ব্যবহারকারী আলাপ:Shirinkumar63
আলোচনা যোগ করুনসুপ্রিয় Shirinkumar63! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা টুলবারের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা ( আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ১০:৫১, ৩১ আগস্ট ২০১৩ (ইউটিসি) |
কবি শামসুল আলম
ঢাকার কলুটোলায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৩ খৃষ্টাব্দে ১জুন জন্মগ্রহন করেন।
নোটিশ[সম্পাদনা]
প্রিয়, আপনাকে এই বার্তাটি প্রদান করা হয়েছে কারণ উইকিপিডিয়া:প্রশাসকদের আলোচনাসভা একটি আলোচ্য বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে যেখানে আপনার কোনো বিষয় জড়িত থাকতে পারে। আলোচনার বিষয় তালিকা সংশোধন প্রসঙ্গেঃ অনুসঙ্গ বাংলা কবি তালিকা। আপনাকে ধন্যবাদ। যুদ্ধমন্ত্রী (আলাপ) ০৯:৫২, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)
শামসুল আলমের কবিতা[সম্পাদনা]
দূরদানা
দুরদানার দেখা হয়না চোখের ওপর গাল ভেঙে বসে থাকা পুঁইডগা, ওখানের নদী-পয়মন্ত জ্যোৎস্না শরীর চিবিয়ে খায় ফাল্গুন। সেই কবে ঘাসের ওপর ছুটতে থাকে ফড়িঙ। মেঘের ছড়িয়ে দেয়া আঁচল, আশ্বিনে বৃষ্টি হয়-জ্যোৎস্না’
হাটের ভিড় ঠেলে ক্রমশ ছুটে আসে, একখান জেবওয়ালা জামা কিনতে। সবুজ হাওয়াই শার্ট। যদিমাত্র পছন্দের চোখ খুশি হয় একদিন দুপুর। বিকেল গলে পড়া রাত, অবিন্যস্ত ছুটতে থাকে নগর, অভ্যস্ত পানের কৌঁটো, কাঁচা সুপারির রস গিলে স্বপ্নের সাজগোছ সেরে ওঠে হামিদা।
আটপৌঢ়ে কাঠের চৌকি, ঘরের ভেতর মাচাঙ, ভাঙতে থাকে অগোছালো ফাল্গুন। অথচ ঝড়ের ডানা কাধে চাপিয়ে আর ফিরে আসেনি দূরদানা...
প্রকাশিত গ্রন্থের তথ্য[সম্পাদনা]
প্রকাশিত গ্রন্থের তথ্যঃ জলপরীদের ডানা কিশোর কবিতাগ্রন্থ একুশে বইমেলা’২০০২ প্রকাশকঃ এশিয়া পাবলিকেশান অমরাবতী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশকাল ঃ একুশে বইমেলা ফেব্রæয়ারি’ ২০০৭ প্রকাশকঃ মুক্তচিন্তা প্রকাশনা ISBN : 984 - 8435 - 48 - 4 হলুদ ফিতের মত বেণিরোগা নদী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশকাল ঃএকুশে বইমেলা’২০১০ প্রকাশকঃমিজান পাবলিশার্স ISBN : 984 -8613 - 61 - 0 --Shirinkumar63 ১৩:৩৫, ১২ জানুয়ারি ২০১৪ (ইউটিসি)
শামসুল আলম (কবি) পাতায় নির্ভরযোগ্য তথ্য[সম্পাদনা]
