গায়ত্রী (২০১৮-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গায়ত্রী
পোস্টার
পরিচালকমদন
প্রযোজকমোহন বাবু
রচয়িতাডায়মন্ড রত্না বাবু
শ্রেষ্ঠাংশেমোহন বাবু
বিষ্ণু মাঞ্চু
শ্রিয়া সারান
নিখিলা বিমল
অনসুয়া ভরদ্বাজ
সুরকারএস. থামান
চিত্রগ্রাহকসর্বেশ মুরারি
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তি৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
স্থিতিকাল১২৫ মিনিট
দেশভারত
ভাষাতেলুগু

গায়ত্রী ২০১৮ সালে তেলুগু ভাষায় নির্মিত মদন রচিত এবং পরিচালিত এবং ডায়মন্ড রত্না বাবু রচিত একটি অ্যাকশন কাহিনী চলচ্চিত্রমোহন বাবু প্রযোজিত ছবিটিতে নিজে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে প্রধান চরিত্রে আছেন শ্রিয়া সারান, নিখিলা বিমল এবং অনসুয়া ভরদ্বাজ। মোহনবাবুর ছেলে বিষ্ণু মাঞ্চু তাঁর একটি চরিত্রের অল্প বয়সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিতে ব্রাহ্মনন্দম, আলী, কোটা শ্রীনিবাস রাও, তানিকেল্লা ভরাণী, এবং পোসানী কৃষ্ণ মুরালি পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকায় রয়েছেন।[১][২][৩][৪] ছবিটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত আয়নাবাজির পুনঃনির্মাণ। [৫][৬] সংগীত পরিচালনা করেছেন এস. থামান এবং সিনেমাটোগ্রাফি সর্বেশ মুরারি র। ছবিটি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছে।

এই ছবিটতে ৩০ মে ২০১৭ সালে মারা যাওয়া পরিচালক দাশারি নারায়ণ রাও এর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়েছে।

পটভূমি[সম্পাদনা]

দাসারি শিবাজি পেশায় মঞ্চ শিল্পী। দরিদ্র বাচ্চাদের সহায়তার জন্য তাঁর প্রয়াত স্ত্রী সারদার নামে সারদা সদন পরিচালনা করেন। একদিন তিনি গায়ত্রী নামের একটি মেয়েকে গুন্ডাদের হাত থেকে উদ্ধার করেন। পরে শিবাজি গায়ত্রীর ফোনের স্ক্রিনে সারদার ছবি দেখে জানতে পারেন যে গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ-হারিয়ে যাওয়া মেয়ে। গায়ত্রীর স্নাতক হওয়ার কলেজে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন: তার বাবা কেমন দেখতে তা না জানলেও তিনি এক জন হৃদয়হীন ব্যক্তি; কেন না মাত্র হাজার টাকায় অ্যালকোহল বোতল কেনার জন্য তাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিরক্ত শিবাজি পরে মন্দিরে চলে যান। শিবাজির বন্ধু প্রসাদ পরে গায়ত্রীকে বলেন যে শিবাজিই তার বাবা। তাকে শিবাজির ডায়েরিও দেন। গায়ত্রী শিবাজির অতীত সম্পর্কে জানতে পারে।

অনাথ তরুণ শিবাজির ছিল অভিনয়ে প্রতি অগাধ টান। সারদার প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করেন। একদিন একই বর্ণের বিধায়কের নেতৃত্বে কিছু গুন্ডাদের সাথে তাঁকে লড়াই করতে হয়। তখন সারদা জানান তাঁকে রাউডি নয় নায়ক হিসাবে দেখতে চান। কিন্তু সারদা মারা যান। চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে পারেন সারদা স্টেজ থ্রি পেলভিক ক্যান্সারে ভুগছেন এবং চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে। তখন তাঁর বন্ধু গিরি জানায় এক ব্যক্তির জামিন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে এবং শিবাজি যদি দু'দিনের জন্য কারাগারে যান তবে বিনিময়ে অর্থ পাওয়া যাবে। পরে মাতাল গিরি স্বীকার করে যে তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী সারদা ও তার সদ্যোজাত মেয়ে মারা গিয়েছে। মন খারাপ শিবাজি ট্রেনের ধাক্কায় আত্মহত্যা করতে গেলে গিরিই তাঁকে বাঁচায় কিন্তু গিরি মারা যায়। গিরি মারা যাওয়ার আগে প্রকাশ করে যে বাচ্চাটি বেঁচে রয়েছে এবং সে মদের জন্য শিশুটিকে বিক্রি করার কথা ভেবেছিল। তবে গায়ত্রী নামের শিশুটি রামানুজম অনাথ আশ্রমে বড় হচ্ছে। জন্মদিনে গায়ত্রী তার মা সারদার একটি ছবি উপহার পায়। প্রসবের সাথে সাথেই তার মা মারা গিয়েছিলেন।

