তিনরঙা মুনিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তিনরঙা মুনিয়া
Lonchura malacca
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণীজগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: প্যাসারিফর্মিস
পরিবার: Estrildidae
গণ: Lochura
প্রজাতি: Lonchura malacca
প্রতিশব্দ

Loxia malacca লিনিয়াস, ১৭৬৬

তিনরঙা মুনিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Lonchura malacca) বা খয়েরি মুনিয়া Estrildidae (ইস্ট্রিল্ডিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত এক প্রজাতির ছোট পাখি। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং চীনে পাওয়া যায়। একসময় এরা কালোমাথা মুনিয়া নামে পরিচিত ছিল।

বিবরণ[সম্পাদনা]

তিনরঙা মুনিয়া লম্বায় প্রায় ১২ সেন্টিমিটার এবং ওজনে মাত্র ১১ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা, ঘাড়, গলা, বুকের কেন্দ্র, অবসারণী ও লেজের তলা চকচকে কালো। বুকের বাকি অংশ সাদা। ডানা, পিঠ ও লেজ লালচে-বাদামি বা খয়েরি। ঠোঁট বেশ শক্ত, ত্রিকোণাকার ও হালকা নীলচে। পা, আঙুল ও নখ কালো। এরা একাকী বা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করতে পারে।কখনো কখনো দাগি বাবুই এবং কালোবুক বাবুই এর সঙ্গেও চরতে দেখা যায়।এদের লম্বা ঘাসবন, জলাশয়, ধান‌খেত ও ছোট ঝোপে দেখা যায়।[২] এরা ৭-৮ বছর বাচতে পারে।

খাদ্য[সম্পাদনা]

ঘাসবীচি, কাউন, ধান ইত্যাদি প্রিয় খাদ্য। ঘাসবন বা ধান-কাউনের খেতে দলে দলে খাবারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।

স্বভাব ও প্রজনন[সম্পাদনা]

এরা শান্ত প্রকৃতির হলেও ঝাঁক বেঁধে ফসলের বেশ ক্ষতি করে। পুরুষ পাখিরা গান গায়। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একরকম। শরৎকাল ও বসন্তকাল প্রজননের উপযুক্ত সময়। এ সময় জলার ধারে পাতা ও ঘাস দিয়ে বড় বলের মতো বাসা বানায়। বাসায় ঢোকার জন্য লম্বা সুড়ঙ্গের মতো পথ থাকে, ঘাসফুল দিয়ে যার চারপাশটা মুড়ে নেয়। ডিম পাড়ে চার থেকে সাতটি, ধবধবে সাদা। স্বামী-স্ত্রী মিলে ১২-১৩ দিন তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। বাচ্চারা ১৪-১৫ দিনে উড়তে শেখে। [৩] এদের ডাক পিই শব্দের মত শোনায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. BirdLife International (২০১২)। "Lonchura malacca"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বাংলাদেশের মুনিয়া পাখিরা"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Tri-colored Munia - Lonchura malacca"www.finchinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]