এ বিষয়ে দৈনিক নয়াদিগন্ত সংখ্যা ১জুন’২০০৫। পত্রিকাটি তাদের পক্ষ হতে কবিকে জন্ম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে। দৈনিক বাংলাবাজার সংখ্যা ১জুন ২০০৫ উল্লেখ্য। এছাড়া অমরাবতি গ্রন্থে কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী উল্লেখ্য। অমরাবতি (কাব্যগ্রন্থ), প্রকাশকঃ মুক্তচিন্তা প্রকাশনা, একুশে বইমেলা ২০০৭। গ্রন্থটি সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নবকল্লোল কতৃক নজরুল স্মৃতি সন্মাননা পুরুস্কারে ভূষিত হয়। --Shirinkumar63 ০৫:৪৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)
নিবন্ধে স্বাক্ষর না করার অনুরোধ[সম্পাদনা]
প্রিয় Shirinkumar63,
দয়া করে কোন নিবন্ধে স্বাক্ষর করবেন না, যেমনটি আপনি করেছিলেন শামসুল আলম (কবি) নিবন্ধে। দয়া করে স্বাক্ষর শুধুমাত্র আলাপ পাতাগুলিতেই করবেন। আপনার বাংলা উইকি সম্পাদনা শুভ হোক। বোধিসত্ত্ব (আলাপ) ০৯:২২, ২১ অক্টোবর ২০১৩ (ইউটিসি)
Image:544042 376515049129337 208908625 n.jpg-চিত্র কপিরাইট লাইসেন্সের সমস্যা[সম্পাদনা]
Image:544042 376515049129337 208908625 n.jpg চিত্রটি আপলোড করার আপনাকে ধন্যবাদ। আমি লক্ষ্য করলাম, কে এই ফাইলের সৃষ্টিকর্তা তা নির্দিষ্ট করে বলা নেই অর্থাৎ চিত্রটির কপিরাইট তথ্য অস্পষ্ঠ।যদি আপনি এই ফাইলটি নিজে তৈরি না করে থাকেন,তাহলে আপনাকে এই ফাইলের স্বত্তাধিকার বা প্রকৃত মালিকের কপিরাইট উল্লেখ করতে হবে। যদি আপনি এটি কোন ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে থাকেন তবে সেই ওয়েবসাইট লিঙ্কে আপনি এই ফাইলের উপাদান ব্যবহারের শর্তাবলী পাবেন যা সাধারণত পর্যাপ্ত ভাবে বর্ননা থাকে। যদি কপিরাইট ধারক ঐ ওয়েবসাইটের প্রকাশক থেকে আলাদা হয়, তাদেরও কপিরাইট জানানো উচিত।
আমরা আরও জানার প্রয়োজন মনেকরি এর লাইসেন্সের শর্তাবলী যা এই চিত্রের কপিরাইট ধারক প্রকাশ করেছেন, যা সাধারনভাবে লাইসেন্স ট্যাগ যুক্ত করে করা হয়।যদি এই চিত্র,অডিও,ভিডিও আপনি নিজে তৈরি করেন বা সৃষ্টি কর্তা হন তবে {{GFDL-self}} ট্যাগ লাগিয়ে তা জিএফডিএলে মুক্ত করতে পারেন। যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে মিডিয়াটি মুক্ত নয় এমন তবে {{non-free fair use in|article name}} এই ট্যাগ লাগান বা অন্য কোন ট্যাগ লাগান যা এখানে বর্নিত। কপিরাইট ট্যাগের পূর্ণ তালিকার জন্য দেখুন, চিত্র কপিরাইট ট্যাগ, যেগুলির মধ্যে থেকেও আপনি ব্যাবহার করতে পারেন।
