উইকিপিডিয়া আলোচনা:বাংলা ভাষায় অসমীয়া শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
আলোচনা যোগ করুন
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাম্প্রতিক মন্তব্য: Zaheen কর্তৃক ১৪ বছর পূর্বে "অসম । আসাম নয় ।" অনুচ্ছেদে

দুটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী – আসাম রাজ্যের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে অসম এবং গৌহাটি নামটিও এখন বাংলায় পরিত্যক্ত হয়েছে। অনেক কাল হল শুধুমাত্র গণমাধ্যম নয়, বাংলা আকাদেমি ও ভারত সরকারের সরকারি বাংলা প্রকাশনায় এখন সংশোধিত বানানই লেখা হচ্ছে। এই কারণে এই দুটি নাম সংশোধন করা হচ্ছে। --অর্ণব দত্ত ০৭:০৯, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আনন্দবাজারের প্রকাশনাতে অসম লেখা হয় জানি, কিন্তু এটা কি বাংলা আকাদেমি ও ভারত সরকারের প্রকাশনাতেও ব্যবহৃত হয়? দয়া করে উৎস দিন। কেন না, উইকিতে বছরখানেক আগে অসম/আসাম নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল, এবং সিদ্ধান্ত হয়েছিন আসাম, গৌহাটি --- এই বানানগুলি বহাল রাখার। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৪:২৮, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন
বিতর্কটা হয়েছিল আলাপ:তরুণ গোগোই পাতায়। ওটা পুরোটা পড়ে এখানে আপনার মন্তব্য দিন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৪:৩২, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

দ্বিতীয়ত অসমের রাজধানী গুয়াহাটি নয়, দিসপুর। --অর্ণব দত্ত ০৭:১১, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

হ্যাঁ, যদিও দিসপুর গুয়াহাটি/গৌহাটির ভেতরেই অবস্থিত। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৪:২৮, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

অসম । আসাম নয় ।[সম্পাদনা]

ধন্যবাদ জাহীনভাই। ওই বিতর্কটির কথা আমার জানা ছিল না। তবে ওই বিতর্কে আপনি যেভাবে যুক্তি উত্থাপন করেছিলেন, তার প্রশংসা না করে পারছি না। আসামের বদলে অসম লেখার দুটি যুক্তি হতে পারে: ১। অসম সরকার ও অসমীয়া ভাষায় বানানটি অসম লেখা হয়। (সে সৎ উদ্দেশ্যেই হোক বা জাতীয়তাবাদী অভিসন্ধি নিয়েই হোক) ২। ভারতীয় সংবিধানে অসম কথাটি লেখা হয়েছে। (তথ্যসূত্র: আমাদের সংবিধান, সুভাষ সি কাশ্যপ, অনুবাদ পার্থ সরকার, ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, পৃষ্ঠা ৫৭ :: দ্রষ্টব্য ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ভারত সরকারের সরকারি গ্রন্থপ্রকাশন সংস্থা। ভারতের প্রতিটি সরকারি ভাষায় তাঁরা বই প্রকাশ করেন। যে বইটির নাম করলাম, সেখানে সংবিধান থেকে উদ্ধৃত করেই অসম বানানটি লেখা আছে।) (এছাড়াও আপনি সংবিধানের হিন্দি পাঠটির সূত্র যেমন উদ্ধৃত করেছেন। আমার কাছে সংবিধানের কোনো বাংলা সংস্করণ নেই। তাই সরাসরি সংবিধান থেকে তুলে দিতে পারলাম না।)

বাংলা আকাদেমির অভিধানে অঞ্চলের নামভুক্তি থাকে না। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তকগুলিতে অসম বানানটি লেখা হয়। (উল্লেখ্য, বাংলা আকাদেমির বানানরীতি অনুসরণ পাঠ্যপুস্তকের অনুমোদন লাভের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক)। তবে বাংলা আকাদেমির বিধিটিকে আমি প্রথমোক্ত দুটি কারণের পরেই রাখব।

