বানৌজা শাহ আমানত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা শাহ আমানত
নির্মাতা: ড্যানইয়ার্ড ফ্রেডরিকশাভন, ডেনমার্ক
কমিশন লাভ: ১৯৯০
ডিকমিশন: ২০২২
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: এল৯০০
অবস্থা: নিষ্ক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: শাহ আমানত-শ্রেণীর ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি
ওজন: ৩৬৬ টন
দৈর্ঘ্য: ৪৭ মিটার (১৫৪ ফু)
প্রস্থ: ১০.৪ মিটার (৩৪ ফু)
গভীরতা: ২.৪০ মিটার (৭.৯ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × ক্যাটারপিলার ডি৩৪৩ ৭২০ অশ্বশক্তি (৫৪০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ১০ নট (১৯ কিমি/ঘ; ১২ মা/ঘ)
সীমা: ১,২০০ নটিক্যাল মাইল (১,৪০০ মা; ২,২০০ কিমি)
সহনশীলতা: ৭ দিন
লোকবল: ৩১ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
রাডার
রণসজ্জা: ৪ × সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) শাহ আমানত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শাহ আমানত-শ্রেণীর একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিউই) জাহাজ। এই জাহাজটিকে ড্যানইয়ার্ড, ফ্রেডরিকশাভন, ডেনমার্কে নির্মাণ করা হয়। এই জাহাজটি সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে উভচর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সেনাসদস্য, রসদ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ, ট্যাংক, সামরিক যানবাহন এবং বিভিন্ন প্রকার সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ড্যানইয়ার্ড ফ্রেডরিকশাভন, ডেনমার্কে নির্মিত জাহাজটি পূর্বে অস্ট্রেলিয়ান মালিকানাধীন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জাহাজ হিসেবে কর্মরত ছিল। তবে ১৯৮৮ সালে জাহাজটি অবৈধ চোরাচালানের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী কাছে ধরা পড়ে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক জাহাজটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের গ্রেফতার এবং জাহাজটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরবর্তীতে জাহাজটিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নৌবাহিনী বহরে বানৌজা শাহ আমানত নামে ১৯৯০ সালে কমিশন করা হয়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা শাহ আমানত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার (১৫৪ ফু), প্রস্থ ১০.৪ মিটার (৩৪ ফু) এবং গভীরতা ২.৪০ মিটার (৭.৯ ফু)। এই উভচর জাহাজটির ওজন ৩৬৬ টন এবং জাহাজটিতে রয়েছে ২টি শ্যাফট ও ২টি ক্যাটারপিলার ডি৩৪৩ ৭২০ অশ্বশক্তি (৫৪০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০ নট (১৯ কিমি/ঘ; ১২ মা/ঘ)। এটি ৩১ জন জনবল নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ১৫০ টন কার্গো বহন করতে সক্ষম।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

দুর্যোগ ও শান্তিকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকায় নিয়োজিত এই জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ৪টি সিআইএস-৫০ ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
  • এছাড়াও যুদ্ধকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে জাহাজটিতে ৬টি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিউডব্লিউ-২ ম্যানপ্যাড মোতায়েন করা যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]