ভবানী পাঠক
পন্ডিত ভবানীচরণ পাঠক | |
---|---|
জন্ম | 25 জুলাই ১৭৬১ খ্রি |
মৃত্যু | ১৭৮৭ খ্রি |
অন্যান্য নাম | ভবানী পাঠক |
পেশা | নায়েব |
আন্দোলন | ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ |
পিতা-মাতা |
|
পন্ডিত ভবানীচরণ পাঠক অষ্টাদশ শতকে বঙ্গভূমিতে ইংরেজ শাসন-শোষণ এবং অত্যাচারী নবাবের বিরুদ্ধে সংঘঠিত ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রধান নায়ক। এছাড়া তিনি রংপুরের পীরগাছা এলাকার মন্থনার জমিদার জয়দুর্গা দেবী চৌধুরানীর নায়েব ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]ভবানীচরণ পাঠকের জন্মসাল সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না তবে আনুমানিক ১৭২৫-১৭৩০ সাল (বঙ্গাব্দ: ১১৩১-১১৩৬ সনে) তিনি ইতিহাসে তাঁর বর্ণময় অস্তিত্ব বর্তমান। তিনি শ্রোত্রিয় বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ভবানী পাঠকের পূর্ব পুরুষেরা পুন্ড্রবর্ধনের মহাস্থানগড় অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন। পরে তার পূর্বপুরুষেরা কোচবিহার রাজ্যের পাঙ্গা পরগনার ফুলবাবুর চাখলায় বসবাস শুরু করেন (বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার, রাজারহাট উপজেলার পাঠক চাকিরপশার মৌজা)। ভবানী পাঠকের পিতার নাম সিদ্ধিনাথ পাঠক। তার দলে গিরি সম্প্রদায়ভুক্ত হিন্দু সন্ন্যাসী যোদ্ধা ছাড়াও ছিল নিগৃহীত কৃষক-প্রজার সৈন্যবাহিনী।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ইংরেজদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রধান ক্ষেত্র ছিলো রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, মালদহ, কোচবিহার ও ময়মনসিংহের বিস্তৃতঅঞ্চল। তিনি সমগ্র উত্তরবঙ্গ কে মুঘল নবাব ও ইংরেজদের থেকে মুক্ত করেন। তিনি তার তৎপরতার ক্ষেত্রে এই বিদ্রোহের অন্যতম নায়িকা দেবী চৌধুরানীর সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন লাভ করেন। ১৭৮৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ভবানীচরণ পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর নামের পাশাপাশি উল্লেখ দেখা যায়। তাদের যৌথ আক্রমণে ময়মনসিংহ এবং বগুড়া জেলার একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় শাসন ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ফলে ইংরেজ শাসকদের তরফ থেকে তাদের দু জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭৮৭ সালের জুন মাসে রংপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাছে পুনরায় তিনি ইংরেজদের সাথে জলযুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং সেই যুদ্ধে তিনি পরজিত ও নিহত হন। আহত ও বন্দী হয়েছিলো আরো ৫০ জন। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের অস্ত্র-শস্ত্র পূর্ণ আরো সাতখানি নৌকা ইংরেজ বাহিনীর হস্তগত হয়। এই জলযুদ্ধের সময় দেবী চৌধুরানী উপস্থিত ছিলেন না। ভবানী পাঠকের মৃত্যুর পরেও এই বিদ্রোহ আরো কিছুকাল অব্যহত থাকে। ভবানি পাঠকের মৃত্যুর মাধ্যমে ১৭৮৭ সালে সন্ন্যাসী আন্দোলনের অবসান ঘটে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মঠ
[সম্পাদনা]ভবানী পাঠকের নির্মিত মঠগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- নাগেশ্বরী উপজেলার কাচারি পয়রাডাঙ্গা এলাকায় কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী সড়কের দু'পাশে নির্মিত ২ টি শিব মন্দির, কামাক্ষা মাতা ঠাকুরানী মন্দির, বাঁশেরতল শিব মন্দির, উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী এলাকার দোল মন্দির ও শিব মন্দির এবং ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা এলাকার শিব মন্দির। অপূর্ব স্হাপত্য শৈলীতে নির্মিত মঠগুলোর আদল প্রায় একই রকম।[১]
জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে
[সম্পাদনা]- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবী চৌধুরাণী উপন্যাস দেবী চৌধুরাণী ও ভবানী পাঠকের কাহিনী অবলম্বনে রচিত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ নিউজ, সময়। "Somoy Tv News"। Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২৪।
বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |