নেপালের গণমাধ্যম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নেপালের একটি সামাজিক মাধ্যম নেপালের একটি সোশ্যাল মিডিয়া টিম

নেপালের গণমাধ্যম হিসেবে চালু আছে বেতার, দূরদর্শন, সংবাদপত্র এবং অনলাইনের পরিষেবাসমূহ।

বেতার[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিকভাবে নেপালে গণসংযোগের সব থেকে চলতি মাধ্যম ছিল বেতার। ১৯৫১ সাল থেকে দেশের অভ্যন্তরে সরকারি মালিকানায় একমাত্র বেতার পরিষেবায় নিয়োজিত ছিল রেডিও নেপাল। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এই বেতার সম্প্রচার শর্ট ওয়েভ, মিডিয়াম ওয়েভ এবং এফএম প্রচার তরঙ্গের কাজ করছিল। বেসরকারি সম্প্রচারকগণ এফএম চ্যানেল ইজারা দিতে পারে।[১]

  • বেতারের সংখ্যা : ২০,০০,০০০ (২০০৬ সাল)
  • বেতার কেন্দ্রসমূহ: এএম ৬, এফএম ২০০, শর্টওয়েভ ১ (২০১৫ সাল)

দূরদর্শন[সম্পাদনা]

১৯৮৫ সালে দূরদর্শন সম্প্রচার শুরু হয়ছিল। সম্প্রচারক সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে, সরকারি মালিকানাধীন নেপাল টেলিভিশন (এনটি), যে সংস্থার দু্ইটি চ্যানেল রয়েছে, এবং বেসরকারি সম্প্রচারক সংস্থার মধ্যে রয়েছে নেপাল ওয়ান, সাংরি-লা এবং স্পেস টাইম নেটওয়ার্ক। সকল বেসরকারি সম্প্রচারকের আর্থিক লোকসান এবং বিষয়বস্তুর সীমাবদ্ধতা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। বিদেশি অনুষ্ঠানগুলো উপগ্রহ অথবা ক্যাবলের মাধ্যমে প্রবেশ করা যায়। দূরদর্শন দর্শনের সংখ্যাতত্ত্ব পাওয়া যায় না, কিন্তু যতদূর জানা যায় নেপালের জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশের কম প্রবেশের মধ্যে থাকে।[১]

ষষ্ঠ উন্নয়ন পরিকল্পনার (১৯৮০-১৯৮৫) অধীনে 'উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ' এই স্লোগানসহ একটি প্রকল্প হিসাবে নেপালে দূরদর্শন চালু হয়েছিল। এই উদ্দেশ্যর মূল বক্তব্য ছিল, "দূরদর্শনে জাতীয় ঐক্যের প্রচারে শিক্ষামূলক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ কার্যক্রম প্রস্তুত ও সম্প্রচার করা যাতে পরম্পরা রক্ষিত হয় এবং জাতীয় স্বার্থ প্রচারিত হয়"। এটা একটা গবেষণা প্রকল্পের অংশ ছিল যাতে দূরদর্শন প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে সম্ভব ছিল কিনা তা নির্ধারণের জন্য খতিয়ে দেখা যায়। এনটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে একচেটিয়া কর্তৃত্বে ছিল।

