আল-মাআরিফ আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা

স্থানাঙ্ক: ১°১৮′৫৫″ উত্তর ১০৩°৫৩′১৮″ পূর্ব / ১.৩১৫২° উত্তর ১০৩.৮৮৮৪° পূর্ব / 1.3152; 103.8884
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-মাআরিফ আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা
مدرسة المعارف الإسلامية
ঠিকানা
মানচিত্র
৩ লোরং ৩৯ গেলাং
সিঙ্গাপুর ৩৮৭৮৬৫

সিঙ্গাপুর
স্থানাঙ্ক১°১৮′৫৫″ উত্তর ১০৩°৫৩′১৮″ পূর্ব / ১.৩১৫২° উত্তর ১০৩.৮৮৮৪° পূর্ব / 1.3152; 103.8884
তথ্য
ধরনস্বাধীন, মাদ্রাসা
নীতিবাক্যالصبر والاستقامة أساسا النجاح
(ধৈর্য এবং ধারাবাহিকতা সাফল্যের চাবিকাঠি)
প্রতিষ্ঠিত১৯৩৬ (1936)
প্রতিষ্ঠাতাশায়েখ মুহাম্মদ ফাদলুল্লাহ সুহাইমী
সেশনএকক অধিবেশন
অধ্যক্ষনাফিসাহ মোহাম্মদ মামুন সুহেমী
Yearsপ্রাথমিক ১ - প্রাক বিশ্ববিদ্যালয়
লিঙ্গবালিকা
বয়স৭ থেকে ১৮ পর্যন্ত
আয়তনপয়া লেবার
রং         গোলাপী, সাদা
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

আল-মাআরিফ আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসা সিঙ্গাপুরে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি শুধুমাত্র বালিকাদের পাঠদান করে। আল-মাআরিফে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে।[১] মাদ্রাসাটি সিঙ্গাপুরের ছয়টি পূর্ণকালীন ইসলামিক মাদ্রাসার মধ্যে একটি।[২] মাদ্রাসাটি পাঠ্যক্রম অন্যান্য অধিকাংশ মাদ্রাসার থেকে আলাদা। আল-মাআরিফের পাঠ্যক্রমে ইসলামিক ধর্মীয় বিষয়গুলি এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিষয়গুলির উপর সমান জোর দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসাটি সিঙ্গাপুর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে।

সিঙ্গাপুরের অন্যান্য মাদ্রাসার মতো আল-মাআরিফের একটি পরিচালনা কমিটি রয়েছে। যার সদস্যরা মজলিস উগামা ইসলাম সিঙ্গাপুরা (এমইউআইএস) এর পরামর্শক্রমে প্রতি দুই বছরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত হন।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

শুরুর বছরগুলি[সম্পাদনা]

১৯৩৬ সালে আল-মারিফ শেখ মুহাম্মদ ফাদলুল্লাহ সুহাইমি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, যিনি মেয়েদের শিক্ষার একজন শক্তিশালী এবং প্রগতিশীল প্রবক্তা।[৪][৫] আল-মারিফের সংস্কারবাদী আদর্শগুলি এর পাঠ্যক্রমের সাথে অ-ধর্মীয় বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করার সাথে সাথে প্রকাশ পেয়ে যায়। আল-আরিফ প্রথম মাদ্রাসা যারা ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরও ভর্তি করায়। বর্তমানে আল-মারিফ দুটি মাদরাসার মধ্যে একটি, যারা কেবলমাত্র মেয়েদের মাদ্রাসা শিক্ষা দেয়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ফাদহলুল্লাহ সুহাইমির ছেলে কামিল নিজেই তার বাবার সংস্কারবাদী আদর্শের উদাহরণ দিয়েছেন। তার বাবা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন করে এবং তারপরে লন্ডনের লিঙ্কনস ইনে আইন অধ্যয়ন করে। পরে দেশে ফিরে এসে আইনজীবী এবং ধর্মীয় নেতা হিসাবে অবদান রেখেছেন।[৬]

সহযোগী অধ্যাপক খাইরুদিন এবং দয়াং হুসিন বলেছেন যে আল-আরিফ ইসলামিক সংস্কারবাদী আদর্শের দৃষ্টিভঙ্গিপূর্ণ মাদ্রাসাগুলির একটি নতুন জাতের প্রতিনিধিত্ব করে। সেই অনুসারে, আনুষ্ঠানিক এটি মুসলিম শিক্ষার সূচনার প্রতিনিধিত্ব করে। তারা লিখেছেনঃ[৭]

