সমুদ্রের উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
২০১৯ সালের পর থেকে পর্যবেক্ষিত পরিবর্তন এবং প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে: {{Blockquote|text=১৯৭০ সালের পর থেকে পৃথিবীর মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু ব্যবস্থায় সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের ৯০% এরও বেশি এই মহাসাগরগুলি শোষণ করে নিয়েছে। বিগত কয়েক দশকে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে; এই হার ১৯৯৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ (marine heatwaves) হলো এমন ঘটনা যখন কোনো নির্দিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলের তাপমাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই তাপপ্রবাহের ঘটনা ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিগুণ হয়েছে, এবং এর তীব্রতাও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানি অধিক অম্লীয় হয়ে উঠছে (ocean acidification)। এই অম্লতা বৃদ্ধি প্রবালপ্রাচীর সহ অনেক সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতি করে। এছাড়াও, সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে যা সামগ্রিকভাবে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।|author=IPCC [[বিশেষ প্রতিবেদন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে মহাসাগর ও ক্রায়োস্ফিয়ার]] (২০১৯)|title=|source=<ref name="SROCC_SPM_20190925" />{{rp|9}}|character=|multiline=|class=|style=}}
২০১৯ সালের পর থেকে পর্যবেক্ষিত পরিবর্তন এবং প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে: {{Blockquote|text=১৯৭০ সালের পর থেকে পৃথিবীর মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু ব্যবস্থায় সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের ৯০% এরও বেশি এই মহাসাগরগুলি শোষণ করে নিয়েছে। বিগত কয়েক দশকে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে; এই হার ১৯৯৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ (marine heatwaves) হলো এমন ঘটনা যখন কোনো নির্দিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলের তাপমাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই তাপপ্রবাহের ঘটনা ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিগুণ হয়েছে, এবং এর তীব্রতাও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানি অধিক অম্লীয় হয়ে উঠছে (ocean acidification)। এই অম্লতা বৃদ্ধি প্রবালপ্রাচীর সহ অনেক সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতি করে। এছাড়াও, সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে যা সামগ্রিকভাবে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।|author=IPCC [[বিশেষ প্রতিবেদন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে মহাসাগর ও ক্রায়োস্ফিয়ার]] (২০১৯)|title=|source=<ref name="SROCC_SPM_20190925" />{{rp|9}}|character=|multiline=|class=|style=}}


[[File:Increased_Trend_in_Sea_Temperature.png|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Increased_Trend_in_Sea_Temperature.png|থাম্ব|১৯৬০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা ঘিরে দক্ষিণ মহাসাগর থেকে শুরু করে প্রতিটি মহাসাগরে তাপমাত্রা পরিবর্তনের চিত্র।<ref name=":14">{{Cite journal|last2=Abraham|first2=John|date=February 2020|title=Record-Setting Ocean Warmth Continued in 2019|pages=137–142|language=en|doi=10.1007/s00376-020-9283-7|doi-access=free|last1=Cheng|first1=Lijing|last3=Zhu|first3=Jiang|last4=Trenberth|first4=Kevin E.|last5=Fasullo|first5=John|last6=Boyer|first6=Tim|last7=Locarnini|first7=Ricardo|last8=Zhang|first8=Bin|last9=Yu|first9=Fujiang|last10=Wan|first10=Liying|last11=Chen|first11=Xingrong|journal=Advances in Atmospheric Sciences|volume=37|issue=2|bibcode=2020AdAtS..37..137C|s2cid=210157933}}</ref>]]
=== মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ===

==== মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ====
[[File:Land_vs_Ocean_Temperature.svg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Land_vs_Ocean_Temperature.svg|থাম্ব|জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯২% শোষণ করে নেয়ার কারণে, সমুদ্রের তাপমাত্রার চেয়ে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুর তাপমাত্রা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, তা দেখানো নাসার তথ্য সম্বলিত একটি চার্ট।<ref name="ocean heat 92">{{cite web|publisher=scientific american|title=The Oceans Are Heating Up Faster Than Expected|url=https://www.scientificamerican.com/article/the-oceans-are-heating-up-faster-than-expected/|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20200303222236/https://www.scientificamerican.com/article/the-oceans-are-heating-up-faster-than-expected/|archive-date=3 March 2020|access-date=3 March 2020}}</ref><ref name="nasa temperatures">{{cite web|publisher=NASA|title=Global Annual Mean Surface Air Temperature Change|url=https://data.giss.nasa.gov/gistemp/graphs_v4/|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20200416074510/https://data.giss.nasa.gov/gistemp/graphs_v4/|archive-date=16 April 2020|access-date=23 February 2020}}</ref>]]
[[File:Land_vs_Ocean_Temperature.svg|সংযোগ=https://en.wikipedia.org/wiki/File:Land_vs_Ocean_Temperature.svg|থাম্ব|জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯২% শোষণ করে নেয়ার কারণে, সমুদ্রের তাপমাত্রার চেয়ে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুর তাপমাত্রা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, তা দেখানো নাসার তথ্য সম্বলিত একটি চার্ট।<ref name="ocean heat 92">{{cite web|publisher=scientific american|title=The Oceans Are Heating Up Faster Than Expected|url=https://www.scientificamerican.com/article/the-oceans-are-heating-up-faster-than-expected/|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20200303222236/https://www.scientificamerican.com/article/the-oceans-are-heating-up-faster-than-expected/|archive-date=3 March 2020|access-date=3 March 2020}}</ref><ref name="nasa temperatures">{{cite web|publisher=NASA|title=Global Annual Mean Surface Air Temperature Change|url=https://data.giss.nasa.gov/gistemp/graphs_v4/|url-status=live|archive-url=https://web.archive.org/web/20200416074510/https://data.giss.nasa.gov/gistemp/graphs_v4/|archive-date=16 April 2020|access-date=23 February 2020}}</ref>]]
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগরের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এবং এই বৃদ্ধির হার দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। মহাসাগরগুলোর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার পরিমাপ ইঙ্গিত দেয় যে, ২০২২ সালে সমুদ্রের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০২১ সালে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্যহীনতারই এটি একটি অনিবার্য পরিণতি। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়কাল এবং ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬৮ থেকে ১.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগরের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এবং এই বৃদ্ধির হার দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। মহাসাগরগুলোর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার পরিমাপ ইঙ্গিত দেয় যে, ২০২২ সালে সমুদ্রের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০২১ সালে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্যহীনতারই এটি একটি অনিবার্য পরিণতি। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়কাল এবং ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬৮ থেকে ১.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

১২:৪১, ১ মার্চ ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জলবায়ু পরিবর্তনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং মহাসাগরের উপর এর প্রভাব। আঞ্চলিক প্রভাবগুলো ইটালিক্সে প্রদর্শিত হয়েছে।[১]
এই নাসা অ্যানিমেশনটি পৃথিবীর মহাসাগরীয় প্রক্রিয়াগুলিকে পৃথিবীর পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ব্যবস্থাগুলির মধ্যে চালিকা শক্তি হিসাবে উপস্থাপন করে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এর অন্যতম প্রধান প্রভাব হলো সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এর ফলে বারবার সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া, সমুদ্র অম্লীকরণ, সামুদ্রিক বরফ হ্রাস, সমুদ্রস্তর বিভাজনের বৃদ্ধি এবং অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস - এগুলোও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের ওপর পড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব। 'আটলান্টিক মেরিডিয়নাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন' (AMOC) সহ সামুদ্রিক স্রোতের ব্যাপক পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।[২] জলবায়ু পরিবর্তনের এই পরিণতিগুলো সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিনষ্ট করছে।[৩] মানুষের তৈরি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণই জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান কারণ। কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন গ্যাস গ্রিনহাউজ গ্যাসের কয়েকটি উদাহরণ। জলবায়ু ব্যবস্থার অতিরিক্ত তাপের বেশিরভাগটাই সমুদ্র শোষণ করে নেওয়ায় সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।[৪] এছাড়া, বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইডের একটি বড় অংশ সমুদ্র গ্রহণ করে। যার ফলে সমুদ্রের পানির pH মাত্রা কমে যাচ্ছে।[৫] বিজ্ঞানীদের হিসেব মতে, মানুষের সৃষ্ট মোট কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণের প্রায় ২৫% সমুদ্র শোষণ করে নেয়।[৬]

মহাসাগরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্যকে মহাসাগরের তাপমাত্রার স্তরবিন্যাস বলা হয়। বায়ুর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠ উষ্ণ হওয়ার সাথে সাথে এটি বৃদ্ধি পায়।[৭]:৪৭১ সমুদ্রের স্তরগুলির মিশ্রণ হ্রাস পাওয়াতে সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি উষ্ণ পানি স্থির হয়ে যায়। এটি গভীর থেকে ঠান্ডা পানির প্রবাহকেও কমিয়ে দেয়। মিশ্রণ কমে যাওয়ার ফলে মহাসাগর তাপ শোষণ করতে পারে না। ফলে ভবিষ্যতের উষ্ণায়নের একটি বড় অংশ বায়ুমণ্ডল এবং ভূমিতে স্থানান্তরিত হয়। এর একটি ফলাফল হলো ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য ঝড়ের জন্য উপলব্ধ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া। আরেকটি ফলাফল হলো মহাসাগরের উপরের স্তরে মাছের পুষ্টির পরিমাণ হ্রাস। এই পরিবর্তনগুলি মহাসাগরের কার্বন সংরক্ষণের ক্ষমতাও হ্রাস করে।[৮] একই সাথে, লবণাক্ততার বৈসাদৃশ্যও বাড়ছে। নোনা এলাকাগুলি আরও নোনা হয়ে উঠছে এবং অপেক্ষাকৃত কম লবণাক্ত এলাকাগুলি আরও কম নোনা হচ্ছে।[৯]

উষ্ণ পানি ঠান্ডা পানির তুলনায় কম অক্সিজেন ধারণ করতে পারে। এর ফলে, মহাসাগর থেকে অক্সিজেন বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। বর্ধিত তাপীয় স্তরবিন্যাস পৃষ্ঠের পানি থেকে গভীর পানিতে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে। এটি পানির অক্সিজেনের পরিমাণ আরও কমিয়ে দেয়।[১০] মহাসাগর ইতিমধ্যে তার পুরো পানিস্তম্ভে অক্সিজেন হারিয়েছে। অক্সিজেন ন্যূনতম অঞ্চল বিশ্বব্যাপী প্রসারিত হচ্ছে।[১১]:৪৭১

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতর জলের তাপমাত্রা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের জন্য গুরুতর সমস্যা তৈরি করে। এই পরিবর্তনগুলি সামুদ্রিক প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে[১২] বা কিছু প্রজাতির জনসংখ্যা বিস্ফোরণের দিকে পরিচালিত করতে পারে, যার ফলে প্রজাতির বন্টন সম্পূর্ণভাবে বদলে যেতে পারে।[১৩] এর ফলে উপকূলীয় মৎস্যচাষ ও পর্যটনশিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বিভিন্ন সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র যেমন প্রবাল প্রাচীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাপমাত্রার সামান্য পরিবর্তনই প্রবাল প্রাচীরকে সাদা করে ফেলতে (কোরাল ব্লিচিং) পারে যা এইসব ভঙ্গুর প্রাচীরের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়াও, সমুদ্রের অম্লীকরণ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি সমুদ্রের উৎপাদনশীলতা ও প্রজাতির বন্টনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। ফলে, বৈশ্বিক মৎস্যচাষ মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বিনষ্ট হতে থাকে। উষ্ণতার কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়া মেরু অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি। মেরু ভালুকের মতো অনেক মেরু প্রাণীর অস্তিত্ব আজ চরম বিপদের মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই নানামুখী প্রতিক্রিয়া জলবায়ু ব্যবস্থা এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর অভাবনীয় চাপ সৃষ্টি করছে।[১৪]

