পূর্বা শেটি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পূর্বা শেটি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপূর্বা কিরণ শেটি
জাতীয়তাভারতীয়
জন্ম১২ই মার্চ ১৯৯৩
মুম্বই, ভারত
উচ্চতা৫ ফুট
ওজন৫৮ কেজি (১২৮ পাউণ্ড)
ক্রীড়া
ক্রীড়াসাঁতার
ধরনব্রেস্টস্ট্রোক

পূর্বা কিরণ শেটি (জন্ম ১২ই মার্চ ১৯৯৩), একজন ভারতীয় আন্তর্জাতিক সাঁতারু, যিনি ৫০ মিটার, ১০০ মিটার এবং ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে বিশেষজ্ঞ।[১] ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকের জন্য জাতীয় গেমসে জাতীয় রেকর্ড এখনও পূর্বার দখলে আছে।[১]

পূর্বাকে ২০০৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চ্যভন মহারাষ্ট্র সরকারের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ "শিব ছত্রপতি পুরস্কার" প্রদান করেন।[২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

পূর্বার জন্ম হয়েছিল মুম্বাইতে। তাঁর মা ও বাবা ছিলেন যথাক্রমে কবিতা কিরণ শেটি এবং কিরণ এম শেটি। সাঁতারের প্রতি তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে তিনি বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন। অল্প বয়সে, তাঁর দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) ব্রঙ্কাইটিস ধরা পড়ে। তাঁদের পারিবারিক হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, ডাঃ সীমা ওকের পরামর্শে, তিনি তাঁর ফুসফুসের ক্ষমতা উন্নত করতে সাঁতার কাটাতে শুরু করেছিলেন। এইভাবে ছয় বছর বয়সে, পূর্বা এবং তাঁর বড় বোন, প্রাচী দুজনকেই সাঁতার শেখানো হয়।

এছাড়াও, পূর্বাকে সাঁতার শেখানোর আর একটি কারণ হল পূর্বার বাবার খেলাধুলার প্রতি খুব ঝোঁক ছিল। টেবিল টেনিস, দাবা, ক্যারামের মতো অনেক খেলা তিনি নিজেও খেলেছেন। শুরুতে, পূর্বা খুব বেশি সাঁতার পছন্দ করতেন না কিন্তু তাঁর বোন প্রাচী এটি পছন্দ করতেন, এমনকি তিনি রাজ্য স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপে সাঁতার কাটা শুরু করেছিলেন এবং জাতীয় স্তরের ডুবুরি হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পূর্বার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। পূর্বা দিদির মতো হতে চেয়েছিলেন এবং এমনকি সাঁতারকে গুরুত্ব সহকারে নিতে প্রাচী তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

পূর্বা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থিত আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স অফ অ্যানালিটিকসে স্নাতক হয়েছিলেন। তিনি সিএমএস বিজনেস স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন এবং ২০১৬ সালে বিজনেস ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেন। তিনি বেঙ্গালুরুতে জৈন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি উদ্যোগ জেজিআই গ্রাসরুট-এ অপারেশন প্রধান হিসাবে দুই বছর কাজ করেছেন। সাঁতারে তাঁর দুর্দান্ত প্রদর্শনের জন্য তিনি তাঁর এমবিএ চলাকালীন ১০০% বৃত্তিও পেয়েছেন।

সাঁতারের জীবন[সম্পাদনা]

পূর্বা শেটি ২০০৬ সালে ইসলামাবাদে, সাউথ এশিয়ান সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে - তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণে একটি স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।[১] তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজুতে ২৯তম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপে; স্পেনের বার্সেলোনায় ১৫তম ফিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে; ২০১০ সালে দিল্লিতে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি অনেক জাতীয় টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৪০টি স্বর্ণ, ৩২টি রৌপ্য এবং ১৬টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

ক্রীড়া প্রোফাইল

• ১৯৯৯ সালে সাঁতার কাটা শুরু করেন

• প্রদীপ কুমারের অধীনে প্রশিক্ষণ

• মহারাষ্ট্রের ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তি - ২০১২ সালে রাঁচিতে জাতীয় গেমসে ৩টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য অর্জনের জন্য শিব ছত্রপতি ক্রীড়া পুরস্কার মহারাষ্ট্রের ১৭তম মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চ্যভন দ্বারা

•ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি, এপিজে আবদুল কালাম দ্বারা অভিনন্দিত৷

অর্জন[সম্পাদনা]

•১৭টি রাষ্ট্রীয় রেকর্ড

•২০টি জাতীয় রেকর্ড

৯ম দক্ষিণ এশিয়ান গেমস, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান - ২০০৪ (রেকর্ডধারী)

৩য় কমনওয়েলথ যুব গেমস ২০০৮, পুনে, ভারত

৩য় এশিয়ান ইনডোর গেমস, হ্যানয়, ভিয়েতনাম

একাদশ দক্ষিণ এশিয়ান গেমস, ঢাকা, বাংলাদেশ - ২০১০

১৯তম কমনওয়েলথ গেমস ২০১০ দিল্লি

১৫তম ফিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, বার্সেলোনা, স্পেন

২৯তম বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশিপ, গোয়াংজু, দক্ষিণ কোরিয়া ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে

আজ পর্যন্ত অংশগ্রহণ:

•৩০টি জাতীয় মিট

•৭টি আন্তর্জাতিক মিট

•৩টি জাতীয় গেমস

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Swimming Federation Of India"। swimmingfederation.in। ১৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১২ 
  2. "35 athletes awarded Shiv Chhatrapati Awards for 2008-09 | Latest News & Updates at Daily News & Analysis" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-২১