যদি আপনি পূর্বে অন্যান্য ফাইল আপলোড করে থাকেন,তবে তা পরীক্ষা করে বিবেচনা করুন যে আপনি তাদের উৎস ও কপিরাইট লাইসেন্সের ঠিক উল্লেখ করেছেন কিনা। আপনি এই সংযোগটিতে অনুসরণ করে আপনার পূর্বের আপলোড করা ফাইলগুলিকে একটি তালিকা আকারে পাবেন। উৎস-বিহীন ও ট্যাগ-বিহীন চিত্র গুলিকে এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারণ করা হবে তাদেরকে ট্যাগকৃত করার পর, যেমনটা বর্নিত আছে দ্রুত অপসারণযোগ্য যোগ্য চিত্রে। যদি চিত্রটি মুক্ত নয় এমন লাইসেন্সের(সৌজন্যমূলক ব্যবহার) মধ্যে পরে তবে ৪৮ ঘন্টার মধ্য চিত্রগুলিকে অপসারণ করা হবে। যদি আপনার এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকে দয়া করে মিডিয়া কপিরাইট প্রশ্ন পাতায় জানান। আপনাকে ধন্যবাদ। --জয়ন্ত (আলাপ - অবদান) ০৬:৩০, ২৮ নভেম্বর ২০১৩ (ইউটিসি)
শামসুল আলমের কবিতা[সম্পাদনা]
অপেক্ষার সূর্য দেখা হয় না
বাতাসের ঢিলেঢালা গা ছেড়ে উবে গেলে বসন্ত বেঁচে থাকা দীর্ঘশ্বাস, ঠোঁটের কাপ গরম ধোঁয়া ডিঙিয়ে বচসা হয়, বাতাশার।
আকাশের মাড়ি ভেদ করে দাঁতের পাটি বেড়িয়ে আসতে
হাঁতির শূঁড় ভেঙে প্রলয়ে মেতে ওঠে নদী
অথচ দাঁড়কাক শীত, বসন্ত এমন কী ধরে রাখে বৈকুণ্ঠ ফিনফিনে দুপুর সেই কবে, বুকের উপর দরাজ মেঘ ভাঁজ করে, বসে আছে।
আহ্লাদি জ্যোৎস্না, অলস মধ্যাহ্ন, মেঘের পল্লবে ডুবে থাকে আমগ্ন।
আমাদের জানা হয় না
গায়ে ফোসকা পড়া রোদ রেলের হাতল ছুঁয়ে ছুটতে থাকে, বসন্তে বুনোবাতাস ঘুরে বেড়ায় অথচ মানুষ পড়ে থাকে ন্যাকড়ার মত
তুলনা বলতে ঝড় আগ্রাসি প্লাবন, ধুয়েমুছে সাফ করা আমাদের পিছদুয়ার। বটগাছের পাতা, সেই কবে দুঃসাশন ছেড়ে দাঁড়িয়েছিল যুদ্ধের পরও
ঝুলন্ত রোদ বাহাদুরি ঝেড়ে আসতে শেখপাড়ার মাঠ, উঠোনের ফসল, ইশকুলের দেউরি কেন যে, ছুটে গেল হতশ্বাস! নির্বিবাদ পুঁইডগা, আমাদের চালার উপর শুষে নেয় রোদ অধিকন্তু আক্ষেপঃ রোদের মর্ম আমাদের জানা হয় না
....................................................
দূরদানা
দুরদানার দেখা হয় না। চোখের ওপর গাল ভেঙে বসে থাকা পুঁই ওখানের নদী, পয়মন্ত জ্যোৎস্না, শরীর চিবিয়ে খায় ফাল্গুন। সেই কবে ঘাসের ওপর ছুটতে থাকে ফড়িঙ। মেঘের ছড়িয়ে দেয়া আঁচল। আশ্বিনে বৃষ্টি হয়-জ্যোৎস্না’
হাটের ভিড় ঠেলে ক্রমশ ছুটে আসি, একখান জেবওয়ালা জামা কিনতে। সবুজ হাওয়াই শার্ট । যদিমাত্র পছন্দের চোখ খুশি হয়
একদিন দুপুর। বিকেল গলে পড়া রাত, অবিন্যস্ত ছুটতে থাকে নগর। অভ্যস্ত পানের কৌঁটো, কাঁচা সুপারির রস গিলে স্বপ্নের সাজগোছ সেরে ওঠে হামিদা।
আটপৌঢ়ে কাঠের চৌঁকি ঘরের ভেতর মাচাঙ অগোছালো ভাঙতে থাকে ফাল্গুন অথচ ঝড়ের ডানা কাধে চাপিয়ে আর ফিরে আসে না দূরদানা... ......................................................................