গ্রিনহাউস গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট পরিবর্তন

মানুষের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে আটকে থাকা অতিরিক্ত তাপের অধিকাংশই সমুদ্র শোষণ করে নেয়, যা সমুদ্রের গভীর স্তর পর্যন্ত প্রবেশ করে।[১৫]
বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের কারণে জলবায়ু ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশে শক্তি (তাপ) বৃদ্ধি (২০০৭ সালের তথ্য)

বর্তমানে (২০২০ সালের হিসেবে), বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইডের (CO2) মাত্রা ৪১০ পিপিএম এরও বেশি। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় এটি প্রায় ৫০% বেশি। গত ৫.৫ কোটি বছরের ভূতাত্ত্বিক রেকর্ডে এই মাত্রার বৃদ্ধি এবং এর দ্রুততা অভূতপূর্ব। মানুষের কার্যকলাপের ফলেই এই অতিরিক্ত CO2 তৈরি হচ্ছে, এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত। এর প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো, বিভিন্ন শিল্পকারখানার নির্গমন, এবং ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন। কমপক্ষে ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিক থেকেই বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে এই বিষয়টি আলোচিত হয়ে আসছে যে, সমুদ্র মানুষ-সৃষ্ট CO2 এর একটি প্রধান শোষক হিসেবে কাজ করে। বেশ কিছু প্রমাণ থেকে বোঝা যায় যে, মোটামুটি এক-চতুর্থাংশ মানুষ-সৃষ্ট CO2 নির্গমন সমুদ্র শোষণ করে নেয়।


২০১৯ সালের পর থেকে পর্যবেক্ষিত পরিবর্তন এবং প্রভাব সম্পর্কে সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

১৯৭০ সালের পর থেকে পৃথিবীর মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু ব্যবস্থায় সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের ৯০% এরও বেশি এই মহাসাগরগুলি শোষণ করে নিয়েছে। বিগত কয়েক দশকে সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়েছে; এই হার ১৯৯৩ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। সামুদ্রিক তাপপ্রবাহ (marine heatwaves) হলো এমন ঘটনা যখন কোনো নির্দিষ্ট সামুদ্রিক অঞ্চলের তাপমাত্রা দীর্ঘ সময়ের জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এই তাপপ্রবাহের ঘটনা ১৯৮২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দ্বিগুণ হয়েছে, এবং এর তীব্রতাও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানি অধিক অম্লীয় হয়ে উঠছে (ocean acidification)। এই অম্লতা বৃদ্ধি প্রবালপ্রাচীর সহ অনেক সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতি করে। এছাড়াও, সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে যা সামগ্রিকভাবে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

১৯৬০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যান্টার্কটিকা ঘিরে দক্ষিণ মহাসাগর থেকে শুরু করে প্রতিটি মহাসাগরে তাপমাত্রা পরিবর্তনের চিত্র।[১৬]

মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯২% শোষণ করে নেয়ার কারণে, সমুদ্রের তাপমাত্রার চেয়ে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা অনেক দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় ভূমি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুর তাপমাত্রা কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, তা দেখানো নাসার তথ্য সম্বলিত একটি চার্ট।[১৭][১৮]

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মহাসাগরের তাপমাত্রা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এবং এই বৃদ্ধির হার দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। মহাসাগরগুলোর অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার পরিমাপ ইঙ্গিত দেয় যে, ২০২২ সালে সমুদ্রের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০২১ সালে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের কারণে পৃথিবীর শক্তির ভারসাম্যহীনতারই এটি একটি অনিবার্য পরিণতি। শিল্প-বিপ্লবের আগের সময়কাল এবং ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মহাসাগরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৬৮ থেকে ১.০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

সাউদার্ন ওশান বা দক্ষিণ মহাসাগর অঞ্চলেই এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ দশকের মধ্যে অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের দক্ষিণ মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৈশ্বিক হারের প্রায় দ্বিগুণ।

