মেঘনা-শ্রেণীর ফিসারিজ প্রোটেকশন ভেসেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: মেঘনা-শ্রেণী
নির্মাতা: ভিটি গ্রুপ, ত্যানজং রু, সিঙ্গাপুর
ব্যবহারকারী:  বাংলাদেশ নৌবাহিনী
নির্মিত: ১৯৮৩-১৯৮৪
অনুমোদন লাভ: ১৯৮৪-২০২৪
সম্পন্ন: ২টি
অবসরপ্রাপ্ত: ২টি
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: মেঘনা-শ্রেণীর ফিসারিজ প্রোটেকশন ভেসেল
ওজন:  ৪১০ টন
দৈর্ঘ্য: ৪৬.৫ মিটার (১৫৩ ফু)
প্রস্থ: ৭.৫ মিটার (২৫ ফু)
গভীরতা: ২ মিটার (৬.৬ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ x প্যাক্সম্যান ভ্যালেন্টা ১২সিএম ডিজেল; ৫০০০ অশ্বশক্তি (৩.৭৩ মে.ও.)
  • ২ x শ্যাফট 
গতিবেগ: ৩২ নট (৫৯ কিমি/ঘ; ৩৭ মা/ঘ)
সীমা: ২,০০০ নটিক্যাল মাইল (২,৩০০ মা; ৩,৭০০ কিমি), ১৬ নট (৩০ কিমি/ঘ; ১৮ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৩৯ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান র‍্যাডার: ডেকা ১২২৯; আই-ব্যান্ড
  • ২ × ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান)
যান্ত্রিক যুদ্ধাস্ত্র
ও ফাঁদ:
সেলেনিয়া এনএ ১৮বি অপট্রোনিক সিস্টেম
রণসজ্জা:
  • ১ x ৫৭ মিমি বোফোর্স ডিপি কামান
  • ১ x ৪০ মিমি বোফোর্স বিমান বিধ্বংসী কামান
  • ২ x ৭.৬২ মিমি মেশিনগান

মেঘনা-শ্রেণী হলো সিঙ্গাপুরে নির্মিত ফিসারিজ প্রোটেকশন ভেসেল জাহাজের শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজগুলো নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজদুটি ক্রয় করে। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৮৪ সালে জাহাজসমূহ প্রথম বারের মত পানিতে ভাসানো হয়। পরবর্তীতে ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ সালে জাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে যা চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

প্রতিটি জাহাজের দৈর্ঘ্য ৪৬.৫ মিটার (১৫৩ ফু), প্রস্থ ৭.৫ মিটার (২৫ ফু) এবং গভীরতা ২ মিটার (৬ ফু ৭ ইঞ্চি)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি প্যাক্সম্যান ভ্যালেন্টা ১২সিএম ডিজেল; ৫,০০০ অশ্বশক্তি (৩,৭০০ কিওয়াট) (৩.৭৩ মে.ও.) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজদুটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২০ নট (৩৭ কিমি/ঘ; ২৩ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও ১৬ নট (৩০ কিমি/ঘ; ১৮ মা/ঘ) গতিতে ২,০০০ নটিক্যাল মাইল (২,৩০০ মা; ৩,৭০০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

জাহাজগুলোর আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে প্রতিটি জাহাজে রয়েছে:

  • ১টি ৫৭ মিমি বোফোর্স ডিপি কামান;
  • ১টি ৪০ মিমি বোফোর্স বিমান বিধ্বংসী কামান;
  • ২টি ৭.৬২ মিমি মেশিনগান।

৫৭ মিমি বোফর্স ডিপি কামানটি প্রতি মিনিটে ২.৪ কেজি ওজনের ২০০টি গোলা ১৭ কিলোমিটার দুরত্বে নিক্ষেপ করতে সক্ষম। ৪০ মিমি বোফোর্স কামানটি প্রতি মিনিটে ৩০০টি ০.৯৬ কেজির গোলা ১২ কিলোমিটার দূরত্বে নিক্ষেপ করতে সক্ষম।

জাহাজসমূহ[সম্পাদনা]

 বাংলাদেশ নৌবাহিনী
 পরিচিতি সংখ্যা   নাম   নির্মাতা   নির্মাণ শুরু   হস্তান্তর   কমিশন   অবস্থা 
পি২১১ বানৌজা মেঘনা ভিটি গ্রুপ, ত্যানজং রু, সিঙ্গাপুর - ১৯ জানুয়ারী, ১৯৮৪ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪ সক্রিয়
পি২১২ বানৌজা যমুনা

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঘূর্ণিঝড় 'ফণী' পরবর্তী দূর্গত এলাকায় জরুরি ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা শুরু করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী"আইএসপিআর। ২০২১-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-০৬ 
  2. "বিজয় দিবসে যু.দ্ধ জাহাজ প্রদর্শনী | Navy Ships | Victory Day | Barishal"। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৩ 
  3. "Small Battleship Bangladesh, Video capture from mongla port area.🤝"। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৩ 
  4. "নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ #shorts"। ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২৩