শাহীন ফৌজ
পাকিস্তান শাহীন ফৌজ সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) একটি বিলুপ্ত জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৬৩ সালে আত্নপ্রকাশ করে। ইসলামী আদর্শভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি এক দশক কাল পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাড়াও পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোর ও করাচীতে এর দুটি শাখা ছিল। এ সংগঠনের প্রতিষ্ঠতা সভাপতি ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ আকন (সাবেক সহকারী সচিব)। এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উল্লেখযোগ্য যারা ছিলেন ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কোরবান আলী, শাহ আব্দুল হান্নান (সাবেক সচিব), বিজ্ঞানী এ,কে,এম, মোসলেম উদ্দীন, ডক্টর হাবিবুল্লাহ, মুহসীন উদ্দিন।[১]
সাংগঠনিক কাঠামো[সম্পাদনা]
মুরুব্বী ও অভিভাবকদেরকে নিয়ে গঠিত হত কেন্দ্রীয় কমিটি এবং তাদের মধ্য থেকে একজন সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেন। এর প্রতিষ্ঠতা সভাপতি ছিলেন জনাব নুর মোহাম্মদ আকন। তিনি ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মুহাম্মদ মতিউর রহমান ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অনূর্ধ্ব ষোল বছরের যে কেহ তার অভিভাবকের অনুমতিক্রমে শাহীন ফৌজের সদস্য হতে পারত। শাহীন ফৌজের সদস্যদেরকে নিয়ে এলাকা ভিত্তিক শাখা গঠিত হত। প্রতিটি শাখার একজন করে পরিচালক থাকত। শাহীন ফৌজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এর পরিচালক ছিলেন কাজী শামসুল হক। তিনি সাপ্তাহিক জাহানে নও পত্রিকায় শাহিনের মাহফিল নামে একটি পাতা সম্পাদনা করতেন। সে সুবাদে তিনি শাহিন ভাই হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। জাহানে নও পত্রিকার শাহিনের মাহফিল পাতায় শাহিন সমাচার নামে একটি কলামে শাহীন ফৌজের কার্যক্রম প্রকাশিত হত।
কাজী শামসুল হক ১৯৭০ সাল পর্যন্ত শাহীন ফৌজের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পরে ১৯৭০ এবং ১৯৭১ সালে শাহীন ফৌজের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন মাসুদ আলী। কাজী শামসুল হক (শাহিন ভাই) বর্তমানে নিউইয়ার্ক প্রবাসী। সেখানে বসেই “এখন সময়” নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করছেন।
শাহীন ফৌজের প্রথম কাতারের সদস্য ছিলেন বর্তমানে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ কলামিস্ট শাহ আব্দুল হালিম, যোগ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শহীদ আল বুখারী, মওসুমী ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কাজী মাহতাব উদ্দীন আহমদ, দৈনিক ইনকিলাবের বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ মুসা এ বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. শামসুদ্দৌলা প্রমুখ।[১]
বিলুপ্তি[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালের পরে এ সংগঠনের আর কোন কার্যাকলাপ লক্ষ্য করা যায় নাই।