এছাড়াও আপনি একাধিক বই ও সংবাদপত্রের সূত্র দিয়েছেন। আমার মনে হয় সেগুলি গ্রহণযোগ্য। দু-একটি ব্যতিক্রম বাদে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ প্রকাশনা ও সংবাদপত্রে অসম বানানটি প্রচলিত। শোভনের কথা অনুসারে যদি ১৯৮৬ থেকে প্রচলিত হয়, তবে বলতে হবে আমার জ্ঞান হওয়ার আগে থেকেই প্রচলিত। ব্যবহার করছেন কারা? আনন্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান ও সংবাদ প্রতিদিন। পশ্চিমবঙ্গের তিন বৃহত্তম সংবাদপত্র গোষ্ঠী। ফলে শুধু এই সংবাদপত্রগুলিতেই নয়, এদের একাধিক ম্যাগাজিনেও বানানটি চালু হয়ে গেছে। সুতরাং একে অপ্রচলিত বানান বলা তো যাবেই না, বরং অসম বানানটিকে বহুপ্রচলিত বলে আসাম বানানটিকে অধুনা অপ্রচলিত বলতে হবে। আমাদের ভার্গব একটি জিনিস ঠিক লক্ষ্য করেছে - ভারতের বাঙালিরা আসাম উচ্চারণ করে। কিন্তু লেখার সময় খুব সচেতন ভাবে অসম লেখে (অবশ্য উচ্চারণ নিয়ে কিছু যায় আসে না, আমরা তো মেদিনীপুরকে মেদনীপুর উচ্চারণ করি)।

উক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি আসাম বানানটির বিরোধিতা করছি এবং অসম বানানটি রাখার প্রস্তাব করছি। খুব ভাল হত, পশ্চিমবঙ্গ বা ত্রিপুরার মতো বরাকবাসী বাঙালিরাও যদি কোনো ভাষা নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধান সরকারিভাবে অনুসরণ করতেন। দুঃখের বিষয়, তাঁরা তা করেন না। তাই আমাদের জনপ্রিয় গণমাধ্যমের বহুল প্রচলিত বানান বা সংবিধানের বানানকেই মান্য করতে হবে (এক্ষেত্রে দুটিই এক)। --অর্ণব দত্ত ১৭:৩৮, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

পুনশ্চ - পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক বলতে বাংলা আকাদেমির বানান সংস্কারের পরবর্তী সময়ের পাঠ্যপুস্তকের কথা বলা হয়েছে। --অর্ণব দত্ত ১৭:৪২, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

আমি আপনার সাথে একমত। আমার প্রস্তাব হল, ভারতের সরকারী প্রকাশনাসংস্থার বইতেও যদি অসম, গুয়াহাটি, ইত্যাদি বানান বর্তমানে ব্যবহৃত হয়, তাহলে ঐ বানানগুলিই বাংলা উইকিপিডিয়াতে প্রাধান্য পাবে এবং ঐগুলিই শিরোনামে ব্যবহার করা হবে। তবে অতীতে বহুল প্রচলিত এবং বর্তমানে স্বল্প-প্রচলিত বানানগুলিকেও (আসাম, গৌহাটি, ইত্যাদি) নিবন্ধের ভেতরে উল্লেখ করে দিতে হবে, যাতে ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ না থাকে। দরকার হলে পাদটীকাতে এই প্রতিবর্ণীকরণ পাতার প্রতি নির্দেশনা করে দিতে হবে, যাতে আগ্রহী পাঠক যুক্তিটা বুঝে নিতে পারেন।
অর্ণব, আপনি দয়া করে অসম, গুয়াহাটি, এই বানানগুলি লেখার যুক্তিগুলি একটু গুছিয়ে সংক্ষেপে প্রতিবর্ণীকরণ পাতাতে লিখে দিন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৮:০৬, ২১ আগস্ট ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন