পাতামাছি
Hydrellia sasakii | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Arthropoda |
উপপর্ব: | Hexapoda |
শ্রেণী: | Insecta |
বর্গ: | Diptera |
পরিবার: | Ephydridae |
গণ: | Hydrellia |
প্রজাতি: | Hydrellia sasakii |
পাতামাছি ধান ফসলের সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর পোকা। পূর্ণ বয়স্ক পাতা মাছি ২ মিলিমিটার লম্বা হয়। এরা পাতার উপরে একটা করে ডিম পাড়ে।[১]
আকার আকৃতি[সম্পাদনা]
এদের শরীরের গঠন দেখতে অনেকটা মাছির মতো।
জীবনবৃত্তান্ত[সম্পাদনা]
এরা পাতার উপরে একটা করে ডিম পাড়ে। ডিম ফোটার পর কীড়াগুলো কান্ডের মাঝখানে ঢুকে কান্ডের ভেতরে অবস্থিত কচি মাঝ পাতার পাশ থেকে খেতে শুরু করে। কীড়াগুলো কান্ডের ভেতরে কচি পাতার রঙের মতোই সবুজ মিশ্রিত হলদে রঙের হয়ে থাকে। এরা গাছের বাইরের পাতার খোলে এসে পুত্তলীতে পরিণত হয়। পাতামাছির জীবনচক্র ৪ সপ্তাহে পূর্ণ হয়।[১]
ক্ষতির প্রকৃতি[সম্পাদনা]
পাতা মাছির কীড়া ধান গাছের মাঝখানের পাতা থেকে পুরোপুরি বের হওয়ার আগেই পাতার পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে, ফলে ঐ অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। মাঝখানের পাতা যত বাড়তে থাকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ততই স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়। পাতামাছির এই ধরনের ক্ষতির ফলে কুশী কম হয় এবং ধান পাকতে বাড়তি সময় লাগতে পারে। চারা থেকে শুরু করে কুশী ছাড়ার শেষ অবস্থা পর্যন্ত ধান গাছ এই পোকা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যে সমস্ত ক্ষেতে প্রায় সব সময়ই দাঁড়ানো পানি থাকে সে সব ক্ষেতেই এই পোকা বেশি আক্রমণ করে।[১]
দমন ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]
আক্রান্ত জমি থেকে দাঁড়ানো পানি সরিয়ে দিয়ে এই পোকার প্রকোপ কমানো যেতে পারে। শতকরা ২৫ ভাগ ধানের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে।[১]