ইন্দোনেশিয়া-পোল্যান্ড সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-পোল্যান্ড সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Poland অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

পোল্যান্ড

ইন্দোনেশিয়া-পোল্যান্ড সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং পোল্যান্ড এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায়, পোল্যান্ডের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। দুই দেশের পতাকার লাল এবং সাদা রঙের মিল ছাড়াও, দেশদুটির মাঝে আরও অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে। সেগুলোর মাঝে রয়েছে, অভ্যুত্থান, স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন, এবং জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা।[১] উভয় দেশই বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা খাতে সমন্বয় ও সাহায্য বৃদ্ধি করে, নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিস্তৃতির ব্যাপারে একমত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত পদ্ধতির, মধ্যে রয়েছে শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন, দুই দেশের মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময় এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান। [১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইন্দোনেশিয়া এবং পোল্যান্ডের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক ডাচ সাম্রাজ্য এর উপনিবেশ ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ সময় থেকে বিদ্যমান। ১৯ শতকের সময় থেকে পোল্যান্ডের মানুষ ইস্ট ইন্দিজে যাওয়া শুরু করে।পোল্যান্ডের নাম থেকে, ইন্দোনেশিয়ার মেদান এর পোলোনিয়ার নামকরন করা হয়।১৮৭২ সালে, ব্যারন মিখালস্কি নামে এক পোল্যান্ডের প্রবাসী ব্যক্তির জমিতে এই বিমানবন্দরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি তার মালিকানাধীন সেই জমির নাম রেখেছিলেন পোলোনিয়ালাতিন ভাষায় পোল্যান্ডের নাম হল পোলোনিয়া।[২]

১৯৫৫ সালে, দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৩]

উচ্চপর্যায়ের সফর[সম্পাদনা]

১৯৫৯ সালে, ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি, সুকর্ণ রাষ্ট্রীয় সফরে পোল্যান্ড যান। এর ৪৪ বছর পর, ২০০৩ সালে তার কন্যা এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে পোল্যান্ড যান।

১৯৬১ সালে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি, অ্যালেকজান্ডার জাওয়াদজকি, পোল্যান্ডের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। পরবর্তীতে, ২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি লেক ওয়ালেসা ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফর করেন।

এছাড়াও ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে পোল্যান্ডের পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধিদল, ইন্দোনেশিয়া সফরে যান এবং সেখানে তারা ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট পরিদর্শন করেন ও ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন।[৩]

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়ায়, পোল্যান্ডের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১২১ মিলিয়ন (১২.১ কোটি) মার্কিন ডলারের। অপরদিকে, পোল্যান্ডে, ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭২০ মিলিয়ন (৭২ কোটি) মার্কিন ডলারের। অর্থাৎ এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভারসাম্য ব্যাপকভাবে ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে ছিল।[৪] ইন্দোনেশিয়ায়, পোল্যান্ডের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, যন্ত্রপাতি, সামরিক উপকরণ এবং অস্ত্র এবং রাসায়নিক দ্রব্য। অপরদিকে, পোল্যান্ডে, ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল কয়লা, টেক্সটাইল, কাঠের আসবাবপত্র, অপরিশোধিত পাম তেল এবং কৃষিজ পণ্য। সাধারণত ইন্দোনেশীয় আসবাবপত্রগুলোকে পোল্যান্ডে সম্পূর্ণরূপে তৈরি করে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পুনঃরপ্তানি করা হয়। [১][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দুউয়ি আতমান্তা (নভেম্বর ১৪, ২০০৮)। "Poland-Indonesia relations: Not just about red and white"। দ্যা জাকার্তা পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 
  2. "Sejarah Singkat Bandar Udara Polonia" (পিডিএফ) (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। repository.usu.ac.id। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Polandia Adalah Salah Satu Sahabat Terpenting Indonesia di Eropa" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ডিপিআর-আরআই। ৭ জানু ২০১৩। ২৮ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 
  4. ফিতরি সুপ্রাতিউয়ি (৩০ এপ্রিল ২০১২)। "Polandia ingin kembangkan potensi bisnis Indonesia" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। অন্তরা নিউজ। ২৮ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]