ঘরারা
ঘরারা (উর্দু: غرارہ}}, হিন্দি: ग़रारा) একটি ঐতিহ্যবাহী লখনউ পোশাক,[১] ঐতিহ্যগতভাবে এটি ভারতের হিন্দি-উর্দু ভাষাভাষী অঞ্চলের মুসলিম মহিলাদের দ্বারা পরিধান করা হয়। এটি একটি কুর্তি (একটি ছোট, মধ্য-উরু দৈর্ঘ্যের টিউনিক), একটি দোপাট্টা (ওড়না) এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণভাবে, হাঁটু অঞ্চলে আঁটোসাঁটো এক জোড়া প্রশস্ত নিম্নাঙ্গের পরিধান নিয়ে গঠিত যেটি সাধারণভাবে ঘরারা নামে পরিচিত।[২] হিন্দি-উর্দুতে গোতা নামে পরিচিত হাঁটুর জায়গাটি প্রায়শই জরি এবং জারদোসি কাজে বিস্তৃতভাবে সূচিকর্ম করা হয়। একটি ঐতিহ্যবাহী ঘরারার প্রতিটি পা ১ মিটারেরও বেশি কাপড় থেকে তৈরি করা হয়, প্রায়শই রেশমি ব্রোকেড দ্বারা গঠিত হয়। নবাবদের যুগে উত্তর প্রদেশের আওয়াধ অঞ্চলে ঘরারার উৎপত্তি হয়েছিল।[২] উনিশ শতকের শেষের দিকে এবং বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ঘরারা হিন্দি-উর্দু ভাষাভাষী মুসলিম মহিলাদের দৈনন্দিন পোশাকের অংশ ছিল। ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে ফাতিমা জিন্নাহ এবং বেগম রানা লিয়াকত আলী খানের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের দ্বারা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও ঘরারা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও এগুলি এখন আর দৈনন্দিন পোশাক হিসাবে পরিধান করা হয় না, তবে তারা হিন্দি-উর্দু বেল্টের মুসলিম মহিলাদের মধ্যে এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উর্দুভাষী অভিবাসীদের মধ্যে বিয়ের পোশাক হিসাবে জনপ্রিয়। বর্তমানে ঘরারা হিন্দি-উর্দু ভাষাভাষী অঞ্চল ছাড়াও একটি সাধারণ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় পোশাক হিসেবে পরিচিত যা সারা বিশ্বে পছন্দ করা হয়।
ছবি[সম্পাদনা]
-
লখনউয়ের এক মহিলা ঘরারা পোশাকে
-
লখনউ মহিলা ঘরারা পোশাকে
-
ঘরারা পোশাকে এক মহিলা
-
ঘরারা পোশাকে এক মহিলা
-
ঘরারা পোশাকে এক মহিলা
-
ঘরারা পোশাকে একটি মেয়ে
-
লখনউয়ের বিয়েতে
-
ঘরারা পোশাকে এক মহিলা
-
ঘরারা পোশাকে এক মহিলা সঙ্গীতশিল্পী
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Naveen Patnaik (১৯৮৫)। A second paradise: Indian courtly life, 1590-1947। Doubleday। আইএসবিএন 9780385199926। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০।
Gharara lucknow.
- ↑ ক খ Yojana: Volume 6, Issue 20। Publications Division, Ministry of Information and Broadcasting। ১৯৬২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১০।
The Begums of Lucknow use a modification of ghagra, called gharara or bara paincha, which sometimes require 36 yards of cloth.