জিএফ ৩২ কেবিন ক্রুজার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: জিএফ ৩২ কেবিন ক্রুজার
নির্মাতা:

ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড

স্পিড বোট বিডি- গোল্ডেন ফাইবার গ্লাস
ব্যবহারকারী:  বাংলাদেশ নৌবাহিনী
নির্মিত: ২০২০-বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ২০২০-বর্তমান
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার: হার্বার প্যাট্রোল বোট
দৈর্ঘ্য: ০৯.৭৫ মিটার (৩২.০ ফু)
প্রস্থ: ৩ মিটার (৯.৮ ফু)
গভীরতা: ১.২৮ মিটার (৪.২ ফু)
প্রচালনশক্তি: ২ × সুজুকি ২০০ অশ্বশক্তি (১৫০ কিওয়াট) ২ স্ট্রোক ডিজেল ইঞ্জিন, (জাপান)
গতিবেগ: ৩৮ নট (৭০ কিমি/ঘ; ৪৪ মা/ঘ) (সর্বোচ্চ)
ধারণক্ষমতা: ২৫ জন

জিএফ ৩২ কেবিন ক্রুজার হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত হার্বার প্যাট্রোল বোটের শ্রেণী যা বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজগুলো স্পিড বোট বিডি- গোল্ডেন ফাইবার গ্লাস কোম্পানির প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড-এ নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি জাহাজ নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫][৬]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডে এসব জাহাজ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ সালে এই জাহাজগুলো বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

দেশীয় প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী জাহাজের নকশা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় আরোও একটি মাইলফলক অর্জন হয় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড কর্তৃক এসব ফাস্ট প্যাট্রোল বোট নির্মাণের ফলে। জিএফ ৩২ কেবিন ক্রুজার ফাস্ট প্যাট্রোল বোটের দৈর্ঘ্য ৯.৭৫ মিটার (৩২.০ ফু), প্রস্থ ৩ মিটার (৯.৮ ফু) এবং গভীরতা ১.৫৮ মিটার (৫.২ ফু)। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ২টি সুজুকি ২০০এইচপি ডিজেল ইঞ্জিন (২ স্ট্রোক), জাপান। যার ফলে জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ৩৮ নট (৭০ কিমি/ঘ; ৪৪ মা/ঘ) গতিতে চলছে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো ২২-২৫ জন সৈন্য বহন করতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Golden Fiber Glass"Speedboat BD (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  2. "Category Ways Product"www.dewbn.gov.bd। Archived from the original on ২০২২-০৪-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-৩১ 
  3. "Golden Fiber GF 32 Cabin Cruiser high speed boat for Bangladesh Navy"Facebook (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-০৬ 
  4. "Golden Fiber Glass GF 32 Feet 9.5 Feet Cabin Cruiser, Bangladesh Navy"Speedboat BD (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৬ 
  5. "বাংলাদেশ নৌবাহিনীর খাদ্য সহায়তা প্রদান | কাপ্তাই_লেক | chittagong | কাপ্তাই | mamun video creator"। ৪ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০২৩ 
  6. "কাপ্তাই নৌ অঞ্চলের স্থানীয় দরিদ্র পেশাজীবী এবং দূর্গম পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর বিশ্বস্ততা ও ভরসার প্রতীক বাংলাদেশ নৌবাহিনী। কাপ্তাই এলাকায় নৌবাহিনীর ঘাঁটি বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম এর উদ্যোগে কাপ্তাই উপজেলার দরিদ্র পেশাজীবী এবং দূর্গম পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়"Facebook, Bangladesh Navy। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০১-০৭