মহাসাগরের গভীরতার সাথে এই উষ্ণতার হার পরিবর্তিত হয়। উপরের স্তরগুলোতে (৭০০ মিটারের উপরে) উষ্ণতা দ্রুততম হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক হাজার মিটার গভীরতায়, গত শতাব্দীতে (১৯৮১ থেকে ২০১৯) উষ্ণতার হার ছিল প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মহাসাগরের গভীরতর অঞ্চলে (২০০০ মিটার গভীরতা) এই উষ্ণতার হার প্রতি শতাব্দীতে প্রায় ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ উষ্ণতার (০.৩ °সে প্রতি শতাব্দীতে) স্থানটি হলো ৪৫০০ মিটার গভীরতা।

মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতা

পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মহাসাগরের তাপমাত্রার তারতম্য হয়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি এবং মেরু অঞ্চলে তা কম থাকে। মহাসাগরের মোট তাপধারণ ক্ষমতার পরিবর্তনই মহাসাগরগুলো উষ্ণ হওয়ার সবচেয়ে ভালো তথ্য প্রদান করে। ১৯৬৯-১৯৯৩ সালের তুলনায় ১৯৯৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতা বেড়েছে।

মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতা হলো মহাসাগর কর্তৃক শোষিত ও সঞ্চিত তাপশক্তি। এই ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন স্থানে ও গভীরতায় মহাসাগরের পানির তাপমাত্রা মাপা প্রয়োজন। একটি মহাসাগরীয় অববাহিকা বা সম্পূর্ণ মহাসাগরের ওপর তাপের ক্ষেত্রিক ঘনত্ব সমাকলনের মাধ্যমে মোট তাপধারণ ক্ষমতা বের করা যায়। এই তাপধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে মানুষের সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। ১৯৭১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে বাড়তি ৯০% এরও বেশি তাপশক্তি শোষণ করেছে মহাসাগরসমূহ। ২০২০ সালের মধ্যে, মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশ যোগ হওয়া শক্তি ৭০০ মিটারেরও বেশি গভীরতায় প্রবেশ করেছে।

২০২৩ সালে, বিশ্বের মহাসাগরগুলি আবারও ঐতিহাসিক রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতর ছিল, যা আগের বছর ২০২২-এর রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত বিশ্বের পাঁচটি সর্বোচ্চ মহাসাগরীয় তাপ পর্যবেক্ষণ হয়েছে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সময়কালে। উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর আটলান্টিক, ভূমধ্যসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর- এই সব অঞ্চলে বিশ্বব্যাপী পরিমাপের ষাট বছরেরও বেশি সময়ের রেকর্ডে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধরা পড়েছে। মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক।

মহাসাগরের পানি সৌরশক্তি বেশ দক্ষতার সাথে শোষণ করে। বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাসগুলির তুলনায় এদের তাপধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই সমগ্র পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তুলনায় মহাসাগরের ওপরের অংশের অল্প কয়েক মিটারেই বেশি তাপশক্তি ধারণ করে। ১৯৬০ সালের আগে থেকেই গবেষণা জাহাজ এবং স্টেশনগুলি সারা বিশ্বে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও অধিক গভীরতার তাপমাত্রা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করেছে। ২০০০ সাল থেকে, প্রায় ৪০০০ এরও বেশি আর্গো রোবোটিক ফ্লোট সমুদ্রের তাপমাত্রার অস্বাভাবিকতা বা তাপধারণ ক্ষমতার পরিবর্তন পরিমাপ করছে। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে পর্যবেক্ষণের উন্নতির সাথে সাথে, উপরের অংশের মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতা ত্বরান্বিত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ২০০৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শীর্ষ ২০০০ মিটার গভীরতায় তাপধারণ ক্ষমতার পরিবর্তনের হার ছিল +০.৫৮ ± ০.০৮ ওয়াট/বর্গমিটার (বা ৯.৩ জেটাজুলের বার্ষিক গড় শক্তি বৃদ্ধি)।

মহাসাগরের তাপধারণ ক্ষমতার পরিবর্তনের গ্রহের সামুদ্রিক এবং স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে; উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র এবং সম্প্রদায়গুলিতে এর বহুমুখী প্রভাব রয়েছে। প্রত্যক্ষ প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তারতম্য, সমুদ্রের বরফ, পানিচক্রের তীব্রতার পরিবর্তন এবং সামুদ্রিক জীবনের অভিবাসন ও বিলুপ্তি।

তথ্যসূত্র

  1. Käse, Laura; Geuer, Jana K. (২০১৮)। "Phytoplankton Responses to Marine Climate Change – an Introduction"। YOUMARES 8 – Oceans Across Boundaries: Learning from each other। পৃষ্ঠা 55–71। আইএসবিএন 978-3-319-93283-5এসটুসিআইডি 134263396ডিওআই:10.1007/978-3-319-93284-2_5 
  2. "Summary for Policymakers"। The Ocean and Cryosphere in a Changing Climate (পিডিএফ)। ২০১৯। পৃষ্ঠা 3–36। আইএসবিএন 978-1-00-915796-4ডিওআই:10.1017/9781009157964.001। ২০২৩-০৩-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৬ 
  3. Worm, Boris; Barbier, Edward B.; Beaumont, Nicola; Duffy, J. Emmett; Folke, Carl; Halpern, Benjamin S.; Jackson, Jeremy B. C.; Lotze, Heike K.; Micheli, Fiorenza; Palumbi, Stephen R.; Sala, Enric; Selkoe, Kimberley A.; Stachowicz, John J.; Watson, Reg (২০০৬)। "Impacts of Biodiversity Loss on Ocean Ecosystem Services"। Science314 (5800): 787–790। ডিওআই:10.1126/science.1132294 
  4. Cheng, Lijing; Abraham, John; Hausfather, Zeke; Trenberth, Kevin E. (১১ জানুয়ারি ২০১৯)। "How fast are the oceans warming?"। Science363 (6423): 128–129। এসটুসিআইডি 57825894ডিওআই:10.1126/science.aav7619পিএমআইডি 30630919বিবকোড:2019Sci...363..128C 
  5. Doney, Scott C.; Busch, D. Shallin; Cooley, Sarah R.; Kroeker, Kristy J. (২০২০-১০-১৭)। "The Impacts of Ocean Acidification on Marine Ecosystems and Reliant Human Communities"। Annual Review of Environment and Resources (ইংরেজি ভাষায়)। 45 (1): 83–112। ডিওআই:10.1146/annurev-environ-012320-083019অবাধে প্রবেশযোগ্য  Text was copied from this source, which is available under a Creative Commons Attribution 4.0 International License ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-১০-১৬ তারিখে
  6. Doney, Scott C.; Busch, D. Shallin; Cooley, Sarah R.; Kroeker, Kristy J. (২০২০-১০-১৭)। "The Impacts of Ocean Acidification on Marine Ecosystems and Reliant Human Communities"। Annual Review of Environment and Resources (ইংরেজি ভাষায়)। 45 (1): 83–112। ডিওআই:10.1146/annurev-environ-012320-083019অবাধে প্রবেশযোগ্য  Text was copied from this source, which is available under a Creative Commons Attribution 4.0 International License ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৭-১০-১৬ তারিখে
  7. Bindoff, N.L., W.W.L. Cheung, J.G. Kairo, J. Arístegui, V.A. Guinder, R. Hallberg, N. Hilmi, N. Jiao, M.S. Karim, L. Levin, S. O'Donoghue, S.R. Purca Cuicapusa, B. Rinkevich, T. Suga, A. Tagliabue, and P. Williamson, 2019: Chapter 5: Changing Ocean, Marine Ecosystems, and Dependent Communities ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-১২-২০ তারিখে. In: IPCC Special Report on the Ocean and Cryosphere in a Changing Climate ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২১-০৭-১২ তারিখে [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, V. Masson-Delmotte, P. Zhai, M. Tignor, E. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Nicolai, A. Okem, J. Petzold, B. Rama, N.M. Weyer (eds.)]. In press.
