মনিরা রহমান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মনিরা রহমান ২০১৩

মনিরা রহমান (জন্ম ১৯৬৬) ডঃ জন মরিসন ওবিই এর সচিব/পিএ হিসেবে কাজ করতেন। ডঃ জন মরিসন ঢাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট এজেন্সির (কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন, যিনি পরবর্তিতে এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন (এসিড আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের সংগঠন) প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। উক্ত সংগঠন এসিড আক্রমণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে। ২০০৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এসিড আক্রমণের ঘটনা শতকরা ৪০ ভাগ কমে যায়।

জন্ম[সম্পাদনা]

মনিরা রহমান ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

মনিরা রহমান এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশনে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব লাভ করেন।[১] বাংলাদেশে মনিরা রহমান এবং ডঃ জন মরিসন একসঙ্গে উক্ত সংগঠনের অনেক উন্নতি সাধন করেন। ১২মে, ১৯৯৯ তারিখে জনাব কাজী ফজলুর রহমানের অছি-দলিলের অধীনে এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ডঃ জন মরিসন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কার্যনির্বাহী পরিচালক এবং মনিরা রহমানকে উপ-পরিচালক করে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। আগস্ট ২০০২ সালে মনিরা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হন। সেই সময় বাংলাদেশে এসিড আক্রমণের ঘটনা প্রতি বছর ৩৮% হারে বাড়ছিলো। কিন্তু তার নেতৃত্বে এসিড বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের জন্য ২০১০ সালের মধ্যে তা ৭৫% কমে যায়।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে জার্মানির অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শাখা (আন্তর্জাতিক মানবধিকার কমিশন) থেকে তিনি মানবধিকার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর ২০০৬ সালে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল (আন্তর্জাতিক মানবধিকার কমিশন) থেকে তিনি মানবধিকার রক্ষক পুরস্কার, ২০০৯ সালে ইউএনএফপিএ পুরস্কার এবং ২০১১ সালে  বিশ্ব শিশু পুরস্কার লাভ করেন।[২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Rickman, Dina (26 November 2012)। "Acid Attack Victims Need Equality To Help Stop Violence, Says Campaigner Monira Rahman"দ্য হাফিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ 5 january 2017  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Monira Rahman - World's Children's Prize"World's Children's Prize (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]