খলিশাখালী বধ্যভূমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

খলিশাখালী বধ্যভূমি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামে অবস্থিত।

২০১৭ সালে খলিশাখালী গ্রামে বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যায়। একাত্তরে পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের নানা কাহিনীর কথা প্রকাশ হয়। এখানে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের অনেকের নাম পরিচয় জানা গেছ, অনেকর নাম জানা যায় নি। তখন থেকে প্রতিবছর এখানে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

১৯৭১ সালের বাংলা ৫ আষাঢ় রোববার সকাল ১১টার দিকে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরা মিলে এই এলাকায় হামলা চালায়। বলেশ্বর নদী দিয়ে গানবোট যোগে বাবুগঞ্জ বাজারে এসে তারা খলিশাখালী গ্রামে প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় তারা এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায় এবং বাড়ি ঘরে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ঘটায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় চিতলমারীর দশমহল এলাকাকে নিরাপদ আশ্রয় মনে করে পিরোজপুর, নাজিরপুর, উজিরপুর ও কচুয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।  পাকবাহিনীর গুলির শব্দে তারা এবং গ্রামবাসী খলিশাখালী ও পূর্বখড়মখালী গ্রামের একটি মাঠের হোগলা ও নলবনে লুকিয়ে থাকার জন্য আশ্রয় নেয়। এ সময় পাকবাহিনী তাদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে খড়মখালী গ্রামের বিমল কান্তি হীরা, ভদ্র কান্ত হীরা, রাজদেব হীরা, যোগেন্দ্র নাথ মজুমদার, মহেন্দ্র নাথ ম-ল, আদিত্য মজুমদার, নীল কমল মন্ডল, জিতেন মজুমদার, খগেন মন্ডল (খোকা), অমীয় চৌকিদারের ভাইসহ সেদিন এখানে অর্ধশতাধিক লোক নিহত হয়।

২০১৭ সালে খলিশাখালী গ্রামে বধ্যভূমির সন্ধান নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক পংকজ মন্ডল, গোবিন্দ মজুমদার, সেলিম সুলতান সাগর একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেই হতে প্রতিবছর ২৬ শে মার্চ এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। [১]

[২][২][২][৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "চিতলমারীতে অরক্ষিত খলিশাখালী বধ্যভূমি"print.thesangbad.net (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৬ 
  2. "চিতলমারীতে বধ্যভূমির সন্ধান"দৈনিক জনকণ্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৬ 
  3. "চিতলমারীর অরক্ষিত বধ্যভূমি"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৬