দীঘলীপুখুরী

স্থানাঙ্ক: ২৬°১১′১৫″ উত্তর ৯১°৪৫′০৪″ পূর্ব / ২৬.১৮৭৫৫° উত্তর ৯১.৭৫১০৮৩° পূর্ব / 26.18755; 91.751083
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দীঘলীপুখুরী

দীঘলীপুখুরী অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর পারে গুয়াহাটীতে অবস্থিত একটা আয়তাকার কৃত্রিম পুকুর। এই পুকুরের প্ৰায় আধ-মাইল দৈর্ঘ্যের জন্য এর নাম দীঘলীপুখুরী হয়েছে বলে জানা যায়। গুয়াহাটীতে অবস্থিত ঐতিহাসিক পুকুরসমূহের ভিতর এটিই অন্যতম।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

লোকপ্ৰবাদ অনুসারে, দীঘলীপুখুরী আসলে প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা ভগদত্ত ব্রহ্মপুত্র থেকে একটা খাল খনন করে সৃষ্টি করেছিলেন। প্রবাদ অনুসারে ভগদত্ত কন্যা দীঘলীর নামে খনন করেছিলেন। পরবর্তীকালে কামরূপেরকামতার মহারাজাগণ যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। তথ্য অনুসারে, দীঘলীপুখুরী ব্রহ্মপুত্রের মূল নদীর সাথে একটা খাল সংযুক্ত হয়েছিল। পরবর্তীকালে আহোমরা এই পুকুর নৌকা চলাচল ও নৌকা বন্দরের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন বলে জানতে পারা যায়।

সময়ের সাথে সাথে এই পুকুরের ব্রহ্মপুত্রের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বৃটিশ শাসনকালে এই পুকুরের উত্তরভাগের কিছু অংশ বুজিয়ে ফেলা হয়। বর্তমান এই অংশে গুয়াহাটী উচ্চ ন্যায়ালয়ের নির্মাণ করা হয়। এই পুকুরকে কেন্দ্র করে পরে পার্ক নির্মাণ করা হয়। বৰ্তমান এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানে সময়ে সময়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তথা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচী নেওয়া হয়।[১]

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

দীঘলীপুখুরীর চারপাশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন কটন কলেজ, সন্দিকৈ বালিকা মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি অবস্থিত। তদুপরি এর চারপাশে থাকা অন্যান্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আসাম রাজ্যিক সংগ্রহালয়, রবীন্দ্রভবন, রাজ্যিক গ্রন্থাগার, কর্মবীর নবীন চন্দ্র বরদলৈ অধ্যয়ন কক্ষ (কার্জন হল), গুয়াহাটী রাজ্যিক সংগ্রহালয়[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১২ 
  2. Al-Ahmed, Saikh Md Sabah, "A Tale of Four Ponds", The Assam Tribune, Guwahati, ২০১২-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা