থাবাটন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
থাবাটন
সাত ভাইয়ের এক বোন
চিত্র:Keibu Keioiba (Kabui Keioiba) and Thabaton (Thaba).jpeg
থাবাটন এবং তার বন্দীকারী কেইবু কেইওইবা
অন্যান্য নামথাবাটন, থাবা
মেইতেইꯊꯕꯥꯇꯣꯟ
অন্তর্ভুক্তিমেইতেই পুরাণ এবং মেইতেই লোককাহিনী
লিঙ্গনারী
অঞ্চলকাংলিপাক for মণিপুর
জাতিগত গোষ্ঠীমেইতেই মানুষ
ব্যক্তিগত তথ্য
সহোদর৭ ভাই
সঙ্গীকেইবু কেইওইবা[ক]

থাবাটন, বা যাকে ভালোবেসে থাবা নামেও ডাকা হয়,[১][২] হলো কাংলিপাকের (প্রাথমিক মণিপুর) মেইতেই পুরাণ এবং লোককাহিনীতে একজন নারী। তার সাত বড় ভাই ছিল, যারা যে কোন মূল্যে তাকে রক্ষা করতে প্রস্তুত ছিল। একদিন তার ভাইদের অনুপস্থিতিতে কেইবু কেইওইবা, বাঘের মাথাওয়ালা মানুষ তাকে অপহরণ করে ছিল। কেইবুর মাথা বাঘের মতো ছিল। কিছুকাল এই জন্তুর বন্দীদশায় থাকার পর, তাকে তার ভাইয়েরা উদ্ধার করে এবং দাসত্ব থেকে মুক্ত করে।[৩]

থাবাটন এবং কেইবু কেইওইবার গল্পটিকে মেইতেই লোক কিংবদন্তির একটি ধ্রুপদী উদাহরণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে।[৪]

কিংবদন্তি[সম্পাদনা]

সাত ছেলের পাশাপাশি থাবাটন তার বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যা হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিল। সুতরাং, সে তার সাত বড় ভাইয়ের প্রিয়তম বোন ছিল। একবার তার সাত ভাই কিছু সময়ের জন্য দূরবর্তী স্থানে গেলে তাকে বাড়িতে একা থাকতে হয়েছিল।[৫] বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়, তার ভাইয়েরা তাকে কিছু সাংকেতিক শব্দ শিখিয়ে দিয়েছিল, শুধুমাত্র সেগুলি বললেই সে তার বাড়ির দরজা খুলে দেবে। থাবাটনের পাশের বাড়িতে এক বৃদ্ধা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, বৃদ্ধ মহিলা সেই সাংকেতিক শব্দগুলি শুনে ফেলেছিল। ভাইরা চলে যাবার পর, এক দুর্ভাগ্যজনক রাতে, বাঘের মাথাওয়ালা মানুষ কেইবু কেইওইবা বৃদ্ধার ঘরে ঢুকেছিল, তার মাংস খেয়ে ফেলতে। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে, বৃদ্ধ মহিলা কেইবু কেইওইবাকে তরুণ, সুন্দর এবং একাকী থাবাটনের কথা বলে য়েছিল। তার সম্পর্কে কৌতূহলী হয়ে, কেইবু থাবাটনের বাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করেছিল। প্রথম প্রচেষ্টায়, সে ব্যর্থ হয়। পরে বৃদ্ধা তাকে শব্দগুলি বললে সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে সেগুলি আবৃত্তি করে। সঠিকভাবে বলা কথাগুলো শুনে থাবাটন ভুল বুঝে ভাবলো যে তার ভাইদের কেউ এসেছে। তাই সে ঘরের ভেতর থেকে দরজা খুলে দিল। এইভাবে কেইবু কেইওইবা থাবাটনকে অপহরণ করেছিল। তাকে ঘন বনভূমির মাঝখানে কেইবু কেইওইবার নির্জন কুঠুরিতে (গল্পের অন্য সংস্করণে গুহা) বন্দী করে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে, কিছু সময় পর (গল্পের বিভিন্ন সংস্করণ অনুসারে "মাস" বা "বছর"), তার ভাইয়েরা বাড়িতে ফিরে এসে তাকে দেখতে পায় নি। বৃদ্ধা তাদের অপহরণের কথা জানায়। তখন ভাইয়েরা থাবাটন খুঁজতে বার হয়। কিছু সময় পর, তাকে তার ভাইয়েরা খুঁজে পায়। থাবাটন একটি বাঁশের পাইপ (বাঁশের পাত্র) ব্যবহার করে স্রোত থেকে জল আনার জন্য জন্তুটিকে প্রতারণা করেছিল। বাঁশের পাইপটি আসলে উভয় দিক থেকে ফাঁপা ছিল, যা কেইবু কেইওইবা জানত না। কেইওইবা কখনই বাঁশের পাইপ সম্পূর্ণরূপে পূরণ করতে পারেনি, যার ফলে সে অবিরাম জল এনে যাচ্ছিল। অন্যদিকে, কেইবু কেইওইবার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর, থাবাটন এবং তার ভাইরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।[৬]

সাংকেতিক শব্দ[সম্পাদনা]

থাবাটনকে তার ভাইয়েরা দরজা খোলার জন্য যে সাংকেতিক শব্দগুলি শিখিয়ে দিয়েছিল এবং পরে কেইবু কেইবা তার দরজা খুলতে ব্যবহার করেছিল সেগুলি উদ্ধৃত করা হয়েছে:

"সানা ও, নারীল ও
চেঙ্গা পেল্লোনা
এবাং গি এবেমা থাবাটন
এবাং লাকলে
থং হাংলো।"[৭]

সাংকেতিক শব্দের ইংরেজি অনুবাদ নিম্নরূপ:

"ও! সোনা, ও! রুপো,
দরজার খিল লাগিয়ে রাখো,
তোমার ভাইয়েরা এসেছে,
দরজা খুলে দাও"[৭]

অপহরণের উপায়[সম্পাদনা]

কেইবু কেইবা যেভাবে মহিলা থাবাটনকে অপহরণ করেছিল তা গল্পের বিভিন্ন সংস্করণ অনুসারে পরিবর্তিত হয়।

বেশিরভাগ সংস্করণে, থাবাটনকে কেইবু কেইওইবা প্রতারিত করেছিল আশেপাশের বৃদ্ধ মহিলার কাছ থেকে শেখা সাংকেতিক শব্দগুলি আবৃত্তি করে। সঠিকভাবে বলা সাংকেতিক শব্দগুলি শুনে, থাবাটন বিশ্বাস করেছিল যে এটি তার ভাইদের মধ্যে কেউ বলতে পারে। এবং তাই, সে দরজা খুলে দিয়েছিল। এভাবে তাকে অপহরণ করা হয়।[৭]

কিছু সংস্করণে, কেইবু কেইওইবা সাংকেতিক শব্দগুলো সঠিকভাবে আবৃত্তি করেছিল কিন্তু তার কণ্ঠস্বর শুনে থাবাটন সতর্ক হয়ে গিয়েছিল কারণ এটি তার কোনো ভাইয়ের কণ্ঠের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। তখন, বৃদ্ধ মহিলা থাবাটনের কাছে একটি সূঁচ ধার দিতে বলে হস্তক্ষেপ করেছিল। থাবাটন তাকে বলে বাড়ির দেয়ালের ছোট গর্ত থেকে নিয়ে যেতে। বৃদ্ধ মহিলাটি তাকে দরজাটি একটু খুলতে রাজি করায় যাতে সে সরাসরি তার হাত থেকে সূঁচটি নিতে পারে। কারণ হিসেবে বৃদ্ধা বলেছিল বার্ধক্যের কারণে তার দৃষ্টিশক্তি যথেষ্ট নয়। তাই বাড়ির ছোট গর্ত দিয়ে সে সূঁচটি নিতে পারবে না। থাবাটন, তার জন্য করুণা অনুভব ক'রে, দরজাটা একটু খুলে দিয়েছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে, বৃদ্ধ মহিলার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কেইবু কেইওইবা বেরিয়ে এসে জোর করে দরজা খুলে অসহায় থাবাটনকে অপহরণ করে।[৮][৯]

চিত্রায়ন বিশ্লেষণ[সম্পাদনা]

থাবাটনকে "তার সতীত্ব, সৌন্দর্য, আনুগত্য এবং তার ভাইদের প্রতি বাধ্যতা"র জন্য সুপরিচিত একজন নারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাকে হতদরিদ্র ভাইদের পরিবারে বেড়ে ওঠা এক কন্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[১০]

