কিতাব আল-ইরশাদ
লেখক | শাইখ আল-মুফিদ |
---|---|
দেশ | ইরান |
ভাষা | ফার্সি |
ধরন | আত্মজীবনী |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৬৫৬ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৯৬৪৪৩৮৬২৩৭ |
আল-ইরশাদ (ফার্সি: ارشاد), যাকে ১২ ইমামের জীবনীর নির্দেশনা বই বলা হয়।[১] এখানে ১২ শিয়া ইমামের জীবনী তুলে ধরে, তাদের ঐতিহাসিক পরিস্থিতি, অলৌকিক ঘটনা ও গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে।[২] বইটিতে শিয়াদের মধ্যে ইমামতির পক্ষে প্রমাণও রয়েছে।
লেখক[সম্পাদনা]
শায়খ মুফিদ ছিলেন ইসনা আশারিয়ার বিশিষ্ট শিয়া ধর্মতত্ত্ববিদ।[৩] তিনি মুয়াল্লিমের পুত্র এবং তাকে ইবনে মুয়ালিম বলা হত। মুফিদকে আল-শায়খ আল সাদুক, ইবনে কুলাওয়াহ, আবু আবদুল্লাহ আল-বাসরী ও আল-রুম্মানী শিক্ষাদান করেছেন। তিনি তার শিক্ষাগুলো শরীফ আল-মুর্তজা এবং আল-শায়খ আল-তুসি সহ তার নিজের ছাত্রদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার ২০০ টি কাজের মধ্যে মাত্র ১০ টি কাজ বেঁচে আছে, যার মধ্যে রয়েছে আমালি, আল-ইরশাদ, আল-মুকনিয়াহ এবং তাশিহ আল-ইতিকাদাত।[৩]
বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]
তিনি প্রত্যেক ইমামের পরিস্থিতি ও জীবন এবং তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন। তিনি সর্বশেষে মুহাম্মদ আল-মাহদির অন্তর্ধানের কথা উল্লেখ করেন।[৪] এই কাজটি ধর্মতত্ত্ব বা দর্শনের পরিবর্তে ইতিহাস ও হাদিস সম্পর্কে মুফিদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।[৫]
এই বইটি শুরু হয় আল্লাহ, নবী মুহাম্মদ এবং শিয়ার বারো ইমামের প্রশংসা করে। বইটির প্রায় অর্ধেক ইমাম আলী, তার বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলীর প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
অনুবাদ[সম্পাদনা]
এই বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন আই. কে.এ. হাওয়ার্ড।[৬]
বইটি আরবি, ফার্সি, উর্দু, হিন্দি, আজারি এবং জার্মান এর মতো আরও অনেক ভাষায় উপলভ্য।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ David Waines (২০০৩)। An Introduction to Islam Introduction to Religion। পৃষ্ঠা 330।
- ↑ Matti Moosa (১৯৮৭)। Extremist Shiites: The Ghulat Sects Contemporary issues in the Middle East। পৃষ্ঠা 68।
- ↑ ক খ "Al-Amali, The Dictations of Shaykh al-Mufid"। Al-Islam.org।
- ↑ Oliver Leaman (২০০৬)। The Qur'an: An Encyclopedia। পৃষ্ঠা 586।
- ↑ Jafari (২০০৪)। Introduction to Kitab al-Irshad। পৃষ্ঠা 4।
- ↑ Jafari 2004