ছবিটি এরপর বর্তমানে ফিরে যায়। অনেক করেও গায়ত্রী এবং প্রসাদ শিবাজির দেখা পায় না। এক দল গুন্ডা শিবাজিকে অপহরণ করে। তারা অপরাধী গায়ত্রী প্যাটেলের মতো দেখতে ব'লে শিবাজিকেই গায়ত্রী প্যাটেল বলে এগিয়ে দেয়। ঘটনার ঘনঘটায় এমনই পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে স্বয়ং গায়ত্রী প্যাটেলই এখন শিবাজিকে হত্যা করতে চায়।

গায়ত্রী প্যাটেল (শিবাজি হিসাবে) তখন গায়ত্রীর বাড়িতে আসে। শিবাজি (যেন গায়ত্রী প্যাটেল) কারাগারে ছিলেন। সংবাদদাতা শ্রেষ্টা জয়রাম গায়ত্রী প্যাটেলকে (শিবাজি হিসাবে) সাক্ষাৎকারের সময় গোপনে বলেছিল যে শ্রেষ্টার "বাবা" গায়ত্রী প্যাটেল - শিবাজি নন। এদিকে শিবাজি (হিসাবে গায়ত্রী প্যাটেল) মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। কারাগারে শিবাজি (গায়ত্রী প্যাটেল হিসাবে) শ্রেষ্টাকে বলেছিলেন যে তাঁর শেষ ইচ্ছা শিবাজির অভিনয় দেখার। অনেক লোকই চায় গায়ত্রী প্যাটেলের ইচ্ছা পূরণ করুন শিবাজি। তবে গায়ত্রী প্যাটেল নিজে শিবাজিকে প্রতিস্থাপন করতে চান ব'লে তাঁর আইনজীবীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর ফ্লাইট বুক করতে বলেন। গায়ত্রী প্যাটেল এবং গায়ত্রী গাড়িতে থাকাকালীন নিউজ রিপোর্টে বলা হয় যে গায়ত্রী প্যাটেলের আর্জি অগ্রাহ্য করেছেন শিবাজি। গায়ত্রী তখন শিবাজিরূপী গায়ত্রী প্যাটেলকে এই ইচ্ছাটি পূরণ করার জন্য অনুরোধ করে। গায়ত্রী প্যাটেল তখন সম্মত হয়।

গায়ত্রী এবং গায়ত্রী প্যাটেল তখন জেলখানায় যায় যেখানে শিবাজি আছেন। গায়ত্রী তাঁর সাথে আবার মিলিত হয়। শিবাজি এবং গায়ত্রী চলে যাওয়ার সময় গায়ত্রী প্যাটেল শিবাজিকে আক্রমণ করে এবং দু'জনের মধ্যে লড়াই বাঁধে। পুলিশ দুজনের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয় না। অচিরেই গায়ত্রী প্যাটেলকে গুলি করতে সক্ষম হয় গায়ত্রী। সিনেমাটি শিবাজি এবং গায়ত্রীর কারাগার ছাড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Kavirayani, Suresh (৩০ জানুয়ারি ২০১৮)। "When a film fails, even the wife neglects you: Mohan Babu"Deccan Chronicle। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মার্চ ২০১৯ 
  2. "Vishnu Manchu reveals the career risk he took for Mohan Babu's Gayatri"। ২০১৮-০২-০৬। 
  3. "Gayatri (Gayathri) movie review and rating by audience: Live updates"। ২০১৮-০২-০৯। 
  4. "Gayatri trailer out: Mohan Babu looks intimidating in this gangster drama" 
  5. "Aynabaji is getting a Telegu remake"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ আগস্ট ২০১৭। 
  6. "'Aynabaji' to be remade in India"NTV Online। ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৮