থাবাটন একজন বিদগ্ধ মহিলা ছিল। কেইবু কেইওইবা তাকে অপহরণ করার সময় সে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করেছিল। তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা বরাবর সে নিজের জামা ছিঁড়ে ছোট ছোট টুকরো করে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল যাতে তার ভাইরা পরে তাকে খুঁজে পেতে পারে।[৮] [৯][১১] গল্পের কিছু সংস্করণে, নিজের প্রজ্ঞা ব্যবহার করে, থাবাটন কেইবু কেইওইবা এবং বিশ্বাসঘাতক বৃদ্ধাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। সে কেইবু কেইওইবার কাছে একটি বৃদ্ধ মহিলার চামড়া চেয়েছিল। কেইবু কেইওইবা তার প্রতি ভালোবাসার জন্য, বৃদ্ধা মহিলাকে হত্যা ক'রে ও চামড়া দিয়ে তার ইচ্ছা পূরণ করেছিল। পরে, থাবাটন, কেইবু কেইওইবাকে একটি ফাঁপা বাঁশের পাইপ (বা বাঁশের খুঁটি) দিয়েছিল জল আনার জন্য। কেইবু কেইওইবার ফাঁপা পাত্র সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় সে জল ভরার অবিরাম প্রচেষ্টা করে গিয়েছিল কিন্তু জল ভরা যায়নি। তার অনুপস্থিতিতে, থাবাটন এবং তার ভাইরা কেইবু কেইওইবার ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং মহিলার চামড়া এমনভাবে ঘরের ভিতরে রেখে দেয় যাতে বাইরে থেকে দেখা যায়। বাঁশের পাত্রের বাস্তবতা বুঝতে পেরে এবং একটি কাকের দ্বারা তার বাড়িতে ঘটতে থাকা পরিস্থিতি প্রকাশ হবার পরে, কেইবু কেইওইবা অবিলম্বে বাড়িতে ফিরে আসে। ঘরের ভিতর মহিলার চামড়া জ্বলতে দেখে নির্বোধ কেইবু কেইওইবা ধরে নিল থাবাটন পুড়ে যাচ্ছে। সে ঘরের মধ্যে ঝাঁপ দেয় এবং আগুনে পুড়ে মারা যায়।[খ][৮] [৯] [১১]

প্যাট্রিসিয়া মোনাগানের "দেবী ও নায়িকাদের বিশ্বকোষ"-এ, থাবাটনকে কেইবু কেইওইবার যৌনদাসী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[১১]

নীতিকথা[সম্পাদনা]

থাবাটনের গল্পটি নৈতিকতা দেয় যে "বুদ্ধিমান ব্যক্তি অপরিচিত ব্যক্তির জন্য দরজা খুলবে না।"[১২]

চলচ্চিত্রের চরিত্র[সম্পাদনা]

থাবাটন
কেইবু কেইওইবা (ব্যাঘ্র মস্তক)) চরিত্র
চিত্র:The appearance of the animated film character Thabaton in the film "Keibu Keioiba (Tiger Head)".jpeg
২০০৯ মেইতেই ভাষা অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র "কেইবু কেইওইবা (ব্যাঘ্র মস্তক)" এ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র চরিত্র থাবাটনের উপস্থিতি
স্রষ্টাভূমেঞ্জয় কনসাম
ভিত্তিথাবাটন
পরিকল্পনাকারীভূমেঞ্জয় কনসাম[১৩]
চরিত্রায়ণভূমেঞ্জয় কনসাম[১৩]
কণ্ঠ প্রদানকল্পনা[১৩]
পূর্ণ নামথাবাটন
ডাকনামথাবা
প্রজাতিমানুষ
লিঙ্গনারী
পদবিমাবুং তারেটকি থাবাটন for সাত ভাইয়ের থাবাটন
পেশা৭ ভাই বোন, গৃহস্থালি
পরিবার৭ ভাই
দাম্পত্য সঙ্গীকেইবু কেইওইবা
উল্লেখযোগ্য অন্যান্যকথাবলা কাক[১৩]
আত্মীয়সাত ভাই
ধর্মমেইতেই ধর্ম
উদ্ভবকাংলেইপাক for মণিপুর

২০০৯ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র কেইবু কেইওইবা (ব্যাঘ্র মস্তক)-এ, থাবাটনের চরিত্র তৈরি করা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মতে, থাবাটনের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এবং তার বড় ভাইয়ের বয়স প্রায় ৩০ অনুমান করা হয়েছিল। অ্যানিমেশন শিল্পীরা থাবাটন এবং তার সাতটি ভাইয়ের ভিন্ন কিন্তু সমদর্শী চেহারা এবং দেহের বৈশিষ্ট্যগুলি বিকাশ করা কঠিন বলে মনে করেছিলেন। তারা সকলেই একটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত যাদের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে ছিল।[১৩]

