রেবেকা রাইলি হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রেবেকা রাইলি (১১ই এপ্রিল, ২০০২ - ১৩ই ডিসেম্বর, ২০০৬) ছিল মাইকেল এবং ক্যারোলিন রাইলি দম্পতির কন্যা এবং ম্যাসাচুসেটসের হালের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ঔষধ সেবন করার পর তাকে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার ফুসফুস তরলে পরিপূর্ণ ছিল। মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় নির্ণয় করেছিল যে মেয়েটি প্রেসক্রিপশন ওষুধের "সম্মিলিত প্রভাবের কারণে" নেশাচ্ছন্ন হয়ে মারা গেছে। পুলিশ রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সে দিনে ৭৫০ মিলিগ্রাম ডেপাকোট, ২০০ মিলিগ্রাম সেরোকুয়েল এবং ০.৩৫ মিলিগ্রাম ক্লোনিডিন সেবন করছিল। রেবেকা বাইপোলার ব্যাধি এবং এডিএইচডিতে ভোগার জন্য দুই বছর বয়স থেকেই এই ওষুধগুলি সেবন করছিল। টফ্টস-নিউ ইংল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কায়োকো কিফুজি এটি নির্ণয় করেছিলেন।[১]

পটভূমি[সম্পাদনা]

রাইলির বাবা এবং মা কর্মহীন ছিলেন এবং পারিবারিক সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার উপর নির্ভর করতেন। দুই বছর বয়স থেকেই রেবেকার এডিএইচডি এবং বাইপোলার ব্যাধি ধরা পড়ে। এটি নির্ণীত হয়েছিল প্রধানত টফ্টস-নিউ ইংল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কায়োকো কিফুজিকে রেবেকার মায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে। কিফুজি রেবেকার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ নির্ধারণ করেছিলেন: ক্লোনিডিন, ভালপ্রোয়েট (ডেপাকোট), ডেক্সট্রোমেথরফান, এবং ক্লোরফেনিরামিন। এই ওষুধগুলির দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের কারণে তার হার্ট এবং ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[১][২]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে, রেবেকাকে তার শয়ন কক্ষের মেঝেতে পাওয়া যায় মৃত অবস্থায়। অত্যধিক মাত্রায় ঔষধ সেবনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল। তার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই, তার ঔষধ ব্যবস্থাকে টফ্টস-নিউ ইংল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার সমর্থন করেছিল।[১][২]

পরিণাম[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি রেবেকার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে মাইকেল এবং ক্যারোলিন রাইলিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে প্রথম ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়। তাদের অন্য দুই শিশুও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করত, সেই শিশুদুটিকে কোন পালনকর্তার আশ্রয়ে পাঠানো হয়েছিল। সমাজসেবা বিভাগ থেকে বিবৃত করা হয় যে বাবা ও মায়ের অবমাননাকর ব্যবহার এবং অবহেলা করার ইতিহাস রয়েছে। ২০১০ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি, ক্যারোলিন রাইলিকে তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দ্বিতীয় ডিগ্রি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়, সাজার ১৫ বছর পরে প্যারোলের একটি সম্ভাবনা রাখা হয়। মাইকেলের বিচার শুরু হয় ২০১০ সালের ৮ই মার্চ। ২০১০ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর, মাইকেল রাইলিকে প্রথম ডিগ্রি হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী তাঁর ক্ষেত্রে প্যারোলের সম্ভাবনা ছাড়াই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।[১]

২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, কায়োকো কিফুজি শিশু মনোচিকিৎসক হিসেবে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন। [১][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kirk, Stuart A. (২০১৩)। Mad Science: Psychiatric Coercion, Diagnosis, and Drugs। Transaction Publishers। পৃষ্ঠা 218–219। 
  2. Katie Couric, "What Killed Rebecca Riley?", CBS News, 28 Sep 2008.
  3. Patricia Wen, Jurors outraged by psychiatrist’s conduct: Felt she should share culpability in toddler’s death, The Boston Globe, 2010.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]