মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত (১৫ জুলাই ১৯০২ – ২১ জানুয়ারী ১৯৭৫) একজন বাঙালি লেখক ও শিশুসাহিত্যিক।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত পিতা কালীনাথের কর্মস্থল উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের আদি বাসস্থান উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরে। অল্পবয়সে মাতৃপিতৃহীন হলে বৈদ্যবাটীতে তাঁর বড়দির বাড়িতে থেকে ১৯২০ সালে প্ৰবেশিকা পাশ করেন। নিজের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টায় নানাধরনের ছোটখাটো কাজ করেছেন। পরে গোরখপুর রেল দপ্তরে চাকরি পেয়ে সেখানেই আমৃত্যু কাটান। গৃহশিক্ষকতায় সুনামের জন্য গোরখপুর শহরে মাস্টারমশায় নামে পরিচিত ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত।[১]


সাহিত্যচর্চ্চা[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই ছোটদের জন্য লেখা শুরু করেন মৃত্যুঞ্জয় বরাট সেনগুপ্ত। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় যথা শিশু, সন্দেশ, মৌচাক, শিশুসাথী, খোকাখুকু, আমার দেশ, রামধনু, মুকুল, শুকতারা ও দেব সাহিত্য কুটিরের পূজাবার্ষিকীতে তাঁর অনেক সরস লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বয়স্কদের জন্যেও যমুনা, বাঁশরী, শিশির, কল্লোল প্রভৃতি পত্রিকাতে লিখেছেন। তার রচিত গ্ৰন্থ: ‘কৃষ্ণসখা’, ‘মানিকমালা’, ‘দেশের ছেলে’, ‘আমার ছোট বোনটি’, ‘ক্যাবলরামের কাহিনী’, ‘পারস্যের পোখরাজ’, ‘ছায়াপথ’, ‘আকাশ পাতাল’ ইত্যাদি। তাঁর লিখিত কবিতা শ্ৰীরামকৃষ্ণ স্তুতি শ্বেতপাথরের ফলকে গোরখপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দিরগাত্রে প্রোথিত আছে। সরকারী ‘হককথা’র প্রত্যুত্তরে ‘বাজে কথা’ রাতারাতি প্ৰকাশ করে সকলকে চমৎকৃত করেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ, প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৪২৪। আইএসবিএন 978-8179551356