বুলবুল তরঙ্গ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বুলবুল তরঙ্গ
বৈদ্যুতিক বুলবুল বাজানো হচ্ছে

বুলবুল তরঙ্গ (হিন্দি: बुलबुल तरंग), গুরুমুখী লিপি ਬੁਲਬੁਲਤ੍ਰਂਗ, আক্ষরিক অর্থে "বুলবুলের ঢেউ", অন্য ভাবে ভারতীয় বা পাঞ্জাবি ব্যাঞ্জো) হল পাঞ্জাবের একটি তন্তু বাদ্যযন্ত্র যেটি জাপানিদের তাইশোগোতো থেকে বিবর্তিত হয়েছে। এটি সম্ভবত ১৯৩০ এর দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় এসে পৌঁছেছিল।[১]

বাদ্যযন্ত্রটিতে দুই রকমের তন্তু আছে, একটি রকম গুঞ্জন্ধ্বনি তোলার জন্য, এবং অন্যটি সুর তোলার জন্য। তন্তুগুলি একটি পাটাতন বা ফ্রেটবোর্ডের উপর দিয়ে গেছে, উপরে চাবি রয়েছে যেগুলি টাইপ রাইটার চাবির মতই। চাবিতে চাপ দিলে নিচের তন্তুতে চাপ পড়ে, সেটি ছোট হয়ে যায় এবং স্বরের তীক্ষ্ণতা বেড়ে যায়।[২]

সুরকরণ[সম্পাদনা]

সুরের তন্তুগুলি সাধারণত একই অষ্টকের সুরে বাঁধা থাকে, গুঞ্জন তন্তুগুলি ১ম এবং ৫ম সুর তন্তুর সুরে বাঁধা থাকে। এই ভাবে সুরকরণ করার ফলে, বাদ্যযন্ত্রটি এক সুর যুক্ত হয়, অথবা বলা যায় বিভিন্ন চাবিতে সুরের পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়না। কারণ ভারতের সূক্ষ্ম সুরেলা সংগীত সূক্ষ্ম, সুরের ত্তঠানামার ওপর বেশি নজর দেয়। এই সংগীত-তাত্ত্বিক পদ্ধতি পশ্চিমী সংগীত থেকে একেবারে আলাদা, এটি মূলত সুরেলা সংগীত; সেইজন্য বিভিন্ন চাবিগুলিতে পরিবর্তনকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয় না। সুরের তন্তুগুলি চাইলে বিভিন্ন স্বরকম্পাঙ্কে সুর করা যেতে পারে, তাতে এটিকে বহু সুরে পরিণত করা যায়, কিন্তু তাতে বাজানো আরও কঠিন হয়ে পড়ে। বুলবুল তরঙ্গটি গানের সঙ্গে সঙ্গত করার জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়। অটোহার্পের মত, চাবিতে চাপ দিয়ে একটি পরদা নির্বাচন করা যেতে পারে।

বুলবুল তরঙ্গ (এমিল রিচার্ডসের সংগ্রহ থেকে)

সম্পর্কিত বাদ্যযন্ত্র[সম্পাদনা]

তাইশোগোতো থেকে বিবর্তনের কারণে, ভারতীয় সংস্করণটিকে কখনও কখনও "ভারতীয় ব্যাঞ্জো" বা "জাপান ব্যাঞ্জো" নামে ডাকা হয়; জার্মানি এবং অস্ট্রিয়াতে অনুরূপ যন্ত্রগুলি আক্কোরডোলিয়া নামে পরিচিত, এবং পাকিস্তানে এর নাম বেঞ্জু। মালদ্বীপে এটি কোট্টাফোশি নামে পরিচিত, এবং ভারতীয় ফিজি অভিবাসীদের মধ্যে এর নাম মেডোলিন (উচ্চারণ করা হয় "মেন্ডোলিন", ম্যান্ডোলিন থেকে এসেছে)। [৩]

আরও জটিল ও বিদ্যুতায়িত সংস্করণটি শাহী বাজা নামে পরিচিত।

উল্লেখযোগ্য বাদক[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Society for Asian Music (১৯৯৩)। Asian music। Society for Asian Music.। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২  - toy Taisho Koto, probably first imported into India in the 1930s, which has caught on both in India and Pakistan and become a legitimate instrument, now called bulbul tarang (the nightingale's cascading voice) or banjo.
  2. Mary Jo Clark; Thomas Corbett; Haywood Turrentine (জুলাই ২০১১)। The Other Side of the World: Vision and Reality: Selected Reflections of India 44's Peace Corps Volunteers। Strategic Book Publishing। পৃষ্ঠা 225–। আইএসবিএন 978-1-61204-438-5। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২ 
  3. Kevin Christopher Miller; University of California, Los Angeles (২০০৮)। A Community of Sentiment: Indo-Fijian Music and Identity Discourse in Fiji and Its Diaspora। ProQuest। পৃষ্ঠা 307–। আইএসবিএন 978-0-549-72404-9। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০১২