এই মাদ্রাসাটির কাঠামো সাধারণত এর নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন দ্বারা চিহ্নিত করা হত, যেমন নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রমের সময়কাল, শিক্ষাগত স্তরকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভক্ত করা, সেইসাথে শিক্ষার্থীদের জন্য চেয়ার এবং টেবিলের মতো সুবিধাগুলি বিদ্যমান। বুদ্ধিবৃত্তিক ঐতিহ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে, মাদ্রাসাটি ইসলাম সম্পর্কিত বিষয়গুলি ছাড়াও অন্যান্য 'অধর্মীয়' বিষয়, যেমন গণিত এবং বিজ্ঞান (এবং সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাগুলির উপর নির্ভর করে অন্যান্য বিষয়গুলো) অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সমসাময়িক বছর[সম্পাদনা]

মাদ্রাসার সংস্কারবাদী আদর্শের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আল-মাআরিফই প্রথম মাদ্রাসা যারা ছাত্রদের জিসিই পরিক্ষার জন্য প্রস্তুত করে। ১৯৬০-এর দশকে আজকের জিসিই 'ও' লেভেল পরীক্ষার সমতুল্য এবং পরের ১৯৭০-এর দশকের জিসিই 'এ' লেভেল পরীক্ষার সমতুল্য।[৮][৯] মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় বিষয়েই দক্ষ হতে হবে। এই পরিবর্তনটি বিপ্লবী হলেও এই বিশ্বাসেই মাদ্রাসাটি গড়ে তোলা হয়েছিল।

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন ছাত্র[সম্পাদনা]

  • দিনাহ আজিজ, প্রথম মাদ্রাসার ছাত্র, যিনি ২০০৮ সালে 'ও' লেভেল পরীক্ষায় সাতটি এ১এস অর্জন করেন। তাকে মালয়/মুসলিম সম্প্রদায়ের '৫০ লক্ষণীয় মুহূর্ত' শিরোনামের একটি বইতে দেখানো হয়েছিল। [১০]
  • অমলিনা রিদজুয়ান, দুইজন মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে একজন, যাদের ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ইয়ং লু লিন স্কুল অফ মেডিসিনে স্থান দেওয়া হয়েছিল।[১১] অন্যজন হলেন আহমদ আবদুর রহমান, আলজুনাইদ আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসার স্নাতক।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Archived copy"। ২০০৮-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১২ 
  2. "Madrasah Aljunied al-Islamiah"। ২০০৯-০৩-০১। ২০০৯-০৩-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৬ 
  3. "Archived copy"। ২০০৮-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১২ 
  4. Khairudin, Syed Muhd Khairudin Aljunied & Dayang Istiaisyah Hussin (আগস্ট ২০০৫)। "Estranged from the Ideal Past: Historical Evolution of Madrassahs in Singapore" (পিডিএফ) 
  5. Mokhtar, Intan Azura (২০১০-০৩-০১)। "Madrasahs in Singapore: Bridging between their Roles, Relevance and Resources": 111–125। আইএসএসএন 1360-2004ডিওআই:10.1080/13602001003650663 
  6. hermesauto (২০১৭-১০-০৭)। "Masagos: Singapore Muslims should look to their own religious leaders"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৬ 
  7. Khairudin, Syed Muhd Khairudin Aljunied & Dayang Istiaisyah Hussin (আগস্ট ২০০৫)। "Estranged from the Ideal Past: Historical Evolution of Madrassahs in Singapore" (পিডিএফ) 
  8. hermesauto (২০১৭-১০-০৭)। "Masagos: Singapore Muslims should look to their own religious leaders"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৬ 
  9. Singapore, National Library Board। "Madrasah education in Singapore | Infopedia"eresources.nlb.gov.sg। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৬ 
  10. hermesauto (২০১৫-১২-০৭)। "Book documenting 50 key milestones for Malay/Muslim community launched"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১০-১৬ 
  11. migration (২০১৫-০৫-১৮)। "NUS medical school takes in first former madrasah students"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৯ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]