যে অংশটুকু অনুবাদ করবেন, সেটি ভালো করে পড়ে অর্থ বুঝে নিন।
একটি একটি করে বাক্য অনুবাদ করুন।
বাক্যের অর্থবিকৃতি যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
অনুবাদের ক্ষেত্রে গুগল অনুবাদ কিংবা বিং মাইক্রোসফট ট্রান্সলেটর ব্যবহার করতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ বাক্য “ট্রান্সলেট” না করে অনুচ্ছেদের ভাব অনুযায়ী শব্দের অর্থ বের করুন এবং বাক্য গঠন করে অনুবাদ সম্পূর্ণ করুন। সরাসরি “ট্রান্সলেটের” ক্ষেত্রে যান্ত্রিকতা অপসারণ করুন এবং সঠিক অর্থ ও ভাব প্রদানের জন্য শব্দগুলোর পুনর্বিন্যাস করুন।
অনূদিত অনুচ্ছেদটির “প্রাকদর্শন দেখুন”, পুনরায় পড়ুন এবং ভুল-ভ্রান্তি, বাক্যের অর্থবিকৃতি সংশোধন করুন।
একটি একটি করে অনুচ্ছেদ অনুবাদ সম্পন্ন করে সম্পূর্ণ নিবন্ধের কাজ শেষ করুন। পুরো নিবন্ধটি পুনরায় পড়ুন, অর্থের ভ্রান্তি দূর করুন। সবশেষে, নিবন্ধটি জমা দিন।
নিবন্ধ সম্প্রসারণের জন্য অনুসন্ধান একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এজন্য গুগল কিংবা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে, তথ্যের অনুসন্ধান করতে পারেন।
বাংলাদেশ ও ভারত বিষয়ে বাংলা ভাষাতেই অনেক তথ্য পাবেন। বৈশ্বিক তথ্যাদির জন্য ইংরেজি ভাষায় অনুসন্ধান করতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান ও নিবন্ধে যোগের ক্ষেত্রে তথ্যের উপযোগিতা এবং উৎসের নির্ভরযোগ্যতা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্লগসাইট, ফেসবুক পোস্ট, ইউটিউব কন্টেন্ট এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকা সাধারণত নির্ভরযোগ্য বিবেচিত হয় না।
উৎস থেকে হুবহু প্রতিলিপি করবেন না। নিজের সৃজনশীলতার পরিচয় দিন, বাক্যের মর্মার্থ ঠিক রেখে সংক্ষেপে লিখুন, শব্দ পুনর্বিন্যাস করুন।
উৎসের অর্থ-আরোপ করবেন না। উৎসে যা বলেছে, তা-ই নিবন্ধে লিখুন। নিজের মতামত, দর্শন ও চিন্তা-ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখুন।
শব্দ পুনর্বিন্যাস ও সমার্থক শব্দ নির্বাচনে সতর্ক হোন; উৎস ও নিবন্ধে বাক্যের অর্থ যেন পরিবর্তিত না হয়।
নিরপেক্ষ হোন। আপনার চিন্তা-ভাবনার বিপক্ষে গেলেও কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসের উল্লেখযোগ্য তথ্য পরিহার করবেন না।