কাতার-মেক্সিকো সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাতার-মেক্সিকো সম্পর্ক
মানচিত্র Mexico এবং Qatar অবস্থান নির্দেশ করছে

মেক্সিকো

কাতার

কাতার-মেক্সিকো সম্পর্ক, কাতার এবং মেক্সিকো এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৭০ এর দশকে এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে কাতারের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] অপরদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় মেক্সিকোর একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে, মেক্সিকো সিটিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি এবং মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি, এনরিকে পেনা নিয়েতো এর মধ্যে বৈঠক

১৯৭৫ সালের ৩০ জুন, কাতার এবং মেক্সিকোর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর আগে ১৯৭১ সালে কাতার যুক্তরাজ্য এর নিকট হতে স্বাধীনতা লাভ করে।[৩] কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে, দুই দেশের সম্পর্ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন; জাতিসংঘ এর মাধ্যমে কার্যকরী ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দৃঢ়করণে আগ্রহী হয়েছে। দেশদুটি নিজেদের মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। ২০১৪ সালে, মেক্সিকো সিটিতে, কাতার তাদের দূতাবাস চালু করে। খুব দ্রুতই মেক্সিকোও, দোহায় তাদের দূতাবাস চালু করে। ২০১৫ সালে, মেক্সিকো, তাদের এই দূতাবাস চালু করে।[৪]

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, এক রাষ্ট্রীয় সফরে মেক্সিকো যান। [৫] কাতারি আমিরের এই সফরের সময়, দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়। সেগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচলের সুবিধা চালু, সংস্কৃতি এবং শিল্পের পারস্পরিক বিনিময়, শক্তি খাতে সমন্বয় বৃদ্ধি প্রভৃতি।[৬]

২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে, মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি এনরিকে পেনা নিয়েতো, এক রাষ্ট্রীয় সফরে কাতারে যান।[৭]

তার এ সফরের সময় দুই দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি সাক্ষর করে। চুক্তিগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল; শিক্ষা, বিজ্ঞান, সম্প্রদায়ের উন্নয়ন শিল্প ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সমন্বয়, মেক্সিকো এবং কাতারের সংবাদ সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয় প্রভৃতি। এছাড়াও কাতারে অনুষ্ঠেয় ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে, ক্রীড়া এবং বিপণন উভয় ক্ষেত্রেই মেক্সিকোর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করার বিষয়েও চুক্তি সাক্ষরিত হয়।[৮]

বাণিজ্য[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে, দুই দেশের মধ্যকার সর্বমোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫৮.৫ মিলিয়ন (১৫.৮৫ কোটি) মার্কিন ডলার[৯] কাতারে মেক্সিকোর প্রধান রপ্তানি পণ্য গুলো হল; ট্রাক, যানবাহন এবং রেফ্রিজারেটর।[১০] অপরদিকে মেক্সিকোতে কাতারের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্য।[১০] বৈশ্বিকভাবে, বিভিন্ন দেশের মধ্যে কাতার, মেক্সিকোর ৬১ তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। অপরদিকে একইভাবে, মেক্সিকো, কাতারের ২৮ তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Qatari Ministry of Foreign Affairs: Mexico
  2. "Embassy of Mexico in Doha"। ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. 40 años de relaciones diplomáticas entre México y Qatar (in Spanish)
  4. "Mexican embassy opens in Doha"। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. Refuerza México su relación con Qatar (in Spanish)
  6. Agreements between Mexico and Qatar will strengthen and invigorate bilateral relations: Enrique Peña Nieto
  7. "Enrique Peña Nieto llega a Qatar (in Spanish)"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৭ 
  8. Acuerdos entre México y Qatar potenciarán y dinamizarán la relación bilateral: Enrique Peña Nieto (in Spanish)
  9. Mexican Ministry of the Economy: Qatar (in Spanish)
  10. Relación México – Qatar (in Spanish)