গঙ্গারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গঙ্গারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গঙ্গারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়
গঙ্গারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়
অবস্থান

তথ্য
ধরনবেসরকারি বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯০০
কর্মকর্তা৩০(প্রায়)
শ্রেণী৬ থেকে ১০
শিক্ষার্থী সংখ্যা১,০৫০(প্রায়)
ক্যাম্পাসের ধরনগ্রাম এলাকায়
শিক্ষা বোর্ডযশোর
ওয়েবসাইটgangarampurpksecondaryschool.jessoreboard.gov.bd

গঙ্গারামপুর প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নড়াইল-মাগুরা সড়ক এবং নবগঙ্গা নদীর মাঝে গঙ্গারামপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিদ্যালয়টির অধীনে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। বিদ্যালয়টি একটি শাখায় পরিচালিত হয়।

ইতিহাস[১][সম্পাদনা]

উনিশ শতকের প্রথম থেকে শালিখা উপজেলার সবচেয়ে পুরান এ বিদ্যাপীঠ এলাকার মানুষদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে।

এ অঞ্চলের মানুষ লেখাপড়ার জন্য তখন যশোর, খুলনা, ঢাকা বা কলকাতা যেতো। লেখাপড়ার এই ক্রান্তিলগ্নে এগিয়ে আসেন প্রসন্ন কুমার সেন নামে একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি উপলব্ধি করেন, যেভাবেই হোক এই অজপাড়াগাঁয় শিক্ষার আলো ছড়াতে হবে।

পরবর্তিতে তার মৃত্যুর পর ১৯০০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথমদিকে তার নাম অনুসারে প্রসন্ন কুমার সেন নামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংক্ষেপে গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত। এই প্রতিষ্ঠান দ্রুতভাবেই ১৯০৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী স্বীকৃতি পায়।

এই বিদ্যালয়ে সর্বপ্রথম একটি খড়ের ঘর ছিল। পার্শ্ববর্তী পানিঘাটা গ্রামের মৃত মধু হাজী এই ঘর দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। উপজেলায় শিক্ষার আলো প্রথম ছড়িয়ে দেওয়ায় এলাকার মানুষের মণিকোঠায় ঠাঁই পেয়েছেন প্রয়াত প্রসন্ন কুমার সেন। তখন গঙ্গারামপুর তথা শালিখা উপজেলার কোনো লোকই এলাকায় লেখাপড়া করার সুযোগ পেতো না। এই গুণীজনের কারণেই প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার দূর থেকেও পায়ে হেঁটে লেখাপড়া করতে আসতো শিক্ষার্থীরা। অন্য উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই স্কুল সবচেয়ে পুরান ও প্রসিদ্ধ।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে শালিখার গঙ্গারামপুর পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়"