অঞ্চলে অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
মসজিদটি তুরস্কের এসকিশেহির প্রদেশের সিভরিহিসার ইলেসে জেলায় অবস্থিত। এটি আনাতোলিয়ান সেলজুক সুলতান কায়কুবাদ প্রথম (১২২০-১২৩৭) এর শাসনামলে ১২৩১-৩২ সালে লেকার আমির সেললাদ্দিন আলী নির্মাণ করে। মসজিদটিকে মোট দুইবার সংস্কার করা হয়। ১২৭৫ সালে কায়খুসরা তৃতীয় (১২৬৫-১২৮৪) এবং ১৪৪০ সালে ইস্তাম্বুলের প্রথম বিচারক এমিনউদ্দিন মিকাইল বিন আবদুল্লাহ সংস্কার করে ।[১]
বিবরণ[সম্পাদনা]
মসজিদটি আনাতোলিয়ায় কাঠের স্তম্ভযুক্ত স্থাপত্য কৌশলের একটি বিরল স্থাপনা।[২][৩]
মসজিদের স্থলভাগে একটি আয়তক্ষেত্রাকার মেঝে রয়েছে। বাইরের দেয়ালগুলো অ্যাশলার (Ashler) দিয়ে নির্মিত। মসজিদটির চারটি প্রবেশপথ রয়েছে।[২] উত্তর ও পূর্ব দিকের প্রবেশদ্বারে মার্বেল শিলালিপি পাওয়া গেছে।[৩] ছাদটি টাইলস দ্বারা আচ্ছাদিত। তবে এগুলোকে কিছু দিন আগে সীসা শীট দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়।[৩] মসজিদটির উপরের অংশগুলোতে ঐতিহ্যবাহী খোদাই চিত্র রয়েছে যেগুলো সবুজ, লাল এবং কালো রঙে আঁকা।[২][১] কিছু স্তম্ভ প্রাচীন কাঠামোর পাথরের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত শিবরিহিসারের কাছাকাছি বল্লীহিসার নামে পরিচিত একটি প্রাচীন শহর পেসিনাস থেকে পাথরের কলাম আনা হয়। মসজিদের মিম্বরটি ১২৪৫ সালে হোরাসানলি ইবনি মেহমেত দ্বারা তৈরি একটি বিরল কারু কার্য এবং এটি আখরোট কাঠে খোদাই করা জ্যামিতিক ও ফুলের নকশার অলঙ্কারের জন্য বিখ্যাত।[২][১] এটা প্রচলিত রয়েছে যে মিম্বারটি এখানে আনা হয়েছিল সিভরিহিসার কিলিক মসজিদ থেকে। সিভরিহিসার কিলিক মসজিদটি ১৯২৪ সালে ভেঙে ফেলা হয়।[৩] ১৪০৯-১০ সালে ওসমান ওলু হাকি হাবিব মিনারটির শিলালিপি অঙ্কণ করে।[১][৩]
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি[সম্পাদনা]
ইউনেস্কো ১৩ এপ্রিল, ২০১৬ সালে এই মসজিদটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সাংস্কৃতিক বিভাগের অস্থায়ী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[২]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের বাইরের দিক
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের প্রবেশদ্বার
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদে ভিত্তিপ্রস্তর
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের প্রবেশদ্বার
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের প্রবেশদ্বার
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ অভ্যন্তরীণ সাধারণ দৃশ্য
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ অভ্যন্তরীণ সাধারণ দৃশ্য
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশ
-
বারান্দা সহ শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের অভ্যন্তর
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের অভ্যন্তরীণ অংশ
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ অভ্যন্তরীণ ছাদ এবং বারান্দা
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ মিনবার সিঁড়ি
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ মিনবার পাশ
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদে মিনবারের পাশ
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ মিনবার বিস্তারিত
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের মিম্বারের দরজার বিস্তারিত দৃশ্য
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের মিম্বারের দরজার বিস্তারিত দৃশ্য
-
শিবরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদের অভ্যন্তরীণ কাঠের কাজ