ব্যবহারকারী:Shikdar Waliuzzaman

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

শিকদার ওয়ালিউজ্জামান। কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সম্পাদক, গবেষক ও সংগঠক।

জন্ম ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭৬ মাগুরা সদর উপজেলার ভিটাসাইর গ্রামে। পিতা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। মাতা মোছাঃ সালেহা বেগম। বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান।


জন্ম মাগুরা জেলায় হলেও শিক্ষাজীবন পার করেছেন পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলায়। হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষার গণ্ডি পার করেন। ১৯৯০ সালে ঝিনাইদহের শিশুকুঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৯২ সালে সরকারি কে সি কলেজ থেকে বিজ্ঞান শাখায় দ্বিতীয় বিভাগে এইচ এস সি পাশ করেন। এরপর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে ১৯৯৫ সালে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৯৯৬ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।


শিকদার ওয়ালিউজ্জামান মাগুরা সদর উপজেলার হাজিপুর সম্মিলনী কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন ২০০১ সালে। ২০০২ সালে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন বাবুখালী আদর্শ কলেজে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। ২০০৩ সাল থেকে মাগুরা সদরের অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করছেন। বর্তমানে তিনি সহকারি অধ্যাপকের মর্যাদা ভোগ করছেন।


শিকদার ওয়ালিউজ্জামান ১৯৯৮ সালে তারুণ্যনির্ভর একটি সাহিত্য সংগঠন 'অনির্বাণ সাহিত্য সংসদ' প্রতিষ্ঠা করেন। দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। সংগঠনের প্রকাশনায় তিনি সম্পাদনা করেন 'নদীপ্রবাহ' ও 'সাহিত্য আড্ডা' নামে দুটি সাহিত্যের কাগজ। ২০১১ তিনি প্রতিষ্ঠান করেন 'সপ্তক সাহিত্য চক্র'। সূচনাকাল থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংগঠনের প্রকাশনায় তিনি 'সপ্তক' ও 'জলসিঁড়ি' নামে দুটি সাহিত্যের ছোটকাগজ সম্পাদনা করছেন।


কবি শিকদার ওয়ালিউজ্জামান এর প্রথম কবিতার বই 'পাথর ও নক্ষত্র চোখ'। যদিও এটি ছিল যৌথ কাব্যগ্রন্থ। ২০১১ সালে 'বিভাস' প্রকাশ করে প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ 'ধূসর অরণ্যের আকাশ'। ২০১২ সালে সম্পাদনা করেন একবিংশ শতকের প্রথম দশকের কবিতা সংকলন 'দশকপ্রথম'। 'কবি' প্রকাশনী গ্রন্থটি প্রকাশ করে। ২০১৬ সালে 'পুঁথিনিলয়' প্রকাশ করে কাব্যগ্রন্থ 'মধ্যবর্তী আলো ও কুয়াশা'। ২০২০ সালে 'অনুভব' প্রকাশ করে কাব্যগ্রন্থ 'ব্যর্থতার রাজহাঁস এবার থামো'। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় 'বৃত্তবন্দী ঘুমে পানকৌড়ি ঠোঁট' এবং ২০২২ সালে প্রকাশ পায় 'বলপেনে আঁকা সময়ের স্কেচ'। কাব্যগ্রন্থ দুটিও প্রকাশ করে 'অনুভব'। ২০২৩ সালে 'সপ্তক' আর 'অনুভব' এর যৌথ প্রকাশনায় শিকদার ওয়ালিউজ্জামান সম্পাদনা করেন 'মাগুরা জেলার কবিতা'।


শিকদার ওয়ালিউজ্জামান ১৯৯৫ সালে ছাত বয়সে একই গ্রামের বাসিন্দা হাবিলদার জলিল বিশ্বাস এর কন্যা শিরিন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রথম পুত্র রিফাত জামান ইশতিক ৭ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করে। দ্বিতীয় পুত্র তাসিন আহমেদ ঋদ্ধ এবং তৃতীয় পুত্র তাওসীফ আহমেদ শুদ্ধ।