মুঘল সাম্রাজ্যের উকিল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মুঘল সাম্রাজ্যের ওয়াকিল
সম্বোধনরীতিমহামান্য
বাসভবনলালকেল্লা
নিয়োগকর্তামুঘল সম্রাট
গঠন২১ এপ্রিল ২৫২৬
প্রথমমীর খলিফা
সর্বশেষদৌলত রাও সিন্ধিয়া
বিলুপ্ত৯ এপ্রিল ১৮১৮

মুঘল সাম্রাজ্যের উকিল (উর্দু: وکیلِ سلطنت مغلیہ‎‎), আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াকীল-ই-মুতলাক (উর্দু: وکیلِ مطلق‎‎, অর্থ: "পরম প্রতিনিধি"), ছিল মুঘল সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। এটি মন্ত্রীসভার পদবিন্যাসে প্রথম পদ এবং সম্রাটের ঠিক পরের পদ। 'ওয়াকিল' শব্দটি আরবি, যার অর্থ "প্রতিনিধি"।[১] ওয়াকিলকে রাজ্য এবং রাজকীয় পরিবারের সব বিষয়ে সম্রাটের লেফটেন্যান্ট হিসেবে গণ্য করা হতো। সম্রাট বাবর থেকে সম্রাট শাহজাহানের শাসনামল পর্যন্ত ওয়াকিলকে উজিরে আজমের উপাধিও দেওয়া হতো, তবে পরে এটি শুধুই একটি সম্মানসূচক পদ হয়ে যায়।[২]

ওয়াকিলের ক্ষমতা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম ছিল। কিন্তু প্রতিটি সিদ্ধান্তের জন্য তাকে সম্রাটের অনুমোদন নিতে হতো। বাবর ও হুমায়ূনের শাসনামলে ওয়াকিলের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ছিল, আর আকবরের শাসনের শুরুতে ওয়াকিল বায়রাম খান শাসক হিসেবে সম্রাটের হয়ে শাসন করতেন। বায়রাম খানের নিজের একজন ওয়াকীল-ই-মুতলাক ছিল, যিনি সাধারণ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। এই পদটি পীর মুহাম্মদ খান শিরওয়ানি ধারণ করেছিলেন এবং পরে যখন তিনি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন, তখন পদটি হাজী মুহাম্মদ সিস্তানিকে দেওয়া হয়।[৩] ১৫৬৪ সালে আকবর ওয়াকিলের পদটি পুনরুজ্জীবিত করেন কিন্তু তাকে অর্থ বিভাগের দায়িত্ব দেননি। জাহাঙ্গীরের শাসনামলে ইম্পেরিয়াল দিওয়ানের পদটি গুরুত্ব পায় এবং শেষ পর্যন্ত শাহজাহানের শাসনামলে, প্রধানমন্ত্রীর উপাধি ওয়াকিল থেকে ইম্পেরিয়াল দিওয়ানে স্থানান্তরিত হয়।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Malik, Dr Malti (১৯৪৩)। History of India (ইংরেজি ভাষায়)। New Saraswati House India Pvt Ltd। আইএসবিএন 978-81-7335-498-4 
  2. "Mughal Administration: Key Features & Structure"Jagranjosh.com। ২০১৫-১০-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-০৩ 
  3. Elliot, Henry; Downson, John (১৮৬৭)। The History of India, as Told by Its Own Historians p. 257–259। London: Trübner & Co. – Wayback Machine-এর মাধ্যমে। 
  4. Mehta, Jl। Advanced Study in the History of Medieval India (ইংরেজি ভাষায়)। Sterling Publishers Pvt. Ltd। আইএসবিএন 978-81-207-1015-3