আর্বোরোফাইলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আর্বোরোফাইলা
ধলাগলা বাতাই, Arborophila gingica
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Galliformes
পরিবার: Phasianidae
উপপরিবার: Perdicinae
গণ: Arborophila
Hodgson, 1837
প্রজাতি

প্রায় ২০টি, নিবন্ধ দেখুন

আর্বোরোফাইলা ফ্যাসিয়ানিডি পরিবারের অন্তর্গত একটি গণ[১] আর্বোরোফাইলা শব্দের অর্থ বৃক্ষপ্রেমী (লাতিন: arbor = বৃক্ষ, গ্রিক: philos = প্রিয়)।[২] এটি খুবই বিস্তৃত একটি গণ। প্রজাতির সংখ্যা অনুসারে গ্যালিফর্মিস বর্গের মধ্যে ফ্র্যাঙ্কোলিনাস গণের পরেই এর স্থান।

বিবরণ[সম্পাদনা]

এরা দেখতে প্রায় তিতিরের মত, স্বভাবে আলাদা; পা তিতিরের পায়ের চেয়ে লম্বা; পায়ের পিছনে গজালের মত খাড়া নখর নেই; পা লম্বায় নখর-সহ মধ্যমার দৈর্ঘ্যরে প্রায় সমান; সামনের আঙুলগুলির নখর লম্বা ও সোজা; ডানা ছোট ও গোলাকার; ৪র্থ ও ৫ম প্রান্ত-পালক সব চেয়ে লম্বা; ১৪ পালকের কোমল লেজ, ডানার প্রায় অর্ধেক।[২] এ গণের সদস্যরা উজ্জ্বল রঙের পালক বিশিষ্ট ছোট আকারের বাতাই। আকারে এরা তিতিরের থেকে ছোট কিন্তু কোয়েলের থেকে বড়। দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর পূর্ব এশিয়ার ঘন বনে এদের আবাস। স্বভাবে এরা অপরিযায়ী এবং কিছু কিছু সদস্যের বিস্তৃতি খুব ছোট অঞ্চলে বিস্তৃত। আবাসস্থল ধ্বংস ও অপরিমেয় শিকারের ফলে এসব প্রজাতির বেশিরভাগই বর্তমানে বিপদগ্রস্ত হিসেবে বিবেচিত।

প্রজাতিসমূহ[সম্পাদনা]

  • পাহাড়ি বাতাই (Arborophila torqueola)
  • সিচুয়ান বাতাই (Arborophila rufipectus)
  • খয়েরিবুক বাতাই (Arborophila mandellii)
  • ধলাগলা বাতাই (Arborophila gingica)
  • লালগলা বাতাই (Arborophila rufogularis)
  • ধলাগাল বাতাই (Arborophila atrogularis)
  • তাইওয়ান বাতাই (Arborophila crudigularis)
  • হাইনান বাতাই (Arborophila ardens)
  • খয়েরিপেট বাতাই (Arborophila javanica)
  • মেটেবুক বাতাই (Arborophila orientalis)
  • সুমাত্রাণ বাতাই (Arborophila sumatrana)
  • মালয়ী বাতাই (Arborophila campbelli)
  • রোলের বাতাই (Arborophila rolli)
  • দাগিপিঠ বাতাই (Arborophila brunneopectus)
  • কমলাঘাড় বাতাই (Arborophila davidi)
  • খয়েরিমাথা বাতাই (Arborophila cambodiana)
    • থাই বাতাই (Arborophila (cambodiana) diversa)
  • লালবুক বাতাই (Arborophila hyperythra)
  • লালপেট বাতাই (Arborophila rubrirostris)
  • সবুজপা বাতাই (Arborophila chloropus)
  • ভিয়েতনাম বাতাই (Arborophila merlini)
  • খয়েরিগলা বাতাই (Arborophila charltonii)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Madge, Steve; McGowan, Phil (২০০২)। Pheasants, Partridges & Grouse। London: Christopher Helm। পৃষ্ঠা 10। আইএসবিএন 0-7136-3966-0 
  2. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৬।