গল্পদুপুর
হালি শহরের ছোট্ট বাড়িটায় খামের ভেতর পাঠানো ঘুমের রেসিপি, সাপের খোলস ভাঙতে ভাঙতে চলে এলো নিরুদ্ভিদ শহরে।
যাদের জানা ছিল, জলের সমীপে আর যাদের জানা ছিল, দাঙ্গা। নিরস্ত্র দুএকজন বাদে’ মসজিদে নামাজের জায়গায়- পাতলুন টেনে জায়গির করলেন মাতব্বর।
দীর্ঘ অসহজ ভাষণের ঝালমুড়ি হাতে করে একদঙ্গল যুবক হাঁটতে হাঁটতে চলে এলো হাটের পাশে গুদামঘরের দেয়ালে। জন্মের কঠিন স্পর্শ মনে হতে-জন্মভূমির স্বাধীনতা। দীর্ঘপুরনো একটি পতাকা উড়তে উড়তে শেষমেশ একটি পাখি-জলপুকুর ছুঁয়ে গ্যালো রোদ্দুর। মাঝবাড়ির উঠোনে ফাল্গুনমাস, কারো মাথার পর দক্ষিণরোদ পৃথিবির যাবত ইচ্ছা মাথায় করে চলে যাচ্ছে।
একদিন কালোবেড়াল সবুজ বিষ্টির ধারাপাত শুনতে কালো রোদ্রের অপেক্ষায় কাঁদছিল। পুববাড়ির ঝোঁপে সেই আধবুড়ো ডাহুক শাদারাতের টাঙ্গরে একজন অশীতিপর বৃদ্ধ লিখছিলেন গল্পদুপুর। ...................................................................................
প্রিয় শালিখ
প্রিয় শালিখ আকাশ ধরতে ধরতে- নাবলনা এখন শীতে বৃষ্টি হলে ঘরমুখি মাছ, প্রগলভ সকাল আকাশ খুলতেই, কাগজের পিঠে লিখে দেয়া নৈর্বত্য অনেকদিনের গুঁজে রাখা চিঠি।
ওয়ারড্রবে ন্যাপথলিনের পুরোনো কাপড়াদি রুমালের গা সদৃশ্য গন্ধ সোঁদামাটির অন্তরবৃত্তে খুঁজছি তোমাকেই...
চাদরের ভাঁজে পড়ে থাকা মুদ্রা প্রিয় বসন্ত, অধিকন্তু প্রিয় ফাল্গুন প্রিয় বর্ষা হেমন্তের নিথর দুপুর-কেমনজানি আগলে থাকে শীত। প্রিয় শালিখ অন্তর্হিত বাক্যালাপ সম্মুখদৃশ্য নদী অথচ তোমাকেই খুঁজছি অবিরল... ................................................
ব্রাউন রঙের খাম রেজিস্ট্রি চিঠি
গায়ের গন্ধে লেগে থাকা শাড়ি, বৈশাখে চিল ওড়া তামাটে আকাশ ব্রাউন রঙের খাম রেজিস্ট্রি চিঠি। ঝড়ো মেঘ অচেনাও বাউড়ি বাতাস মনে পড়ে ভোর, ভৈরবে সর্ষেরোদ সন্ধে ও এশা- ঘনকালো পিঁচুটিতে দুষ্টুমি ভরা চোখ উড়াল শালিখ
মনে হয় রঙ ছুঁয়ে রঙের নেশা।
এ আমার অহোরাত নাচানাচি খুব জঙ্ঘাসমেত শাড়ি অচেনা পুকুর টলমলে মেঘরঙ জলে ডোবাডুব দেহাতি মানুষ এক অদূরেই ক্ষত, চোখের চাহনি তার সরীসৃপ লেজহীন জলের সাঁতার। গভীরেও ছুঁতে চায় মৎসের মত
অচল শিলাস্তুপ দূরের সে মেঘ জৈবনে অহোরাত অন্য আবেগ,
পাহাড়ের ন্যাটাখাঁজে উটের কূজের মত ঠায় সে দাঁড়ায় মাঘের সর্ষেরোদ আশালতা হু...হু চিঠি তার কবেকার বসন্ত হারায়।
যুধিষ্ঠির চোখমুখে ফুটে উঠে জীবনের নাতিদীর্ঘ সার এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে চলে আসে দিকবেলা চার।
== স্বাগতম!==
|