মিয়া সাহেবের ময়দান
মিয়া সাহেবের ময়দান ঢাকার অন্যতম প্রাচীন খানকা শরিফ। ১৭০৯ সালে মিয়া সাহেব নামে পরিচিত আলহাজ শাহ সুফি সাইয়েদ আব্দুর রাহিম শহীদ (কেসি) এটি নির্মাণ করেন।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৭৩০ সালের দিকে কাশ্মীরের ইসলামি পণ্ডিত আবদুর রহিম রিজভী মুর্শিদাবাদ হয়ে ঢাকায় এসে একটি খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার অনুসারী ছিলেন। তিনি এই স্থানে বসতি স্থাপনের পূর্বে জায়গাটি উন্মুক্ত ময়দান ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার বাসস্থান বা “আস্তানা”-কে ঘিরে দেশের সবচেয়ে পুরনো মুসলিম সম্প্রদায় গড়ে ওঠে। এলাকার লোকজনের কাছে তিনি “মিয়া সাহেব” হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সেই থেকে স্থানটি “মিয়া সাহেব ময়দান” নামে পরিচিত হয়। ১৭৩৮ সালে এক পাগল ব্যক্তি তাকে আহত করেন ও তার ৭টি ক্ষত তৈরি হয়। ৩৩ দিন রোগে ভোগার পর রমজান মাসের ৯ তারিখ ৮৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মারা যাওয়া পর তাকে এখানে তার মাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই সময় এই জায়গাটির নাম হয় মিয়া সাহেবের ময়দান। পলাশীর যুদ্ধের পর ভিখন ঠাকুর এখানে লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির স্থাপন করেন। তার প্রচেষ্টায় ও ইংরেজদের সহযোগিতায় ১৮৯০ সালে মিয়া সাহেব ময়দান এলাকাটি “লক্ষ্মীবাজার” নামে নামকরণ করা হয়। এলাকাটি বর্তমানে “লক্ষ্মীবাজার” নামে পরিচিত হলেও, কেউ কেউ একে “মিয়া সাহেবের ময়দান” হিসেবে চেনেন।
বর্তমান অবস্থা এবং স্থাপত্যমূল্য[সম্পাদনা]
মিয়া সাহেবের ময়দান এরপর শাহ সাহেবের ওয়াকফ সম্পত্তি হয়ে যায়। পুরো ওয়াকফ সম্পত্তি “শাহ সাহেব বাড়ি জামে মসজিদ” নামে পরিচিত। প্রতি বছর ৯ রমজান তারিখে এখানে উরস পালিত হয়।[১] খানকা শরীফ জামে মসজিদে প্রতিবছর ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।[২]
এখন এই ওয়াকফ সম্পত্তিতে রয়েছে:
- একটি ৩ তলাবিশিষ্ট খানকা শরীফ জামে মসজিদ (১৯০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়)
- একটি কবরস্থান
- মোতয়াল্লি কক্ষের একটি ভবন
- মিয়া সাহেবের মাজার শরিফ
- একটি গদ্দীনশীন হুজুরখানা (১৮২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত)
বর্তমান ঠিকানা[সম্পাদনা]
এটি বর্তমানে 56-57 মিউনিসিপ্যাল স্ট্রিট, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা-১১০০-এ অবস্থিত।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
উৎস[সম্পাদনা]
অন্যান্য[সম্পাদনা]
- ↑ "৯ রমজান লক্ষীবাজার মিয়া সাহেবের খানকা শরীফে ওরশ মাহফিল"। যায়যায়দিন। ৩০ মার্চ ২০২৩।
- ↑ "এবারও বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচ জামায়াত"। যমুনা টিভি। ২২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০২৩।