ব্যবহারকারী:আফিফ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কদম তলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।


গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় করোনা সনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। পুরো উপজেলায় হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্থানীয় প্রসাশন। এরই মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণও করেছেন বেশ কয়েকজন। করোনার নমুনা দিতে মানুষের অনীহা থাকায় উপজেলায় করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে পারছেনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলার স্বাস্হ‍্য বিষেজ্ঞদের ধারণা এই এলাকায় হঠাৎ করে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনীহা ও স্থল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারীদের অবাধ চলাচল। ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের লিটন মিয়া (৪৫) ও চরভূরঙ্গামারী ইউনিয়নের গেন্দা মিয়া (৩০) বলেন আমরা ৪/৫ দিন থেকে জ্বর ও সর্দিতে ভূগছি। জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েছি। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছি আমরা।

চরভূরঙ্গামারী ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম ফজলুল হক বলেন, আমার এলাকায় অনেক মানুষের জ্বর ও সর্দি হওয়ার খবর পাচ্ছি। তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার জন‍্য বলছি।

পাইকেরছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার জানান, ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ জ্বরে ভুগছেন। ইউনিয়নটিতে দীর্ঘদিন জ্বরে ভুগে একব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন।

জয়মনিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক সাখাওয়াৎ হোসেন সানোয়ার জানান, ইউনিয়নের প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন।

ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান জানান, ইউনিয়নটিতে জ্বরে একব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছে।