বানৌজা বরকত
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা বরকত |
নির্মাতা: | গুইজিয়ান শিপইয়ার্ড, গণচীন |
কমিশন লাভ: | ৪ আগস্ট, ১৯৯৬ |
মাতৃ বন্দর: | চট্টগ্রাম |
শনাক্তকরণ: | পি৭১১ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | টাইপ ০৬২I-শ্রেণীর গানবোট |
ওজন: | ১৭০ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৪১ মিটার (১৩৫ ফু) |
প্রস্থ: | ৫.৩ মিটার (১৭ ফু) |
ড্রাফট: | ১.৮ মিটার (৫.৯ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ) |
সীমা: | ৬৫০ নটিক্যাল মাইল (৭৫০ মা; ১,২০০ কিমি), ১৭ নট (৩১ কিমি/ঘ; ২০ মা/ঘ) গতিতে |
লোকবল: | ২৮ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: | ১ × ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র্যাডার (জাপান) |
রণসজ্জা: |
|
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) বরকত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০৬২I-শ্রেণীর একটি গানবোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬][৭][৮]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার গণচীন থেকে বানৌজা বরকত জাহাজটি ক্রয় করে। পরবর্তীতে ৪ আগস্ট, ১৯৯৬ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। জাহাজটির মাধ্যমে অপারেশন ট্রেজার শিল্ড, অপারেশন নির্মূল, জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযান ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]
বানৌজা বরকত জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪১ মিটার (১৩৫ ফু), প্রস্থ ৫.৩ মিটার (১৭ ফু) এবং গভীরতা ১.৮ মিটার (৫.৯ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ডয়েটজ বিএফ ৪এম১০১৩এম ডিজেল মেরিন ইঞ্জিন (জার্মানি/সিঙ্গাপুর) এবং ৪টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নট (৪৬ কিমি/ঘ; ২৯ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ১টি ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র্যাডার (জাপান)।
রণসজ্জা[সম্পাদনা]
বানৌজা বরকত জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
- ২টি টাইপ ৬৯ টুইন ব্যারেল ১৪.৫ মিমি ভারী মেশিনগান;
- ২টি টাইপ ৭৬এ টুইন ব্যারেল ৩৫ মিমি বিমান বিধ্বংসী কামান;
- ৮টি ডেপ্থ চার্জ;
- ১০টি সামুদ্রিক মাইন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ | Naval Ship | Independence Day 2022"। ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ঘুরে দেখলো সাধারণ মানুষ | Armed Forces Day | Bangladesh Navy | Ekhon TV"। ১৬ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৩।
- ↑ "মা ইলিশ রক্ষায় নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বরকত | Padma River | Somoy TV"। ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২২।
- ↑ "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ২০ লাখ ৩৬ হাজার মিটার অবৈধ জাল আটক করেছে নৌবাহিনী"। আইএসপিআর। ২০২২-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১১।
- ↑ "BD Navy. mongla bondor"। ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মার্চ ২০২৩।
- ↑ "TENDER SPECIFICATION OF SPARE PARTS FOR BNS BARKAT"। NAVAL STORES DEPOT, CHATTOGRAM. BANGLADESH। ২০২৩-০৬-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৮।
- ↑ "বাংলাদেশ এর যুদ্ধের জাহাজ পদ্মা নদীর মাওয়া ঘাটে এ কি করছে!😱😳Bangladesh fighting Ship.💥"। ১৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২৩।
- ↑ "সশস্ত্র বাহিনী দিবসে যুদ্ধ জাহাজ উন্মুক্ত (Armed Forces Day)"।