  8. Freedman, Andrew (২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Mixing of the planet's ocean waters is slowing down, speeding up global warming, study finds"The Washington Post। ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০২০ 
  9. Cheng, Lijing; Trenberth, Kevin E.; Gruber, Nicolas; Abraham, John P.; Fasullo, John T.; Li, Guancheng; Mann, Michael E.; Zhao, Xuanming; Zhu, Jiang (২০২০)। "Improved Estimates of Changes in Upper Ocean Salinity and the Hydrological Cycle"। Journal of Climate33 (23): 10357–10381। ডিওআই:10.1175/jcli-d-20-0366.1অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2020JCli...3310357C 
  10. Chester, R.; Jickells, Tim (২০১২)। "Chapter 9: Nutrients oxygen organic carbon and the carbon cycle in seawater"। Marine geochemistry (3rd সংস্করণ)। Chichester, West Sussex, UK: Wiley/Blackwell। পৃষ্ঠা 182–183। আইএসবিএন 978-1-118-34909-0ওসিএলসি 781078031। ২০২২-০২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২০ 
  11. Bindoff, N.L., W.W.L. Cheung, J.G. Kairo, J. Arístegui, V.A. Guinder, R. Hallberg, N. Hilmi, N. Jiao, M.S. Karim, L. Levin, S. O'Donoghue, S.R. Purca Cuicapusa, B. Rinkevich, T. Suga, A. Tagliabue, and P. Williamson, 2019: Chapter 5: Changing Ocean, Marine Ecosystems, and Dependent Communities ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৯-১২-২০ তারিখে. In: IPCC Special Report on the Ocean and Cryosphere in a Changing Climate ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২১-০৭-১২ তারিখে [H.-O. Pörtner, D.C. Roberts, V. Masson-Delmotte, P. Zhai, M. Tignor, E. Poloczanska, K. Mintenbeck, A. Alegría, M. Nicolai, A. Okem, J. Petzold, B. Rama, N.M. Weyer (eds.)]. In press.
  12. Briand F., সম্পাদক (২০১৩)। "Marine Extinctions: Patterns and Processes - an overview."CIESM Workshop Monographs (ইংরেজি ভাষায়)। 45: 5–19। 
  13. "Summary for Policymakers"। The Ocean and Cryosphere in a Changing Climate (পিডিএফ)। ২০১৯। পৃষ্ঠা 3–36। আইএসবিএন 978-1-00-915796-4ডিওআই:10.1017/9781009157964.001। ২০২৩-০৩-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৬ 
  14. "Summary for Policymakers"। The Ocean and Cryosphere in a Changing Climate (পিডিএফ)। ২০১৯। পৃষ্ঠা 3–36। আইএসবিএন 978-1-00-915796-4ডিওআই:10.1017/9781009157964.001। ২০২৩-০৩-২৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-২৬ 
  15. Top 700 meters: Lindsey, Rebecca; Dahlman, Luann (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩)। "Climate Change: Ocean Heat Content"climate.gov। National Oceanic and Atmospheric Administration (NOAA)। ২৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। Top 2000 meters: "Ocean Warming / Latest Measurement: December 2022 / 345 (± 2) zettajoules since 1955"NASA.gov। National Aeronautics and Space Administration। ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  16. Cheng, Lijing; Abraham, John; Zhu, Jiang; Trenberth, Kevin E.; Fasullo, John; Boyer, Tim; Locarnini, Ricardo; Zhang, Bin; Yu, Fujiang; Wan, Liying; Chen, Xingrong (ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Record-Setting Ocean Warmth Continued in 2019"। Advances in Atmospheric Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 37 (2): 137–142। এসটুসিআইডি 210157933ডিওআই:10.1007/s00376-020-9283-7অবাধে প্রবেশযোগ্যবিবকোড:2020AdAtS..37..137C 
  17. "The Oceans Are Heating Up Faster Than Expected"। scientific american। ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০ 
  18. "Global Annual Mean Surface Air Temperature Change"। NASA। ১৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০