থাবাটনের চরিত্র নির্মাণ অন্যদের তুলনায় অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ছিল। কারণ শিল্পী ভূমেঞ্জয় মেয়েলি শিল্পকলা তৈরির কাজে দক্ষ ছিলেন না। নারীদের ছবি থেকে পর্যবেক্ষণ করে শিল্পী ভূমেনজয় পরে থাবাটনের ছবি আঁকার চেষ্টা করেন। এটি করার সময়, তিনি মহিলা চরিত্রের চুলের শৈলী, চোখ, উচ্চতা, পোশাক এবং সম্পর্কে সবকিছু মনে রাখতেন। পরে, অবশেষে থাবাটনের নিষ্পাপ চেহারা তৈরি হয়েছিল। [১৩]

জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. কিছু লোকসাহিত্যিকের মতামত ছিল যে থাবাটন শুধুমাত্র কেইবু কেইওইবার বন্দী ছিল; কেউ কেউ থাবাটনকে কেইবু কেইওইবার স্ত্রী বলে মনে করেন; প্যাট্রিসিয়া মোনাঘান মতামত দিয়েছিলেন যে থাবাটন কেইবু কেইওইবার একজন যৌনদাসী
  2. গল্পের এই সংস্করণে যেভাবে কেইবু কেইওইবা হত্যা করা হয়েছে তা গল্পের সাধারণ সংস্করণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Singh, Moirangthem Kirti (১৯৯৩)। Folk Culture of Manipur (ইংরেজি ভাষায়)। Manas Publications। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 978-81-7049-063-0 
  2. Regunathan, Sudhamahi (২০০৫)। Folk Tales of the North-East (ইংরেজি ভাষায়)। Children's Book Trust। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 978-81-7011-967-8 
  3. PhD, Patricia Monaghan (২০১৪)। Encyclopedia of Goddesses and Heroines (ইংরেজি ভাষায়)। New World Library। পৃষ্ঠা 127। আইএসবিএন 978-1-60868-218-8 
  4. Meitei, Sanjenbam Yaiphaba; Chaudhuri, Sarit K. (২০২০)। The Cultural Heritage of Manipur (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 342। আইএসবিএন 978-1-000-29629-7 
  5. Borgohain, B. K.; Choudhury, Pranab Chandra Roy (১৯৭৫)। Folk Tales of Nagaland, Manipur, Tripura & Mizoram (ইংরেজি ভাষায়)। Sterling Publishers। পৃষ্ঠা 59। There's a beautiful young girl named Thabaton . She is the only girl among eight children of their parents . All her seven brothers have left her locked inside the house and gone off to work and earn her dowry ... 
  6. Bhattacharyya, Rituparna (২০২২-০৭-২৯)। Northeast India Through the Ages: A Transdisciplinary Perspective on Prehistory, History, and Oral History (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 190। আইএসবিএন 978-1-000-62390-1 
  7. Bhattacharyya, Rituparna (২০২২-০৭-২৯)। Northeast India Through the Ages: A Transdisciplinary Perspective on Prehistory, History, and Oral History (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 190। আইএসবিএন 978-1-000-62390-1 
  8. Beck, Brenda E. F.; Claus, Peter J. (১৯৯৯)। "Thabaton (Manipur)"Folktales of India (ইংরেজি ভাষায়)। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 101–106। আইএসবিএন 978-0-226-04083-7 
  9. Adhikary, Qiron (২০০৩)। Feminist Folktales from India (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 48–52। আইএসবিএন 978-0-9714127-3-6 
  10. Beck, Brenda E. F.; Claus, Peter J. (১৯৯৯)। Folktales of India (ইংরেজি ভাষায়)। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 104। আইএসবিএন 978-0-226-04083-7 
  11. Monaghan, Patricia (২০০৯)। Encyclopedia of Goddesses and Heroines [2 volumes] (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 209। আইএসবিএন 978-0-313-34990-4 
  12. MacDonald, Margaret Read; Sturm, Brian W. (২০০১)। The Storyteller's Sourcebook: A Subject, Title, and Motif Index to Folklore Collections for Children, 1983-1999 (ইংরেজি ভাষায়)। Gale Group। পৃষ্ঠা 225। আইএসবিএন 978-0-8103-5485-2 
  13. Singh, Naorem Nishikanta। "Bhumenjoy Konsam on the Chemistry of Making Keibu-Kei-Oiba – Part II"Manipur Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৯