প্রিন্সেস অফ মার্স
প্রিন্সেস অফ মার্স | |
---|---|
পরিচালক | মার্ক অ্যাটকিনস |
প্রযোজক | ডেভিড মাইকেল ল্যাট ডেভিড রিমাওই পল বেলস |
রচয়িতা | মার্স আটকিনস |
উৎস | এডগার রাইস বারোজ কর্তৃক আ প্রিন্সেস অফ মার্স (অনুল্লিখিত) |
শ্রেষ্ঠাংশে | অ্যান্টনিও সাবাটো, জুনিয়র ট্রেসি লর্ডস |
পরিবেশক | দি অ্যাসাইলাম |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯০ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
প্রিন্সেস অফ মার্স (ইংরেজি: Princess of Mars; ২০১২ সালে জন কার্টার অফ মার্স (ইংরেজি: John Carter of Mars) নামে পুনঃনামাঙ্কিত ও পুনঃমুক্তিপ্রাপ্ত[১]) ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ডাইরেক্ট-টু-ডিভিডি কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র। এডগার রাইস বারোজের আ প্রিন্সেস অফ মার্স (১৯১৭) উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মাণ করেছিল মার্কিন ইন্ডিপেনডেন্ট স্টুডিও দি অ্যাসাইলাম। ছবির প্রচারমূলক শিল্প উল্লেখলিপি থেকে জানা যায়, কীভাবে মূল গল্পটি জেমস ক্যামেরনের অবতার ছবিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। কিন্তু ছবির নামলিপি বা প্রচারমূলক কোনও উপাদানেই এডগার রাইস বারোজের নাম উল্লিখিত হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অধিক বাজেটে নির্মিত এবং ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জন কার্টার ছবিটিও একই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ইউরোপে ছবিটি মুক্তি পায় দ্য মার্শিয়ান কলোনি ওয়ারস নামে।
কাহিনি-সারাংশ[সম্পাদনা]
জন কার্টার (অ্যান্টোনিও সাবাটো, জুনিয়র) হলেন একালের মার্কিন সেনাবাহিনীর স্নাইপার। আফগানিস্তানে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি আহত হন এবং একটি টেলিপোর্টেশন পরীক্ষায় তাকে ব্যবহার করা হয়। তার ফলে তিনি পৌঁছে যান পৃথিবীর সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত বারসুম গ্রহে। সেখানে বিস্ময়কর দূরত্ব লাফ দিয়ে পার হওয়ার ক্ষমতা প্রদর্শন করেন তিনি। প্রথমে থার্কেরা তাকে দাস হিসাবে বন্দী করে। পরে তিনি তাদের মধ্যে একটি পদমর্যাদার অধিকারী হন। শেষে প্রতিপক্ষ দলের রাজকুমারী মানুষ-সদৃশ ডেজাহ্ থোরিসকে (ট্রেসি লর্ডস) মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন।
টারস টারকাসের নেতৃত্বাধীন থার্ক বাহিনী কার্টারকে তাদের নেতা টাল হাজুসের কাছে নিয়ে যায়। সেই সময় টারস টারকাসের মেয়ে সোলা তার রক্ষীর দায়িত্বে ছিলেন। টারকাস কার্টারকে এমন একটি সামরিক পদমর্যাদা দান করেছিলেন, যেটি দান করার ক্ষমতা একমাত্র হাজুসেরই আছে। সেই কথা জানার পর টারকাস ও কার্টারকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে বাধ্য করা হয়। জয়লাভের পর কার্টার সারকার মুখোমুখি হন। সারকা হল এক আফগান ভাড়াটে সৈনিক যে কার্টারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। সারকা পালিয়ে গেলে হাজুসকে হত্যা করে থার্কদের নতুন দলপতি হতে টারকাসকে সাহায্য করেন কার্টার।
এরপর ক্যাপ্টেন কার্টার জানতে পারেন যে, ডেজাহ্ থোরিস গ্রহের বায়ু-সংশোধন স্টেশনে পালিয়ে গিয়েছেন। এই স্টেশনটি বারসুম গ্রহকে বাসযোগ্য করে রাখে। সারকা এটির ক্ষতি করায় গ্রহের বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। জন কার্টার সারকার সঙ্গে দ্বন্দ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। কিন্তু লড়াই করতে করতে একটি পোকার কামড়ে সারকার মৃত্যু ঘটে। কার্টার ও ডেজাহ্ থোরিস মিলে স্টেশনটি পুনরায় চালু করার পর কার্টার পৃথিবীতে ফিরে আসেন। সেখানে তিনি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের অ্যাডভেঞ্চারের কথা বলতে অস্বীকার করেন। তার ভয় ছিল, এই কথা জানলে তারা বারসুমে উপনিবেশ স্থাপন করতে যাবেন। এরপর তিনি আগের মতোই সামরিক দায়িত্বে পুনর্বহাল হন এবং আশা করতে থাকেন যে একদিন আবার তিনি বারসুমে ফিরতে পারবেন।
কলাকুশলী[সম্পাদনা]
- অ্যান্টোনিও সাবাটো, জুনিয়র - জন কার্টার
- ট্রেসি লর্ডস - ডেজাহ্ থোরিস
- ম্যাট ল্যাস্কি – টারস টারকাস
- চাকো ভাদাকেথ – সারকা / সাব থান
- মিশেল গর্ডন – তাল হাজুজ
- নোয়েল পেরিস - সোলা
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- Princess of Mars at The Asylum ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে প্রিন্সেস অফ মার্স (ইংরেজি)
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০৯-এর ডাইরেক্ট-টু-ভিডিও চলচ্চিত্র
- মার্কিন কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- বারসুম
- এডগার রাইস বারোজের সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র
- চলচ্চিত্রে মঙ্গল গ্রহ
- মার্ক অ্যাটকিনস পরিচালিত চলচ্চিত্র
- মার্কিন উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র
- কল্পবিজ্ঞান উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্র
- ২০০৯-এর চলচ্চিত্র
- মার্কিন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্র
- ক্যালিফোর্নিয়ায় ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- মার্কিন উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- বিজ্ঞান কল্পকাহিনী উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র