নেপালে এনটি এবং এনটিভি প্লাস সমেত ষোলোটি দূরদর্শন সম্প্রচারক রয়েছে। বেসরকারি সম্প্রচারকদের মধ্যে রয়েছে কান্তিপুর টেলিভিশন, যার মালিক কান্তিপুর পাবলিকেশন; ইমেজ গ্রুপ অফ কোম্পানির ইমেজ চ্যানেল এবং অ্যাভিনিউস টেলিভিশন। অ্যাভিনিউস অ্যাড নামে একটা সংস্থা তাদের মালিকানায় সংবাদ এবং বর্তমান ঘটনার চ্যানেল ২০০৭ সালের জুলাই মাসে সম্প্রচার শুরু করে। ২০০৭ সালের জুলাই চালু হয়েছিল সাগরমাথা টেলিভিশন। ২০০৮ সালে এবিসি টিভি নেপালজাতীয় টিভি এবং ২০১০ সালে নিউজ ২৪, হিমালয় টেলিভিশনমাউন্টেন টেলিভিশন চালু হয়েছিল। ২০০৯ সালে টিভি ফিল্মির সঙ্গে বিনোদন চ্যানেলগুলোর উদ্ভব হয়েছিল, ২০১২ সালে ই-২৪ টেলিভিশন চালু হয়েছিল। তরাই টেলিভিশন, নেপাল মণ্ডল ও মাকালু টেলিভিশনের মতো আঞ্চলিক চ্যানেলগুলো ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে। মিশন স্টার চালু হয়েছে। নেপাল ওয়ান ভারত থেকে প্রসারিত হয়েছে। চ্যানেল নেপাল হল প্রথম নেপালি ভাষার উপগ্রহ চ্যানেল, যার সম্প্রচার ২০১১ সালে স্থগিত হয়েছে। অন্যান্য চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে: এপি ১ এইচডি টিভি, মাউন্টেন টেলিভিশন, অ্যারেনা টেলিভিশন, হিমশিখর টেলিভিশন, ইয়ং এশিয়া টেলিভিশন (নেপাল), আরণিকো টেলিভিশন এবং মেরো টিভি।

  • দূরদর্শন সম্প্রচার স্টেশনসমূহ: ১৮ (২০১২) (এছাড়া ৯টা পুনঃপ্রচারকারী) (২০০৭)
  • টেলিভিশন: ৫,০০,০০০ (২০০৬)

সাময়িক পত্রসমূহ[সম্পাদনা]

২০০৩ খ্রিস্টাব্দে নেপালে সরকারি সংখ্যাতত্ত্ব মোতাবেক ৩,৭৪১ সংখ্যক নথিভুক্ত সংবাদপত্র ছিল যার মধ্যে ২৫১টি দৈনিক প্রকাশিত হত। সরকারি মালিকানায় গোর্খাপত্র (গোর্খা জার্নাল) দৈনিক সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যা ছিল ৭৫,০০০-এর আশপাশে। অধিকাংশ নথিভুক্ত সংবাদপত্র হয় সাপ্তাহিক (১,৩০৪) নতুবা মাসিক (১,১২২) হিসেবে প্রকাশিত হত। বহুসংখ্যক আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হওয়ার ফলস্বরূপ তারা সামান্য বিশ্বাসযোগ্যতা লাভ করত বলেই মনে করা হত।[১]

  • নেপালের ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্রগুলো হল, কাঠমান্ডু ট্রিবিউন, কাঠমান্ডু পোস্ট, দ্য হিমালয়ান টাইমস এবং মাই রিপাবলিকা।
  • পত্রিকা এবং সাময়িক পত্রসমূহ - ২৯৫

অনলাইন[সম্পাদনা]

নেপালের বেশিরভাগ পরিদর্শন করা নিউজ সাইটের মধ্যে কয়েকটি দেশীয় সেবা প্রদানকারী তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে পারে। নেপালের সাধারণ জাতীয় এবং আঞ্চলিক ওয়েব নিউজ পোর্টালগুলোর মধ্যে সেটোপাতি, রাজমার্গা, অনলাইনখবর, রাতোপাতি, ইকান্তিপুর, নেপম্যাগ এবং প্রিন্ট মিডিয়া থেকে ওয়েব পোর্টাল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট এবং এর অন্তর্ভুক্ত ইকান্তিপুর, দ্য হিমালয়ান টাইমস, রিপাব্লিকা ইত্যাদি তাদের অনলাইন সংস্করণ ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://lcweb2.loc.gov/frd/cs/profiles/Nepal.pdf (This article incorporates text from this source, which is in the public domain.)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]