ইন্দোনেশিয়া-তানজানিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-তানজানিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Tanzania অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

তানজানিয়া

ইন্দোনেশিয়া-তানজানিয়া সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং তানজানিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক প্রধানত কৃষিখাতে বিদ্যমান। এ ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়ার কৃষকদের কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে। [১] ২০১১ সালে ইন্দোনেশিয়া এবং তানজানিয়া এবং একটি যুগ্ম কৃষি সমন্বয় কমিটি (জেএসিসি) গঠন করে। এই কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য ছিল, কৃষিক্ষেত্রে সমন্বয়, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগ্ম গবেষণা এবং কৃষি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করে কৃষির বাজার সম্প্রসারণ করা। [২] তানজানিয়ার রাজধানী দারুস সালাম শহরে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। তবে ইন্দোনেশিয়ায় তানজানিয়ার কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এ তানজানিয়ার দূতাবাস রয়েছে। সেই দূতাবাসের মাধ্যমেই ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কিত কূটনৈতিক এবং অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত তানজানিয়ার রাষ্ট্রদূত একইসাথে ইন্দোনেশিয়ায় তানজানিয়ার রাষ্ট্রদূত।

মালয়েশিয়া এবং তানজানিয়া উভয়েই, বিভিন্ন বহুজাতিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও), গ্রুপ অব ৭৭ এবং জোট-নিরপেক্ষ সংস্থা (ন্যাম) প্রভৃতির সদস্য।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬৪ সালে, ইন্দোনেশিয়া এবং তানজানিয়ার মাঝে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে, তানজানিয়ার উপরাষ্ট্রপতি ডঃ আলি মোহাম্মদ শেইন ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় সফরে যান। তাঁর সফরের উদ্দেশ্য ছিল, ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং -এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান-আফ্রিকান সম্মেলনের ৫০ বছরপূর্তি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে তানজানিয়া যান। পালটা সফরে, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, তানজানিয়ার কৃষিমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়া সফরে আসেন। তাঁর সেই সফরে যুগ্ম কৃষি সমন্বয় কমিটি (জেএসিসি) গঠনের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।[৩]

কৃষি এবং সমন্বয়[সম্পাদনা]

দুই দেশই কৃষি খাতে সমন্বয়ের ব্যাপারে জোর দেয়। ১৯৯৬ সালে ইন্দোনেশিয়া, তানজানিয়ার, মিকিন্দো এবং মোরোগোরো তে ফার্মারস এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রেনিং সেন্টার (এফএআরটিসি) গঠন করে। এর মাধ্যমে, ইন্দোনেশীয় কৃষিবিদগণ তানজানিয়ার কৃষকদের, চাষাবাদের ব্যাপারে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। যদিও কঠিন শর্ত, নিয়মাবলী এবং পদ্ধতির কারণে ২০০৪ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৭ সালে তানজানিয়ার কৃষি মন্ত্রীর ইন্দোনেশিয়া সফরের সময়, তানজানিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এই এফএআরটিসি এর কার্যক্রম আবার চালু করার অনুরোধ করা হয়। ২০১১ সালের মার্চ মাসে ইন্দোনেশিয়া সরকার পুনরায় এফএআরটিসি এর কার্যক্রম শুরু করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Indonesian Experts: Re-active for Farmers' Agriculture and Rural Training Center (FAR-TC) in Tanzania"। সচিবালয়, ইন্দোনেশিয়া। ১৪ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩ 
  2. "Indonesia and Tanzania Strengthens Partnership in Agriculture"। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়া। ১৪ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Country Profile and Bilateral Relationship – Tanzania"। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়া। ২০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]