ব্যবহারকারী:Fahamid/নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ , রাজশাহী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রেশমখ্যাত, শিক্ষানগরী রাজশাহীর কাজিহাটা নাটোর রোডের পাশে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই থেকে এ কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ড. মোঃ শামসুদ্দিন মিয়া নিয়োগপ্রাপ্ত হন ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে। এ অঞ্চলের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে নির্মিত এ কলেজের প্রতিষ্ঠাকালে নাম ছিল ‘রাজশাহী সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ’। তখন নবনির্মিত এ কলেজের জন্য মোট ১৬টি প্রভাষক পদ সৃষ্টি হয়, যাঁরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রনে থেকে ইন্টারমিডিয়েট কলেজে নিযুক্ত ছিলেন। রাজশাহী কলেজে ভর্তিকৃত ছাত্র- ছাত্রীদের কিছু অংশ স্থানান্তরের মাধ্যমে এ কলেজে প্রথম ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। প্রথম সেশনে ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসের জন্য আর্টস ও কমার্সে ২০০জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা ও ভূগোলের ল্যাবরেটরীর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়পূর্বক বিজ্ঞান শাখায় ২৫০ জন ছাত্র- ছাত্রী ভর্তি করা হয়। একই সাথে ডিপিআই(শিক্ষা কর্মকর্তা) এর নির্দেশে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে গণিত বিষয়ও খোলা হয়। এ সময় ছাত্রদের থাকার জন্য নির্মিত হয় একটি হোস্টেল (বর্তমানের শামসুদ্দিন ছাত্রাবাস)। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে এবং কলেজের ভৌতকাঠামোর উপযোগিতা থাকায় ডিগ্রী কোর্স খোলা হলে কলেজটি রাজশাহী নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তাঁর আন্তরিকতা, দক্ষতা, বিচক্ষণতা সর্বোপরি সাহসিকতার সঙ্গে সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে কলেজটিকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালান। প্রতিষ্ঠার তিন বছরের মধ্যেই কলেজটি লেখাপড়া, বিশেষ করে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রায় রাজশাহী কলেজের সমকক্ষতা অর্জন করেছিল। প্রজ্ঞাবান এ অধ্যক্ষের স্মৃতিকে ধারণ করে রাখতে কলেজের প্রথম ছাত্রাবাসটিকে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়। এ কলেজের দ্বিতীয় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হায়দার হোসেনও পূর্বসূরীর কর্মনীতিকে অনুসরণ করে কলেজের মানোন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা করেছেন। কলেজের দ্বিতীয় ছাত্রাবাসকে ‘হায়দার হোসেন হোস্টেল’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। রাজশাহী কলেজে স্নাতকোত্তর শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি বন্ধ করা হলে, নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজই হয়ে ওঠে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে শিক্ষা গ্রহণের মূল কেন্দ্র। বর্তমানে বিজ্ঞান শাখায় চারটি সেকশনে মোট ৬০০ জন মানবিক শাখায় দুটি সেকশনে ৩৫০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় দুটি সেকশনে মোট২৫০ জন ছাত্র- ছাত্রী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলা, ইংরেজী, অর্থনীতি, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনাসহ মোট ৭টি বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তন করা হয়। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে সাতটি বিষয়ে মোট ৬৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী ১ম বর্ষ অনার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। আরও কিছু বিষয়ে অনার্স কোর্স প্রবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একাডেমিক তথ্য: বর্তমানে এ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৭টি বিষয়ে, স্নাতক পাস পর্যায়ে ১৫টি এবং অনার্স পর্যায়ে ৭টি বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে এবং ৭৬ টি সৃষ্ট পদে শিক্ষকগণ কর্মরত থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটি করে মোট চারটি হোস্টেল রয়েছে। ফলাফল: উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ফলাফল বিবেচনায় সরকারী কলেজসমূহের মধ্যে ২০০৪ সাল থেকে দেশের শ্রেষ্ঠ কলেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে চলেছে এ কলেজ। এছাড়াও সাংস্কৃতিক,সামাজিক, বিতর্ক, বিজ্ঞান মেলা etc নানা ক্ষেত্রে এ কলেজের রয়েছে উজ্জ্বল সাফল্য। ২০০৯ সালে লেখক ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে এ কলেজে প্রতিষ্ঠিত হয় 'Youth Writers Forum' নামে একটি লেখক সংগঠন।

Email address: ngdcrajbd@yahoo.com

Website: www.ngdc-raj.ac.bd

Phone no. +৮৮০৭২১৭৭২৬৩০

Fahamid (আলাপ) ০৮:৫৮, ১৪ অক্টোবর ২০১০ (ইউটিসি)