ইন্দোনেশিয়া–কেনিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-কেনিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Kenya অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

কেনিয়া

ইন্দোনেশিয়া-কেনিয়া সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং কেনিয়া এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। কেনিয়ায়, ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের নিকটই, মরিশাস, সিসিলি, এবং উগান্ডা সম্পর্কিত দায়িত্ব এবং বিষয়াবলী ন্যস্ত রয়েছে।[১] তবে, ইন্দোনেশিয়ায় এখনও কেনিয়ার কোন স্থায়ী দূতাবাস নেই। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এ অবস্থিত কেনিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমেই, ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কিত বিষয়াবলী এবং দায়িত্ব সম্পন্ন করা হয়। তবে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত আন্তরিক। পাশাপাশি দেশদুটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক সংস্থা যেমন: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এবং জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইন্দোনেশিয়া ও কেনিয়া এর মধ্যকার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৯ সালের জুলাই মাসে। সে সময় দারুস সালাম, তানজানিয়াতে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে কেনিয়া সম্পর্কিত কূটনৈতিক ও অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করা হত। পরবর্তীতে ১৯৮২ সালের এপ্রিল মাসে, আনুষ্ঠানিকভাবে নাইরোবিতে ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস স্থাপিত হয়।[১]

২০০৮ সালের ১৯ জুন, নাইরোবিতে, ইন্দোনেশিয়া এবং কেনিয়া, দুই দেশের মাঝে একটি যুগ্ম কমিশন গঠনের লক্ষ্যে, এই দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীগণ একটি সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করেন। এই কমিশন, দুই দেশের সমন্বয় ও সমঝোতার খাতের বিস্তৃতি ও উন্নতি এবং এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানে কাজ করে। ২০০৮ সালের ২-৪ ডিসেম্বর, ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এই কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে, কমিশন, অর্থনীতি, বাণিজ্য, সমাজ ও সংস্কৃতি এবং কারিগরি প্রভৃতি খাতে সমন্বয় বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়। এর পাশাপাশি, দুই দেশের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে, কমিশন কূটনৈতিকদের প্রশিক্ষণ, জঙ্গিবাদ বিরোধী পদক্ষেপ এবং ক্রীড়া প্রশিক্ষণ প্রভৃতি খাতে সমন্বয়ের সম্ভাবনা এবং তা বাড়ানোর ব্যাপারে সম্মত হয়।[১]

বাণিজ্য[সম্পাদনা]

কেনিয়াতে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, অপরিশোধিত পাম তেল, আসবাব, যন্ত্রপাতি, পরিবহন উপকরণ, টেক্সটাইল এবং পোশাক। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ায় কেনিয়ার রপ্তানি পণ্য হল, কালো চা, সিসাল আঁশ, তামাক এবং ফুল।

প্রায় প্রতিবছরই কেনিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যে, বাণিজ্য ঘাটতি দেখা যায় এবং এই ঘাটতি কেনিয়ার থাকে। ২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার কাছে ২৩৫.৪ মিলিয়ন (২৩.৫৪ কোটি) মার্কিন ডলার ছিল। সে বছর ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়ায় পণ্য রপ্তানি করে আয় করে ২৪২.৭ মিলিয়ন (২৪.২৭ কোটি) মার্কিন ডলার। অপরপক্ষে কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় পণ্য রপ্তানি করে আয় করে ৭.৩২ মিলিয়ন (৭৩.২ লক্ষ) মার্কিন ডলার।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hubungan Bilateral Indonesia-Kenya" (Indonesian ভাষায়)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইন্দোনেশিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Kenya's trade potential with Indonesia"। এক্সপোর্ট প্রমোশনাল কাউন্সিল অব কেনিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]